দাবিটা দারিদ্র্যের কবিতা- ঐশী পাল
অনামিকা বাবার কানে কানে গিয়ে বললো, “বাবা, স্কুলের ফিসটা…”
বাবা প্রতিমার চোখ আঁকাচ্ছিলেন। বললেন,”দিয়ে দেবো..”
অনামিকা ঘরে চলে গেলো…
বাবা চোখ আঁকা রেখে মুখটা নিলেন দূর্গা মায়ের কানের কাছে।
“মা রে, কটা দিন আগে এলে পারতি! তুই কটা দিন আগে এলে, তোর মায়ের চিকিৎসাটা করাতে পারতাম, মায়ের মুখটা শেষবারের মতো বোধ হয় দেখতে পারতি…”
“মা রে, কলা বউকে কেন মাটির বউ বানালি না? আরেকটা প্রতিমায় আরো কিছু টাকা পাওয়া যেতো… আমাদের মতো ভাস্করদের ঘরে একটা শক্ত ছাউনি দেওয়া যেতো…”
“মা রে, তোরা আসিস, বাবাকে কেন আনিস নে? বাবা তো দূরে থাকে, বাবা যদি আরেকটু কাছে আসতো, না মানে বাবার মূর্তিটা যদি আরেকটু বড় করে গড়তে পারতাম, আমাদের মতো ভাস্করদের ওরা কটা টাকা বেশি দিতো, এই আরকি!!”
” মা রে, বলছি যে, এলি যখন, কটা দিন বেশিই থেকে যা না, না মানে, তোর ঐ ছোটো ভাইটা না, ছোটো খাটো গাইয়ে, পুজোর কদিন পাড়ার কনসার্টে গান গায়, রোজ কিছু টাকা দিয়ে দেয় ওকে৷ দু চার দিন বেশী থেকে গেলে কটা টাকা বেশি হবে তো…
ঐ যে শুনলি না!
অনার স্কুলের ফিস টা দিতে পারতাম আর কি…”
তোকে যে এত দাবী নিয়ে কথাগুলো বললাম না মা…
দাবিটা কীসের জানিস তো…
দাবিটা দারিদ্র্যের!
দাবিটা দারিদ্র্যের কবিতা- সমাপ্তি
যে কেউ তাদের লেখা জমা দিতে চান। অনুগ্রহ করে আমাদের লেখা জমা দিন পৃষ্ঠায় জমা দিন| এবং যারা লেখা জমা দিচ্ছেন। পরবর্তী আপডেট পেতে আমাদের ফেসবুক পেজে অনুসরণ করুন।
অন্যান্য
ভালোবাসার দেবালোকে
বিজয়া দশমী
এক চিলতে রোদ্দুর