রাত দেখার কবিতা – বদরুদ্দোজা শেখু
কী হবে বাড়িতে থেকে ? চলো —-
আকাশের নীচে যাই, দেখি ঝিকিমিকি
তারার জোনাকিগুলো , আলেয়ার আলো
আঁধারের কালো রূপ , পুঞ্জস্তূপ
ছায়াপথ, শুঁড়িপথ যেন রাতের আকাশে
শূণ্যতার আদর্শ উদ্যান , প্রাণের জগৎ
ঘুম চোখে হয়তো তাকাবে নাকি তাকাবেনা
তাতে কী এমন আসে যায় ?
পাদপেরা দেখলেই হলো,
আমরা শুনবো তাদের যা ফিসফাস
নিশি যাপনের বিমর্মর, নিশাচর পাখিদের
ডানার ঝাপট, চোখ মটকানো শ্বাপদের
অবিশ্বাস ঘুরবে ফিরবে অধৈর্য্যের
আশপাশে , শয়তানের প্রেতগুলো
শ্মশানে কি গোরস্থানে ঘুরেও যদি-বা,
আমরা তাদের দেখবো না, দেখলেও আচমকা
হবো না বিদ্বেষী। কমবেশি রাতের পরশটুকু
নেবো জল-মাকড়সার আন্দোলনে
তরঙ্গ-রেখার মতো সাবলীল বোধে।
আকাশের ছায়ানীল দেখে দেখে
বড়ো ক্লান্ত মন ঘরের বাসনা ছেড়ে
রজনীর রহস্য কুড়োতে চায়,
চৈতন্যের নিদাঘ জুড়োতে চায়,
তুমি রাত দেখতে যাবে তো ?
সারা দিনমান কতো কাজকর্ম মান অভিমান
আনন্দ বিষাদ সাধ-স্বপ্ন প্রসাধন ,সম্পর্কের
কাটাছেঁড়া, ভাঙাচুরা তল্পিতল্পা তদারকি
আগাছা-গুচ্ছের আয়োজন বিলক্ষণ
বাড়ায় নিদাঘ শুধু চৈতন্যের,
ঘরকে কারার সন্ধিগৃহ মনে হয়,তাই
রাত দেখে স্নিগ্ধতার রহস্য কুড়োতে চাই
চৈতন্যের নিদাঘ জুড়োতে চাই,
তুমি রাত দেখতে যাবে তো ?
রাত নয়, মনে করো —-
নিদাঘের উল্টো পিঠ সে তো ।।
রাত দেখার – সমাপ্তি
যে কেউ তাদের লেখা জমা দিতে চান। অনুগ্রহ করে আমাদের লেখা জমা দিন পৃষ্ঠায় জমা দিন| এবং যারা লেখা জমা দিচ্ছেন। পরবর্তী আপডেট পেতে আমাদের ফেসবুক পেজে অনুসরণ করুন।
অন্যান্য
ভালোবাসার দেবালোকে
বিজয়া দশমী
এক চিলতে রোদ্দুর