কলম পাতুরি

ভাবনা আপনার প্রকাশ করবো আমরা

Home » সায়েন্স ফিকশন গল্প » এলিয়েন সাইকোভেগাসের গল্প

এলিয়েন সাইকোভেগাসের গল্প

এলিয়েন সাইকোভেগাসের গল্প সায়েন্স ফিকশন গল্প – সুদীপ ঘোষাল

সুমন্তদা  শুধু গোয়েন্দা নন,তিনি একাধারে বিজ্ঞানী, বিচক্ষণ ব্যক্তি।তিনি বিভিন্ন বিষয়ে  আপডেট সংবাদ রাখতে আগ্রহী। তিনি বিজ্ঞান এর সংবাদ  সম্বলিত বইগুলো পড়েন আর তোতনকে বিশ্লেষণ করে বোঝান সেই কারণগুলো।কম্পিউটার আর মোবাইলের সাহায্যে এখন পৃথিবীকে হাতের মুঠোয় এনেছে মানুষ। টাকা নিয়েও তিনি কাজ করেন আবার সমাজসেবক হিসেবেও তার নাম আছেন। আজ গোয়েন্দা সুমন নিজের বাড়ির বারান্দায় বসে আছেন। এই সময়টাতে নিয়ে বিভিন্ন বিজ্ঞান সংবাদ এর বইগুলো পড়েন। গোয়েন্দা সুমনের নিত্যসঙ্গী তোতন। গোয়েন্দা সুমনের কথাবার্তা শুনছেন তোতন। সুমন বলছেন,  ভালুকের আত্মহত্যার প্রবণতা বৃদ্ধি পেয়ে গেছে পৃথিবীর তাপমাত্রা বৃদ্ধি হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই। দুই মেরুর বরফ গলতে শুরু করেছে।এই বরফের দেশের বাসিন্দা হলো শ্বেত ভালুক তাপ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে নিজেদের বাসস্থান হারিয়ে যেতে শুরু করেছে। 

এর ফলে সে দলই তাদের নতুন বাসস্থান খোঁজার জন্য মাইল মাইল বরফের ভেতর দিয়ে সাঁতার কাটতে আরম্ভ করেছে।

সুমন্তবাবু বলছেন, এই ভল্লুক গুলো সাধারণত বেশিরভাগ সাঁতারে অভ্যস্ত নয়।।তোতন বল্লো, তাহলে এই ভাল্লুকের ভীষণ বিপদ।

তারা তাদের বাসস্থান এর আশেপাশে ঘুরে বেড়ায়।প্রয়োজনমতো সাঁতার কাটে।

 কিন্তু তাহলে এতদূর সাঁতার কেটে ফিরে আসবে কি করে। 

তখন গোয়েন্দা সুমন বললেন, কিছু সাঁতার কাটতে কাটতে খোলা সমুদ্রের বুকে এসে পড়েছে। তারা তাদের বাসস্থান থেকে কিছু কিছু সময় 95 কিলোমিটার পর্যন্ত চলে আসতে দেখা গেছে। ফিরে যাবার ক্ষমতা থাকেনা এবং জলের মধ্যে দেহ ত্যাগ করে।

তোতন বলল, এটা জাপান মিনারেলস ম্যানেজমেন্ট সার্ভিসেস এর ‘এনভারমেন্ট নিউজ’ পত্রিকার নাম।

গোয়েন্দা সুমন বললেন, হ্যাঁ উত্তর উপকূলে গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে বেশকিছু শ্বেত ভালুক কে জলে সাঁতার কাটতে দেখা গেছে।

 ওই জায়গায় কুড়ি শতাংশ ভালুক আশ্রয় খুঁজে সমুদ্র ঝাঁপিয়ে পড়ছে এবং উত্তর মেরুর বরফ এশিয়ার প্রতি দর্শকের 10% গলতে শুরু করেছে। সেই হিসাব করে দেখেছি 1.5 মিলিয়ন কিলোমিটাে রবরফ নষ্ট হয়েছে।

গত চার বছরে আত্মহত্যার সংখ্যা  অনেক বেশি উঠেছে।

 নিজেদের মাংস নিজেরাই খাচ্ছে।খাবার নেই তাই।

 তারা একে অপরকে আক্রমণ করছে এই খাবারের অভাবে।

 এইসব জায়গাগুলোতে যেখানে এরকম ঘটনা ঘটেছে গবেষকরা পরীক্ষা করে দেখেছেন যে জায়গাগুলো মিশে গেছে সমুদ্রের বুকে।

তোতন এই কাহিনী শুনে খুব দুঃখ পেল।

হঠাৎ ঘরে প্রবেশ করলেন, এক বৃদ্ধ ব্যক্তি।

 তিনি বললেন তিনি এক বিপদে পড়েছেন। গোয়েন্দা সুমনের সঙ্গে কথা বলার আগে তোতনকে কথা বলতে হয়। 

তোতনের সঙ্গে কথা বলতে হয় বৃদ্ধ জানতেন না তোতন দরজা খুললেন।

 তোতন গিয়ে প্রথমে দরজা খুললন।

 তারপর বললন, কাকে চাই?

বৃদ্ধ বললেন আমি গোয়েন্দা সুমনের সঙ্গে দেখা করতে এসেছি

– বলুন আমাকে বলুন কি প্রয়োজন 

-আমার নাম তোতন। আমি তার সহকারি। তখন বৃদ্ধ ব্যক্তি বললেন, আমার একটা সমস্যা হয়েছে কিছুক্ষণ বসে আলোচনা করলেই ভালো হয় তখন বললেন তোতন বলল আসুন ঘরে আসুন বসুন।

তারপর বৃদ্ধ ব্যক্তিটি চা খেয়ে গোয়েন্দা সুমনের দেখা পেলেন।

 তার  সামনাসামনি বসলেন সুমন।

 বললেন, বলুন আপনার সমস্যা কি?

 বৃদ্ধ শুরু করলেন আমাদের এক প্রত্যন্ত গ্রামে বাড়ি। সেখানে হঠাৎ আমি একদিন রাতে আবিষ্কার করলাম এক প্রাণীকে সেটা পৃথিবীর প্রাণী নয় অন্য কোন গ্রহ থেকে আসা হয়তো তারা মানুষের ভাষা বুঝতে পারছে।  কিন্তু আমি এটা বলা মাত্র গ্রামে কোন লোক বিশ্বাস করছে না। গ্রামের লোক আমাকে পাগল বলছে। এটাকে দেখাতে না পারলে লজ্জায় আমাকে মরতে হবে। 

জীবটি লুকিয়ে পড়ে যে কোন এক জায়গায়। তাকে কেউ দেখতে পাচ্ছে না।

এখন আপনার সাহায্যে  প্রাণী কে আবিষ্কার করে আমার কথার সত্যতা প্রমাণ করাই এখানে আসার কারণ।

 তার জন্য অর্থ ব্যয় করতে আমি প্রস্তুত আছি।

গোয়েন্দা সুমন বলেন, আপনি আশ্চর্য হবেন না।  আরে বাবা  ভলতেয়ারের সেই বইটা পড়েন নি  যে পৃথিবীতে এসেছে তার চেহারা অদ্ভুত 24,000 জ্যামিতিক অংশ দিয়ে সেই জীবের দেহ তৈরি।

 প্রতিটি অংশের দৈর্ঘ্য 5 ফুট।

 তার নাকের দৈর্ঘ্য 5714 ফুট পড়েছেন। এত বড় নাকের মালিক  যিনি হন তাদের বুদ্ধি স্বাভাবিকভাবেই মানুষের চেয়ে অনেক বেশিগুণ হয়।

বৃদ্ধ বললেন আমিতো অতশত জানিনা আমার পড়াশোনা অতদূর নয়।

 আমি তবু দেখলাম সূর্যের বিপরীতে মানুষের ছায়া যত দীর্ঘ হয়।

সেরকম দীর্ঘ চেহারার ছায়ার মত কালো চেহারার লোক।

 লোক বলাই ভাল কারণ হচ্ছে এ লোক নয় অন্য গ্রহ থেকে আসা মনে হচ্ছে।

আমাদের পৃথিবীর মানুষ নয়।

আপনি গিয়ে সেটা আবিষ্কার করতে পারলে সব থেকে ভাল হবে।

সুমন বললেন নিশ্চয়ই যাবো আমরা আপনার ওখানে যাব ঠিক আছে আমরা আপনার সঙ্গে দেখা করে সমস্ত কথা বলব।

পরেরদিন গোয়েন্দার সাজে সেজেগুজে গোয়েন্দা সুমন সহকারি তোতনকে নিয়ে বেরিয়ে পড়লেন সেই বৃদ্ধের বাড়ির উদ্দেশ্যে।

 ঠিক 4 ঘন্টা ট্রেন জার্নি।

 পরে তারা তার বাড়িতে পৌঁছালেন।

বৃদ্ধ তৈরি ছিলেন তাঁদের অভ্যর্থনা জানানোর জন্য।

 তিনি নিয়ে গেলেন ঘরে এবং তাদের থাকার জায়গাটি দেখিয়ে দিলেন।

দুপুরে খাওয়া-দাওয়া করে গোয়েন্দা সুমন আর তোতন গ্রাম দেখতে বেরোলেন।

 বেশ বৈচিত্র্যে ভরা সবুজ সবুজ গাছগাছালি মন কেড়ে নেয়।পাশেই ফালি নদী। পাড়ে ফল গাছ।

 ভেতরে জঙ্গলের ভেতর দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে তোতন আর   সুমন কথা বলতে বলতে চলেছেন। এক জায়গায় তারা বসে পড়লেন। জঙ্গল খুব ভালোবাসেন গোয়েন্দা সুমন।

 তিনি সবুজ একটা পাতা হাতে নিয়ে বললেন এটা কি গাছের পাতা বলতো?

 তোতন বলল, এই পাতা আপনি হাত দিয়েছেন? আপনার তালুতে আছে কোন অস্বস্তি হচ্ছে না বলছেন না তালুতে বিছুটি পাতার কোন প্রতিক্রিয়া হয় না।

কিন্তু এটা ঘষে দিলে রস  যদি এদেহে লাগে তাহলে তখন জ্বলতে শুরু করে।

 বলছি, আমি চিনি এটা বিছুটি পাতা।তোতন বললেন। 

গোয়েন্দা সুমন আক্ষেপ করে বললেন এখনকার ছেলেরা এই বিছুটি পাতা, ডুমুর গাছ, নয়ন তারা গাছ, তারপর বাঁদর লাঠিগাছ এইগুলো কি আর চিনতে পারবে?

 কত বিভিন্ন রকমের প্রকৃতিতে গাছ আছে। যারা আপনাআপনি বেড়ে ওঠে। তাদের লাগাতে হয়না কদবেল গাছ বেলগাছ এগুলো আস্তে আস্তে যেন হারিয়ে যাওয়ার পথে। বিশ্বপ্রকৃতির কতটুকু চিনি আমরা ভাই।

 সুমন আর তোতনের কথা বলতে বলতে কখন যে সন্ধ্যা পেরিয়ে রাত নেমেছে তারা বুঝতেই পারেনি।

 হঠাৎ বন্ধ করলো তাদের আলোচনা একটা ছায়ামূর্তি।

কে যেন আড়ালে সরে গেলো।

 তোতন  ইশারা করে গোয়েন্দা সুমনকে, এগিয়ে গেলেন জঙ্গলের পাশে।

তিনি দেখতে পেলেন একটা ছায়ামূর্তি যাচ্ছে। ওরা দুজনেই পিছনে ছুটতে শুরু করলেন।

 তাড়া করতে করতে জঙ্গলে গভীরে গিয়ে ছায়ামূর্তি দাঁড়িয়ে গেল আগ্রহ ভরে।

 দাঁড়িয়ে পরিষ্কার বাংলা ভাষায় বলল কেন তোমরা আমার পিছু ধাওয়া করেছ? কোন প্রয়োজন আছে।

গোয়েন্দা সুমন উত্তরে বললেন আপনি এত সুন্দর পরিষ্কার বাংলা ভাষা কি করে বলছেন?

তখন ছায়ামূর্তি উত্তর দিলো, আমাদের গ্রন্থিতে ভাষা অনুবাদের গ্রন্থি ব্রেনে সিলেক্ট করা আছে যাতে আমরা সব ভাষাই বুঝতে পারি।

 গোয়েন্দা সুমন বললেন, আপনি কোন গ্রহ থেকে এসেছেন। 

ছায় বলল আমি ইউরেনাস গ্রহ থেকে এসেছি আমরা আমরা পৃথিবীতে বেড়াতে এসেছি। এখানকার জীব বৈচিত্র। এখানকার সবুজ প্রকৃতি বৈচিত্র দেখতে।

আমার মত অনেকেই এখানে এসেছেন। আপনার নাম কি?

 আবার সুমন জিজ্ঞাসা করল আপনার নাম কি? 

উত্তর দিলো ছায়া আমার নাম সাইকোভেগাস।

আপনার নামের সঙ্গে সাইকো যুক্ত কেন? 

প্রশ্নের উত্তরে বলল, আমরা সব মানুষকেই সন্দেহ করি। তারপর সন্দেহের তালিকা থেকে  তাঁর অন্তরের কথা বুঝতে পারি।

গোয়েন্দা সুমন বলল আপনাদের পরমায়ু কত সাইকোভেবগাস বলল, আমাদের পরমায়ু খুব কম। খুব কম।

তোতন বল্লো, কত কম বলুন না।

বলল, আমাদের পরম আয়ু মাত্র সাড়ে 600 বছর।

 আমরা মানুষরা তো 100 বছরে বুড়ো।

আমাদের চামড়া ঝুলে পড়ে।

 আশি বছর হলে আমরা হাঁটতে পারি না।

সাইকোভেগাস  বলল, তোমরা খাও তোমাদের খাওয়া-দাওয়া ঠিক না।

আমরা গাছের সবুজ পাতা আর সৌরশক্তি সাহায্যে বেঁচে থাকি।

 আর তোমরা খাও আর চৌদ্দবার করে মলত্যাগের জন্য যাওবাথরুমে।অই সময়টা আমাদের জীব উন্নয়নে কাজে লাগাই।কাজ করতে করতে খাই। বাকি সময় ঘুমোই। ঘুম না হলে উন্নয়ন বন্ধ।

তোতন বলল,এটা নতুন কথা। তারপর বলুন। 

 -আমরা বছরে একবার মাত্র মল ত্যাগ করি। গোয়েন্দা সুমন বললো আমাদের প্রকৃতি খুব সুন্দর। দেখে আপনার আনন্দ হবে আশা করি।

সাইকোভেগাস বললন, আপনাদের গ্রহে আরো গাছ লাগান।

 সবুজে ভরে তুলুন। তানাহলে, ‘ভেগো ভাইরাসে ‘ধ্বংস হয়ে যাবে এই গ্রহ।

তোতন বলল আমরা শুনেছি ইউরেনাস এত মাটি নেই।

সাইকো বলল আপনারা শুনেন অনেক কিছু কিন্তু কোনটাই সঠিক নয়।

 স্কাইল্যাব এ চড়ে আমরা মহাবিশ্বে ঘুরে বেড়াই। এই মহাবিশ্বের কতটুকু খবর রাখেন  আপনারা মানুষেরা।

গোয়েন্দা সুমন বললো আমরা দুজন আপনাদের গ্রহে যেতে চাই আপনি কি নিয়ে যেতে রাজি?

সাইকোভেগাস বলল, হ্যাঁ নিশ্চয়ই আমার সঙ্গেই আমার মহাকাশযান আছে।

আপনাদের বিশ্ব বাংলা লোগো ওই সবুজ রঙের গোল ফুটবলের মত আমাদের মহাকাশযান।

গোয়েন্দা সুমন আর তোতন মহাকাশযানে চেপে বসলো। গোয়েন্দা সুমন বললো আমাদের কয়েক ঘন্টার মধ্যেই ফেরত দিয়ে যাবেন তো?

সাইকো বলল, আমরা কথা ও কাজে সত্যতা রাখি। 

সাইকো বলল আমাদের প্রতিটি মিনিট খুব দরকারি তাই আমরা কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই আপনাকে এখানে পৌঁছে দেবো কথা দিচ্ছি।

মাত্র এক ঘণ্টার মধ্যে পৌঁছে গেল ইউরেনাস।প্রচুর অক্সিজেন।হাল্কা শরীর তোতন বলল। সুমন বললেন, এ জয়ফুল প্ল্যানেট ফর গ্রীন। 

 এত মহাকাশযানের গতি দেখে গোয়েন্দা সুমন অবাক। বলল আপনাদের এখানে এত নিশ্চুপ কেন। এত চুপচাপ সব কথা বলছে।

 সাইকো বলল আমাদের এখানে মানুষ বলি না।  মানুষ তো নয় এদের অন্য নাম আছে।ভার্জিন প্লানেটেরিয়ান।

 এই  গ্রহে বেশিরভাগ সময় রাতে ঘুমোতে হয় এবং ঘুমিয়ে থাকার ফলে এদের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ বিশ্রাম পায় এবং পরম আয়ু বাড়ে।

কিন্তু গোয়েন্দা সুমন বলল আপনারা কি করে এত উন্নত হলেন এই সামান্য ঘন্টা জেগে থেকে। সে বলল আমাদের প্রতিটা মিনিট হচ্ছে ঘন্টার সমান।

আমরা প্রত্যেকটা মুহূর্তকে সুন্দর কাজে ব্যয় করি।

গোয়েন্দা সুমন বললেন, এই রহস্য আমাকে একটু বিশ্লেষণ করুন বলুন।

তখন সাইকোভেগাস বলল প্রায় উনিশ লক্ষ বছর ধরে এই বারোঘন্টা বাধ্যতামূলকভাবে এই গ্রহে শারীরবৃত্তীয় বিবর্তন ঘটেছে।

আমরা উপযোগী হয়ে উঠেছি এই গ্রহে। এটা লক্ষ্য করবার মতো আমাদের যেমন দিনের বেলায় খিদে পায়। রাতে সে অনুভব খিদে  করে না।

অল্প বয়সে যারা আমাদের গ্রহের ঝটপট করে কিন্তু রাত্রে 12 ঘণ্টা ঘুমিয়ে না খেয়ে কাটিয়ে দেয় কি করে এটা সম্ভব হয় একমাত্র মানবদেহে অপেক্ষাকৃত অল্প পরিমাণে যার জন্য হয়।

গোয়েন্দা সুমন ঠিক ধরেছেন এই পয়েন্টটা বললেন আমাদের মানব শরীরে ঘ্রেলিন হরমোন  নিঃসরণঘটে। এটা তো আপনাদের জীবনের সঙ্গে মানবজীবনকে মিলিয়ে দিচ্ছে। সাইকোভগাস বলল,  অতএব নিশ্চিত হয়ে যান। আপনাদের পরমায়ু ক্রমশ বাড়তেই থাকবে। তবে শর্ত হল সবুজ গ্রহ চাই।

 তাহলে এটা কিন্তু আপনাদের গ্রহের জীবের সঙ্গে আমাদের গ্রহের জীবের হরমোন  একদম মিলে যাচ্ছে।

সাইকোভেগাস বলল দীর্ঘকালীন হরমোন নিঃসৃত অপেক্ষাকৃত অল্প পরিমাণে যার জন্য দেহে ক্ষুদ্র উদ্যোগ সামান্য হয় অন্যদিকে ওই সময় ক্ষুদ্রতম নিঃসরিত হয় এই দুটি রাসায়নিক যৌগের সমানুতা নিয়ে বিব্রত হয় না মানুষ নিশ্চিন্তে ঘুমোতে পারে ঘুমের সঙ্গে সরাসরি সম্পর্ক রয়েছে কেননা ঘুমের দৈর্ঘ্য যখন 8 ঘন্টা থেকে কমিয়ে 5 ঘন্টা না হয় তখন দেখা যায় ক্ষুদ্র ঋণের পরিমাণ শতকরা 15 ভাগ বেড়ে গেছে অন্যদিকে ক্ষুদ্র ঋণের পরিমাণ শতকরা 15 ভাগ কমে গেছে।

সাইকোভেগাস বলল এই শরীর দীর্ঘ ঘুমের উপযুক্ত হয়ে বিবর্তিত হয়েছে বর্তমান জিভে কাজের পরিমাণ বাড়ায় ঘুমের পরিমাণ কমে গেছে প্রতিদিন 12 ঘণ্টা ঘুম মনে হয় সর্বনিম্ন পরিমাণ এর থেকে কম হলে শরীর ও মনে নানা রকম বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা যায় ভূমি মানুষের সঞ্জীবনী সুধা সবচেয়ে বড় এবং সবচেয়ে কার্যকর শারিরীক ও মানুষিক বন্ধু শত দুঃখ ভরা রাত্রি যখন প্রয়াত হয় তখন রাতের ঘুম থাকে এক নতুন মানুষের পরিণত করে সকল আশা উদ্দীপনা নিয়ে নতুন করে জীবন সংগ্রামে।

বন্ধু সুমন বললো তাহলে এই ঘুমের পরিমাণ পৃথিবীর মানুষের বেড়ে গেলে তাদেরও পরমায়ু আপনাদের মত বেড়ে যাবে সাহস বললো নিশ্চয়ই বাড়বে এবং এটাই একমাত্র উপায় কিন্তু একটা শর্ত আছে শর্ত হলো সবুজ গ্রহ চাই সবুজ ছাড়া মানুষের মুক্তি নাই ।

তোতন বলল তাহলে আমরা শিখলাম মানুষের বার্ধক্য ত্বরান্বিত হয় দীর্ঘকাল ধরে নিবে করলে শরীরে কার্বোহাইড্রেট মেটাবলিজম সংক্রান্ত ব্যাহত হয় দেহ কোষের মধ্যে অক্সিডেশন বর্জ্য পদার্থের পরিমাণ বাড়ে তার ফলে কোশপর্দার ডিএনএর ক্ষতি হয় বহু পরীক্ষার ফলে এটা আজ প্রমাণিত হয়েছে যারা 6-7 ঘন্টা ঘুমায় তারা 4-5 ঘন্টা ঘুমায় তাদের থেকে।

সাইকোভেগাস বলল আমি শুনে খুশি হলাম সুমনের সাহায্যকারী তথনও যে এত জ্ঞানী মানুষ তা দেখে আমার ভালো লাগলো আপনারা দীর্ঘজীবী হোন।

সাইকোভেগাস বলল শুধু ক্যান্সার নয় দীর্ঘ একটানা নিদ্রা ঠান্ডায় অসুস্থ হয়ে পড়া আলসার মানসিক অবসাদ কাটাতে সাহায্য করে রাত্রে সুনিদ্রা দেহের ইমিউন সিস্টেমকে সতেজ করে ক্ষতিপূরণের সাহায্য করে আমাদের অজান্তে আমাদের সমস্ত পাকস্থলীর লাইন মেরামত করে রক্তে সংক্রমণ প্রতিহত করা উপযোগী কোষের সংখ্যা বৃদ্ধি করে এবং মেলানিনের পরিমাণ বাড়িয়ে তোলে এই মেলাটোনিন দেহে ক্যান্সার রোগ প্রতিহত করবার সময় উপযোগী একটি এন্টি-অক্সিডেন্ট যেসব নারীরা কাজকর্ম করে তাদের ঘুমের সময় বারবার পরিবর্তন ঘটলে তাদের স্তনে ক্যান্সার হবার সম্ভাবনা 70 গুণ বেড়ে যায়।

গোয়েন্দা সুমন বলল আপনি মানুষ মানবদেহের শরীরে মানবদেহ সম্পর্কে এত কিছু জানলেন কি করে সাহস বলল ওই যে বললাম আমরা সারা মহাবিশ্বের সমস্ত খোঁজখবর আমাদের রাখি আমরা যখন তখন কম্পিউটারের 10000 কাজ করতে পারি।

গোয়েন্দা সুমন এই ধরনের জীব দেখে অবাক ইউরিনে শেষে ঘুরতে পেয়ে অবাক তদন্ত খুশিতে মগ্ন কি করে এবার ফিরে যাবে সেই নিয়ে তারা চিন্তায় মগ্ন আমাদের সেই বৃদ্ধ ব্যক্তি খুঁজে হয়তো বেরিয়ে পড়েছেন সারা গ্রামের লোকদের নিয়ে তখন সে বলল আপনি চিন্তা করবেন না কয়েক ঘন্টার মধ্যে আপনাদের পৃথিবীতে ফিরে আসব। 

গোয়েন্দা সুমন বলল, মানুষের শরীর আর আপনাদের শরীরের মধ্যে পার্থক্য গুলো কি কি একটু বলুন।

সাইকোভেগাস বলল, মানুষের শরীরের প্রতিটি কোষে 23 জোড়া ক্রোমোজোম থাকে।

 কিন্তু আমাদের গ্রহের জীবে কম করে 523 জোড়া ক্রোমোজোম থাকে।

এই মানুষের দেহে 23 জোড়া মধ্যে 22 জোড়া ক্রোমোজোম বাকি একজোড়া কে বলা হয় সেক্স ক্রোমোজোম।

কিন্তু আমাদের মধ্যে ক্রোমোজোমের সংখ্যা অনেক বেশি সংখ্যক থাকার ফলে  উন্নত অতিউন্নত লক্ষণ প্রকাশিত হয়। 

সাইকোভেগাস আবার বললো, প্রোটিন প্রয়োজনের নির্দেশ দেয় শরীরের ক্লান্তি।

 ধারণা ছিল মানুষের প্রায় 1 লক্ষ জিন আছে এখন জানা গেছে এই সংখ্যা প্রায় 30 হাজার।

আমাদের দেহে এর সংখ্যা 30 কোটির মত একটি ক্রোমোজোমে  সারিবদ্ধ ভাবে মালার মত থাকে। যেহেতু আমাদের গ্রহের জীব, প্রাণী স্বাভাবিক অতিমানবিক শারীরিক-মানসিক বৈশিষ্ট্য বিশিষ্ট।

এটা সহজেই অনুমেয় যে এই অতিমানবিক অবস্থার জন্য জিন দায়ী। এ

অবস্থা ছাড়াও দৈহিক বিকৃতি অসম্পূর্ণতা অস্বাভাবিক গঠন মানসিক প্রতিবন্ধকতা জরায়ু ক্যান্সার ইত্যাদির জন্য দায়ী এই জীন বৈশিষ্ট্য।একে বিভিন্ন রকম ভাবে ভাগ করা হয়েছে আপনারা জানেন একটি জিন হচ্ছে প্রবলভাবে প্রকাশিত আরেকটা হচ্ছে প্রচ্ছন্নভাবে প্রকাশিত।

তোতন বললো তাহলে আপনাদের আমাদের এই শরীরের মতো শরীর নয় কেন?

 মনে হয় যেন আমাদের ছায়া।

 ছায়ার মতো শরীর অন্ধকারময় কেন?

 সাইকোভেগাস বলল,এটা হয় তখন ,  আমরা বায়ুর  থেকে প্রতিসরাঙ্ক কমিয়ে অদৃৃশ্য হতে পারি। বায়ুর প্রতিসরণাঙ্কের সমান করলে ছায়ার মত হতে পারি। অহেতুক আমরা প্রকাশিত হতে চাই না। আমরা আড়ালে থাকতে ভালবাসি। 

 বায়ুর থেকে কম করলে আমরা ভ্যানিশ হয়ে যেতে পারি। অবাক করে অনেক সময় আমরা ভ্যানিশ হতে পারি।

বিশ্ব বাংলার লোগোর মতো সবুজ গোল ফুটবলের মত গ্রহে  যানে চেপে  ভালই লাগছিল। সুমন, তোতনের কথা হল ভালভাবে। এতদিন অবাক জগতে ছিল। আজ বাস্তব জগতে পদার্পণ করার আগে উত্তেজনা হচ্ছিল তাদের। তারা আস্তে আস্তে গল্প করছিল। তাদের ড্রাইভার ছিল ভেতরে।

তারপর পৃথিবীতে নেমে তারা তোতন এবং সুমনকে বাইরে আসতে বলল।

সুমনা তোতন বাইরে বেরিয়ে এসে দেখল অনেক লোকের ভিড়। সবাই খোঁজাখুঁজি করছে টর্চ নিয়ে লাইট নিয়ে।

জঙ্গল আলোময় হয়ে উঠেছে। এখন রাত দুটো বাজে। তারা অন্য গ্রহে গেছিলো প্রায় ছয় ঘন্টা।সবুজ গোল যানের গতিবেগ আলোর গতিবেগের থেকও বেশি –সুমন বললেন। 

সবাই দেখলো তিনটে ছায়ামূর্তি দাঁড়িয়ে দুজনকে তারা চিনতে পারল।

 কিন্তু একজন কে চিনতে পারল না।

 তখন গোয়েন্দা সুমন বললেন, ইনি হচ্ছেন আপনার দেখা সেই অন্য গ্রহের  জীব ছায়া।

যিনি আমাদের তাদের গ্রহে নিয়ে গেছিলেন। আমরা দেখে এলাম।আমরা বলি এলিয়েন। 

সুমনবাবু আরও বললেন বিজ্ঞানের কল্পনার কথা, আমাদের পৃথিবীর বাইরে প্রাণীর অস্তিত্ব আছে কিনা বা সত্যিই এলিয়েনের অস্তিত্ব আছে কিনা, তা নিয়ে তর্ক-বিতর্ক কখনই শেষ হবার নয়। কেউ বলছেন প্রাণের অস্তিত্ব আছে আর কেউ বলছেন তা কল্পনা মাত্র।বিজ্ঞানের অগ্রগতির সাথে সাথে এ বিষয়ে মানুষের কৌতুহল শুধু বেড়েছেই। তবে এ মাসের শুরুতেই বৈজ্ঞানিক মনিকা গ্রেডি মন্তব্য করেছিলেন যে, তিনি ‘প্রায় নিশ্চিত’ যে জুপিটারের একটি চাঁদ ‘ইউরোপা’য় প্রাণের অস্তিত্ব আছে।তবে সেটি হাঁটাচলা করতে পারার বা কথা বলতে পারা কোনো এলিয়েন না হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। লিভারপুল হোপ ইউনিভার্সিটির গ্রহ ও মহাকাশ বিষয়ক বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মনিকা গ্রেডি বলেন, সেখানে যে ধরণের প্রাণের অস্তিত্ব পাওয়া যাবে, তা ‘অক্টোপাসের বুদ্ধিমত্তার কাছাকাছি প্রাণী’ হতে পারে।তিনি মনে করেন ঐ প্রাণীটি ইউরোপার বরফের নিচে থাকতে পারে।

বৃহস্পতি গ্রহের যে ৭৯টি চাঁদের সম্পর্কে জানা গেছে, ইউরোপা তার মধ্যে একটি। এটি ১৫ মাইল পুরু বরফের আস্তরণে ঢাকা।অধ্যাপক গ্রেডি মনে করেন মঙ্গলগ্রহে প্রাণের সন্ধান পাওয়া গেলেও সেখানে খুব উন্নত বুদ্ধির কোনো প্রাণী পাওয়া যাওয়ার সম্ভাবনা কম। তিনি বলেন: “মঙ্গলগ্রহে যদি প্রাণের সন্ধান পাওয়াও যায়, সেটি খুবই ক্ষুদ্র আকৃতির হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। যেমন ধরুন, ব্যাকটেরিয়ার মত।

এবছরের শুরুতে মার্কিন মহাকাশ বিজ্ঞানীদের একটি দল ধারণা প্রকাশ করেন যে তারা যদি মহাকাশে অক্সিজেনের অস্তিত্ব খুঁজে বের করতে পারেন তাহলে প্রাণের অস্তিত্ব খুঁজে পেতেও সক্ষম হবেন।যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা পৃথিবীর বাইরে অন্যান্য গ্রহে অক্সিজেন গ্যাস খোঁজার একটি পদ্ধতিও আবিষ্কার করেছেন বলে জানিয়েছেন।নতুন গ্রহে আসলে প্রাণ থাকতে পারে?অবশেষে যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা (নাসা) পৃথিবীর অদূরেই একটি ‘বাসযোগ্য’ গ্রহের খোঁজ পেয়েছে বলে জানিয়েছে।

তোতন বললেন, তাহলে স্যার আমরা তার সাক্ষাৎ দর্শন পেলাম। সুমনবাবু বললেন, গত সোমবার নাসা দাবি করে নতুন ওই গ্রহ পৃথিবী থেকে ‘মাত্র’ ১০০ আলোকবর্ষ দূরে। পৃথিবীর আকৃতির ওই গ্রহের নাম দেওয়া হয়েছে ‘টিওআই৭০০ডি’। এটি ‘টিওআই৭০০’ নামের একটি নক্ষত্রকে প্রদক্ষিণ করছে।বিজ্ঞানীরা জানান, টিওআই৭০০ নামের ওই নক্ষত্র ও তাকে প্রদক্ষিণরত তিনটি গ্রহ আবিষ্কার করেছে টেস। এর মধ্যে টিওআই৭০০ডি নক্ষত্রটিকে এমন দূরত্ব থেকে প্রদক্ষিণ করছে, যা ওই সৌরমণ্ডলের বাসযোগ্য অঞ্চল হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। সূর্যের সঙ্গে পৃথিবীর দূরত্বের বিবেচনায় এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন বিজ্ঞানীরা। এই দূরত্বে তরল পানির অস্তিত্ব থাকা সম্ভব বলে দাবি করেছে নাসা।

পরে আপনাকে বলা যাবে এখন উনাকে আমরা বিদায় সম্ভাষণ জানাবো। এলিয়েন সুমন্তবাবুর জ্ঞানের প্রশংসা করলেন। সাইকো বললেন, আপনাদের মত জ্ঞানী লোক এই পৃথবীর সম্পদ।

বৃদ্ধ ভদ্রলোকসহ সকলে অবাক বিস্ময়ে আকাশে দেখল তুবড়ির রোশনাই আর শুভেচ্ছার ভরসা পৃথিবীবাসির আগামী দিনের জন্য। 

এলিয়েন সাইকোভেগাসের গল্প সায়েন্স ফিকশন গল্প – সমাপ্ত

আপনাদের লেখা আমাদের ওয়েব সাইটে জমা দিতে গেলে, অনুগ্রহ করে আমাদের লেখা-জমা-দিন মেনু-তে ক্লিক করুন ও নিজেকে Author হিসেবে Register করুন এবং আমাদের পরবর্তী আপডেট পেতে আমাদের ফেসবুক পেজ অনুসরণ করুন।

error: Content is protected !!