কলম পাতুরি

ভাবনা আপনার প্রকাশ করবো আমরা

Home » সায়েন্স ফিকশন গল্প » কাণ্ডটা কায়রোর কাছে

কাণ্ডটা কায়রোর কাছে

কাণ্ডটা কায়রোর কাছে সায়েন্স ফিকশন গল্প – কাজল মণ্ডল

ঝম্ ঝম্ বৃষ্টি। সেই সক্কাল থেকে। কিন্তু এখন যে রবিবারের বিকাল। তাই আমরা পাড়ার বন্ধু বান্ধবরা মিলে রাঙাদাদুর বৈঠকখানায় জমা হয়েছি। কেউ ক্যারাম পিটাচ্ছি। কেউ বা চাইনিজ চেকার খেলছি। আবার আমরা কয়েকজন কাগজের নৌকা করে জানালা দিয়ে রাস্তার জমা জলে ভাসাচ্ছি । এক কথায় সকলে মিলে একটি পুরো জমাটি আড্ডা মারছি। তবে সবাই মন মনে ভাবছি, রাঙাদাদু কখন এ’ ঘরে আসেন– কখন এ’ ঘরে আসেন।

দাদু যে রবিবারে রবিবারে একটি করে গল্প আমাদের শোনান। যে গল্প কোনো বইতে লেখা থাকে না। দাদুর একদম নিজের বানানো।যাকে বলে মৌলিক গল্প।
ঢং …. ঢং….. করে ঘরের দক্ষিণের দেওয়ালের গ্রান্ড ফাদার ক্লকটাতে পাঁচটা বাজলো। আর সেই শব্দের রেস না মিলাতে মিলাতেই দাদু ভিতর বাড়ী থেকে এসে,আমাদের এই ঘরে ঢুকলেন। যাকে বলে এক্কেবারে কাঁটায় কাঁটায় পাঁচটায়।
ঘরে ঢুকে উনার আরাম কেদারাটায় হেলান দিয়ে আরাম করে বসলেন। আজ দাদুর পরণে ধোপদূরস্ত সেই সাদা কোঁচানো ধুতি,আর খদ্দরের পাঞ্জাবী।সাথে সাথে মুখে সেই বরাবরের অমায়িক হাসিটি তো আছেই।
” আজ বাড়ীতে দুপুরে কে কী খেলে সব? “
দাদু আরাম কেদারাটায় হেলান দিয়ে থেকেই শুধালেন।
আমরা বেশীর ভাগই বললাম, খিচুড়ি আর ডিম ভাজা। কেউ কেউ বললে, খিচুড়ি আর ইলিশ মাছ ভাজা।
” আপনি কী খেলেন দাদু ? — দুপুরে। “
চিনু শুধালো কাগজের নৌকা বানাতে বানাতে।
” আমি খেলাম তোমাদের মতোই খিচুড়ি।আর তার সঙ্গে মিষ্টি কুমড়োর ফুলের বড়া।”
দাদুর বলা শেষ হতে হতেই ফুলুপিসি ঘরে ঢুকলেন। হাতে কাঠের কারুকার্য করা ট্রে। তাতে একটা ধব ধবে সাদা কাপ আর একটা কাঁসার জামবাটি। ট্রেটা সামনের টি- টেবিলে রাখতে রাখতে ফুলুপিসি বললেন, “বাটিতে কুমড়োর বড়া আছে। গরম গরম সব খেয়ে নিস।”
আমরা সকলে হাতে হাতে তুলে নিলাম গরম গরম ফুলের বড়া। মুখে দিয়ে খেতে শুরু করলাম। আঃ!চমৎকার স্বাদ। হালকা ঝাল ঝাল লাগছে খেতে।
লাট্টু বললে, দাদু ফাটাফাটি হয়েছে কুমড়োর বড়া।
বলে সোফা তে একটা থাবর মারলো।
–তাই বলে সোফাটা ফাটিয়ে দিস না।
দামু মোড়ার উপর বসে বসে ফুলের বড়া চিবাতে চিবাতে বললো।
ওদিকে দাদু টি- টেবিলে রাখা ট্রেটা থেকে সুদৃশ্য সাদা চায়ের কাপটি হাতে তুলে নিয়েছেন। নিয়ে তাতে একটি আয়েশী চুমুক দিয়ে বললেন,” আজ তোমাদের আমার জীবনে ঘটা একটি ঘটনার কথা বলি।”
–ভূতের ঘটনা কী ?
চামেলী শুধালো।
“তা বলতেও পারো। তো ঘটনাটা শুনতে চাও তো সকলে ? “
চায়ের কাপে সশব্দে দ্বিতীয় চুমুকটি দিয়ে দাদু আমাদের দিকে তাকিয়ে শুধালেন।
–হ্যাঁ, হ্যাঁ- বলুন ,বলুন-
আমরা সকলেই সোল্লাসে বলে উঠলাম।
“তখন আমি কায়রোতে থাকি।”
দাদু চায়ের কাপে তৃতীয় চুমুকটি দিয়ে বলতে শুরু করছেন ঘটনাটা।
“সালটা যতদূর মনে পড়ছে ১৯৫০ কী ‘৫১ হবে। ওখানে তখন আমি মমি নিয়ে গবেষণা করছি। “
–তার মানে কায়রো জায়গাটা মিশরে ! দাদু?
সোফার উপরে ,আমার পাশে বসে থাকা কাজু প্রশ্নটা করলো।
“একদম। এই কায়রো হলো আধুনিক মিশরের রাজধানী। যে শহরটার পাশ দিয়ে বয়ে চলেছে পৃথিবীর দীর্ঘতম নীল নদ।
তো যেটা বলছিলাম, আমার গবেষণাগারটি ছিল কায়রো শহর ছাড়িয়ে কিমি কুড়ি দূরে। কায়রো থেকে যাতায়াত করি। আমি আর আমার সহকারী আঙ। সরকার থেকেই আমাদের গাড়ী দেওয়া হয়েছিল। আর ঐ গাড়ীটাই ছিল আমাদের যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম। ওদিকে কোনো পাবলিক গাড়ী একদম যায় না। কারণ শহর ছাড়িয়ে কিমি সাতেক পর ছিল জন বসতিহীন অঞ্চল। চারপাশে ফাঁকা মাঠ , মরুভূমি। রাস্তার একপাশ দিয়ে কূলকূল করে বয়ে চলেছে নীল নদ। সভ্যতার নিদর্শন বলতে একটা পাকা রাস্তা। আর মমির গবেষণাগার। এছাড়া দিগন্ত জোড়া বালি আর বালি।সব নিয়ে এক আকাশ নির্জনতা।”
–উট চলে না ওদিকে ?
মিনি সামনের চেয়ার থেকে শুধালো।
“সে তো টুকটাক চলে। তবে উটের পিঠে চেপে কোথাও যেতে তো খুব সময় লাগবে। অত সময় আমাদের হাতে কোথায়।
তো তখন মমির গবেষণাগারটিতে আমাদের দু’ জনের দশ মাস মতো কাজ হয়ে গেছে। আর মাত্র দিন কয়েকের কাজ বাকি। তারপরই আমাদের এখান থেকে ছুটি।নিজের নিজের দেশে ফিরে আসতে পারবো।আমার সহকারী আঙ ফিরবে ওর নিজের দেশ চীনে। আর আমি আমার নিজের দেশ ভারতে। আমাদের দু’জনেরই দেশে ফেরার জন্য মনটা আনচান করছে। কত দিন দেশ ছাড়া যে।তাই দশটা পাঁচটা অফিস টাইম ছাড়াও আমরা বেশি বেশি করে কাজ করছি।যাকে আমরা বলি ওভার টাইম ডিউটি।যাতে কাজটা ক’টা দিন আগে শেষ করে দেশে ফিরে আসতে পারি। ফিরে এসে — দেশের মুখ, আত্মীয় স্বজনদের মুখ একটু আগে দেখতে পারি।দেখে মনটা দু’ দণ্ড জুড়াতে পারি।”
এত পর্যন্ত বলে দাদু থামলেন। টি-টেবিলে রাখা নীল জলের বোতলটা হাত বাড়িয়ে নিয়ে বোতলের মুখিটা খুললেন। খুলে তা থেকে কয়েক ঢোক জল খুব তৃপ্তি করে পান করলেন।
এদিকে বাইরে বৃষ্টির বিরাম নেই। ঘন অন্ধকারও নেমে এসেছে।ঘরের ইলেকট্রিক বাল্বের একফালি আলো খোলা দরজা দিয়ে ঘরের সামনের খোলা বারান্দাটায় গিয়ে পরছে। তাতে দেখতে পাচ্ছি– বারান্দাটা বৃষ্টির ছাঁটে ভিজে ভিজে।
“তো যেটা বলছিলাম।শেষের দিন।সেদিন সামান্য কাজ ই বাকি আছে।”
রাঙাদাদু জল পান শেষে একটা সিগারেট ধরিয়ে আবার বলতে শুরু করেছেন।
“দু’ জনে, মানে আমি আর আমার সহকারী আঙ ভেবেছি যে আজকেই কাজটা শেষ করে কাল দেশে ফেরার ফ্লাইট ধরবো। কিন্তু বিধি বাম। একটু কাজ হয়েছে কী হয়নি আঙ হঠাৎই অসুস্থ হয়ে পরলো। ভীষণ অসুস্থ।ওকে তড়িঘড়ি আমাদের অফিসের গাড়িটা করে শহরের সরকারী হাসপাতালে পাঠিয়ে দিলাম। আর গাড়ির ড্রাইভারকে বললাম রাত আটটার দিকে এসে আমাকে নিয়ে যেতে। কারণ মনে মনে হিসাব করে দেখলাম যে লাঞ্চ আর দু’ একবার বিরতি নিলেও আমার একা একা কাজটা শেষ করতে রাত আটটার বেশি হবে না।”
এই পর্যন্ত বলা হতেই ইলেকট্রিসিটি অফ হয়ে গেল। চারপাশ ঘুটঘুটে অন্ধকার। দাদুর গল্প বলা থেমে গেছে। আমরাও সব চুপ।বাইরে থেকে ব্যাঙের কোরাস ভেসে আসছে। তার সঙ্গে সঙ্গে বৃষ্টির রিমঝিম শব্দ। এখন বৃষ্টির বেগটা বেশ কমেছে। একটু বাদেই ভিতর বাড়ি থেকে একটা হলদে আলোর আভাস দেখতে পেলাম।দেখি ছোটদি মোমবাতি হাতে এই ঘরে ঢুকছে। ঘরে ঢুকে জ্বলন্ত মোমবাতিটা মোমদানী সহ টি-টেবিলে রেখে বললো, এবার সত্যি সত্যি ভূত আসবে দেখিস।
আমরা সকলে এপাশ ওপাশ থেকে সরে এসে দাদুর কাছাকাছি জড়সড় হয়ে বসলাম।
দাদু আর একটা সিগারেট ধরিয়ে আবার বলতে শুরু করলেন।
“ড্রাইভার তো আনকে হাসপাতালে নিয়ে চলে গেল।আর আমি সেই নির্জন গবেষণাগারে একদম একা হয়ে গেলাম। যদিও এখানে নাইট গার্ড আছে।কিন্তু সে তো সেই সন্ধ্যায় আসবে। ততক্ষণ এই গবেষণাগারে জীবিত মানুষ বলতে আমি একা। আর আমার সঙ্গে পুরো পঞ্চাশটি মিশরের মমি। নিজের একাকীত্ব কাটাতে সাথে আনা ফ্লাস্ক থেকে এক কাপ গরম ব্ল্যাক কফি ঢেলে নিলাম। সেই ধূমায়িত কফির কাপে চুমুক দিতে দিতে আবার কাজে মন দিলাম।”
–দাদু আপনার কাজটা ঠিক কী ছিল?
রুমি আমার বাম পাশ থেকে শুধালো।
“বাঃ! ভালো কথা। আমার কাজটা তোমাদের একটু বলে নেওয়া দরকার। এটুকু তো আগেই বলেছি যে আমার কাজটা ছিল মিশরের মমির উপর গবেষণা। তা সেই গবেষণাটি হলো মমিগুলির বয়স নির্ণয়। মানে মমিগুলো কত বছরের পুরনো। কী কী রাসায়নিক বা ভেষজ দিয়ে ওগুলো সংরক্ষণ করা আছে।এইসব আরও কিছু।
এবারে ফিরে আসি আবার সেদিনের ঘটনাটার কথায়। কিছুটা কাজ করতে করতে ঢং…..ঢং…. করে গবেষণাগারের মস্ত ঘড়িটাতে বারোটা বাজলো।দুপুর বারোটা। লাঞ্চের সময় হয়ে এলো।কাজ ছেড়ে স্নান করে নিলাম। তারপর লাঞ্চটা সেরে একটা সিগারেট ধরালাম। ধরিয়ে আবার কাজে লেগে গেলাম। টানা বেলা ছ’টা পর্যন্ত কাজ করলাম।
মাথা কপাল ধরে গেছে। এক নাগাড়ে এতক্ষণ কাজ করার জন্যেই হবে। একটু বিশ্রাম দরকার। আবার এক কাপ ব্ল্যাক কফি ফ্লাস্ক থেকে ঢেলে নিলাম।নিয়ে সামনের বারান্দায় এসে দাঁড়ালাম। রোদ একদম নেই।আকাশ দেখে বোঝা যাচ্ছে সূর্য সবে ডুবেছে।একঝাঁক মিশরীয় প্লোভার বেশ কিছুটা নীচ দিয়ে উড়ে গেল। এদেরকে ক্রোকোডাইল বার্ডও বলে। ওদের ঝাঁকটা উড়তে উড়তে দূর দিগন্তে মিলিয়ে গেল। আর ওরা মিলিয়ে যেতেই ঝুপ্ করে সন্ধ্যা নামলো।
আর একটু পর জাঁকিয়ে শীত পড়বে। এটা মরুভূমির দেশ। এখানে দিনে যেমন গরম, রাতে তেমন ই শীত। কফিটা শেষ করে এদিক ওদিক একটু পায়চারি করতে লাগলাম।এখন মাথাটা বেশ হাল্কা হাল্কা লাগছে। একটু শীত শীতও করছে।সঙ্গে আনা ব্যাগ থেকে শালটা বার করে গায়ে জড়ালাম।ড্রাইভার গাড়ি নিয়ে আসবে সেই রাত আটটায়। এখনও আমার হাতে ঘন্টা দু’য়েক মতো সময় আছে। তবে গবেষণাগারের সিংহ ভাগ কাজ ই শেষ হয়ে গেছে। বাকি কাজ শেষ হতে বড়জোড় মিনিট দশ কুড়ি লাগবে। এমন সময় ইলেকট্রিসিটি অফ হয়ে গেলো। চারপাশটা ঘন অন্ধকারে ঢেকে গেল।এদিকে এতদিন তো এরকম হয়নি।আজ আবার কী হলো! আমি আমার সঙ্গে আনা ব্যাগটা হাতড়িয়ে টর্চটা বার করলাম।কিন্তু এই ঘরে কোনো এমারজেন্সি লাইটের ব্যবস্থা নেই। এদিকে টর্চের ব্যাটারি ডাউন হয়ে গেছে। টিম টিম করে টর্চের বাল্বটি জ্বলছে। ইলেকট্রিসিটি কখন আসবে কে জানে। দেখি নাইট গার্ডের ঘরে কিছু আলোর ব্যবস্থা আছে নাকি।গার্ডের ঘরটা ও প্রান্তে।আমি বিন-বিন – বলে নাইট গার্ডের নাম ধরে কয়েকবার হাঁকালাম।কিন্তু ওর কোনো সারা শব্দ পেলাম না।খালি আমারই সেই হাঁক– নির্জন মস্ত গবেষণাগারের দেওয়ালে দেওয়ালে প্রতিফলিত হয়ে আমার কানে ফিরে এলো। তাহলে কী বিন এখনও আসেনি। আমি টর্চ জ্বালিয়ে লম্বা খোলা বারান্দা ধরে মিনিট দু’য়েক হেঁটে ওর ঘরের সামনে এলাম। ঘর তালা বন্ধ। তার মানে ও এখনও আসেনি। আমার কাছে ডুপ্লিকেট চাবি থাকে। পাঞ্জাবীর পকেট থেকে চাবির গোছা বার করে তালাটা খুলে ঘরে ঢুকলাম। এদিকে ওদিকে টর্চের আলো ফেলে ফেলে একটা মোমবাতি ছাড়া আর কিছু পেলাম না।তবে আমি সিগারেট খাওয়ায় আমার পকেটে দেশলাই থাকে সবসময়। তা দিয়ে মোমবাতিটা জ্বালালাম। জ্বালিয়ে বারান্দা দিয়ে হেঁটে হেঁটে গবেষণাগারের সেই ঘরটাতে আবার আসছি। মাঝ বারান্দায় একজন মহিলাকে দেখে দাঁড়ালাম। ভাবলাম বিন মানে নাইট গার্ডটির কেউ হবে হয়তো। কিন্তু পোশাক বড় অদ্ভুত। অনেক পুরনো আমলের।যেন বহু আগের কোনো রানী। মোমবাতির কাঁপা কাঁপা অল্প আলোয় মহিলাটির মুখটি অস্পষ্ট। আমাকে শুধালো,’ আজ কত তারিখ বলবেন?’
আমি বললাম।
— আর সাল ?
আমি একটু অবাক হলেও সেই সালটা বললাম। কারণ সাল কেউ শুধায় না। পুরো কথোপকথনটা হলো মিশরীয় আরবি ভাষায়।
তারিখ আর সাল শুনে মহিলাটি আমাকে ধন্যবাদ জানিয়ে বারান্দা দিয়ে হেঁটে হেঁটে বাইরে চলে গেল।ও চলে যেতেই আমার মনে হল, ওকে যেন চেনা চেনা লাগলো। কোথায় যেন দেখেছি। কোথায় যেন দেখেছি।কিন্তু ঠিক মনে করতে পারছি না।
আমি আর মাথা না ঘামিয়ে নিজের কাজের ঘরে ফিরে এলাম। মোবাতিটা ঠিক করে টেবিলে রেখে মমির কফিনের দিকে তাকিয়ে অবাক। কফিনের ঢাকনা খোলা যে ! আমার যতদূর মনে হচ্ছে, আমি তো ঢাকনা লাগিয়ে গিয়েছিলাম। তাহলে ! খোলা কফিনের কাছে গিয়ে আরও অবাক আমি ! ভিতরের মমিটি যে নেই। এটা কার মমি ছিল ! কফিনের বাক্সের নীচে নাম লেখা থাকে। সেখানে টর্চের আলো ফেলে দেখি আরবি ভাষায় লেখা ‘রানী ক্লিওপেট্রা’। আর তার নীচের লেখাটি দেখে আরো আশ্চর্য হলাম। সেখানে আরবি ভাষায় খোদাই করা সেই দিনের সাল ও তারিখটি।

কাণ্ডটা কায়রোর কাছে সায়েন্স ফিকশন গল্প – সমাপ্ত

আপনাদের লেখা আমাদের ওয়েব সাইটে জমা দিতে গেলে, অনুগ্রহ করে আমাদের লেখা-জমা-দিন মেনু-তে ক্লিক করুন ও নিজেকে Author হিসেবে Register করুন এবং আমাদের পরবর্তী আপডেট পেতে আমাদের ফেসবুক পেজ অনুসরণ করুন।

error: Content is protected !!