কার দোষ কবিতা – উদয় শঙ্কর ঘোষাল
পূজোর আমেজ,পূজোপূজো ভাব,পূজোর গন্ধ ছোটে –
পূজোর হিড়িকে ব্যস্ত সকলে,অবসর নাহি মোটে,
ব্যবসায়ী সব পূজোর মাতনে একমাস আগে থেকে,
পসরা সাজিয়ে আলোময় করে,ষ্টকের মজুত রেখে।
অফিসে অফিসে বোনাস,ডিএ, পাওনা কি সব কত,
অঙ্কে ব্যস্ত,কার কত এল, হিসেব যে যার মত।
ভাগ্য এবার জুটবেই উমা, ফুলের ব্যবসা ধর-
পর পর পূজো,হিসেব করে নে,এইবেলা লেগে পর-
ভোর রাতে উঠে গাঁয়ে ও গঞ্জে কত কমে ফুল পাবি,
উপোসের জ্বালা সইতে হবে না,দুবেলা তো খেটে খাবি।
মায়ের কথায় একছুট উমা,ময়রা জেঠুর কাছে –
মায়ের রোগের ওষুধ পথ্যি,দরকার তারও আছে,
হাজার পাঁচেক টাকা আর শ্রম,এই তার মূলধন,
লেগে গেল উমা,সদাই ব্যস্ত,টাকা তার প্রয়োজন।
বেশ চলছিল মেয়েটা ভালোই,হাসিখুশি তার ভাব,
নজর বোঝেনা-বিশ্বাস করে,এ নয় ভালো স্বভাব।
সপ্তমী রাতে কামনার বলি,ঢাকের তালের মাঝে,
ময়রা জেঠুর সেবায় যতনে,যদি বা মেয়েটা বাঁচে,
অনেক কষ্টে সুস্থ মেয়েটা, দিনরাত চোখে জল,
কথা বলা তার বন্ধ হয়েছে,নির্বাক,নিশ্চল।
মেয়েটা সরল সাদাসিদে বড়, কি দোষে মারলি তারে!
অপরাধী যারা তাদের বিচার, দিতে ভুলে গেলি মারে।
অন্যান্য
ভরুয়া
উদ্বর্তিনী
নীলবাস্প