তুমি যদি হও আমার দখিনা বাতাস
জানালা দিয়ে পূর্ণিমা তার জ্যেৎস্না পাড়ের শাড়ির আঁচল বিছিয়েছে আমার ঘরে। সামনের বেল গাছের পাতাগুলো মৃদুমন্দ বাতাসে দোল খেতে খেতে বলে “ছাদবাগানে যাবে না? দেখবে না বসন্ত-পূর্ণিমার রাতে কেমন ছাদ সেজেছে পাথরকুচির ঝাড়বাতিতে?” আলগা খোঁপায় ছাদে এসে দেখি সত্যিই কি অপূর্ব দৃশ্য! ফুটে থাকা ফুলেরা মহা আনন্দে রাস করছে দখিন-হাওয়ার দোলায়। আমার অন্তরের অন্দরমহল ও সেজে উঠছে জ্যোৎস্না-পাড়ের শাড়িতে; ডায়ান্থাস বসল নাকফুলে, সিঁথি সাজলো লাল গ্ল্যাডিওলাসে, খোঁপা আগলে নিল চন্দ্রমল্লিকাকে। মিলি ফুলের টিপ বসল কপালে। হলুদ-গোলাপির কাগজ ফুলেরা হাতে হাত ধরে মালা হয়ে বসল গলার চারপাশে। ছাদবাগানের এক কোণে রজনীগন্ধা এবং গোলাপ মিলে বাসর সাজিয়েছে। পিটুনিয়ারা হল আমার বাসর জাগা সখী সব। কোকিল করছে মঙ্গল ধ্বনি। শিমুল-পলাশরা যখন উত্তরীয় রূপে গায়ে এলো, নিজেকে সফল প্রেমযজ্ঞের হোমাগ্নি মনে হচ্ছে। এমন মনোময় শৃঙ্গারের সৌন্দর্যে আমার র্ঊর্মিল বুকে যমুনা বাসা বেঁধেছে।
তুমি যদি হও আমার দখিনা বাতাস, আমি রাধাচূড়ার রং ধারণ করব হোমাগ্নিতে, তোমাকে উপহারে দেব কৃষ্ণচূড়ার আবেগ!
তুমি আমার দখিন হাওয়া হলে তোমার বৃন্দাবন-বুকে মাথা রেখে, আমার চোখ বেয়ে আসা যমুনাতে তোমার হৃদয়ে শীতলতা আনব।
তুমি যদি হও আমার দখিনা হাওয়া, আমি দুধে-আলতা পায়ে চৌকাঠ পেরোব না, তোমার সাথে ঘর বাঁধব সুনীলে। সে ঘর হবে আলোর, তুমি হবে তার উৎস। আমি আপন মনে প্রেমের ঘুঙুর পায়ে ঘুরে বেড়াব গুনগুনিয়ে মনে মনে- “যেথা আমি যাইনাকো তুমি প্রকাশিত থাকো।” অনন্ত শুদ্ধতার আলোয় কখনো ফুরোবে না এ জীবনের বসন্ত-পূর্ণিমা।।
তুমি যদি হও আমার দখিনা বাতাস কবিতা- সমাপ্তি
যে কেউ তাদের লেখা জমা দিতে চান। অনুগ্রহ করে আমাদের লেখা জমা দিন পৃষ্ঠায় জমা দিন এবং যারা লেখা জমা দিচ্ছেন। পরবর্তী আপডেট পেতে আমাদের ফেসবুক পেজে অনুসরণ করুন।
অন্যান্য
১৪ই ফেব্রুয়ারি
বৃষ্টি-উৎসব | পার্থ চট্টোপাধ্যায়
বর্ষা | প্রশান্ত কুমার বাছাড়