প্রোমোটার রাজ ছোটো গল্প – মানসী গাঙ্গুলী
“কাকাবাবু কেমন আছেন?” কিছুদিন যাবৎ সুধীনবাবু বাড়ির বাইরে কোনো কাজে বেরোলে বা বাজার যাবার সময় প্রায়ই এ ধরনের আন্তরিক(?) প্রশ্ন ধেয়ে আসছে তাঁর দিকে। গায়ে পড়ে এমন অন্তরঙ্গতা, এমন খেজুরে আলাপ সুধীনবাবুর কোনোদিনই ভালো লাগে না। তার ওপর কিনা এইধরণের ছেলেদের কাছ থেকে! অথচ এড়াতেও পারেন না। এরা পাড়ার বখাটে ছেলের দল, পেটে বিদ্যের বালাই নেই। এদের সঙ্গে বেশি কিছু বলাও যায় না, ইচ্ছেও করে না, রুচিতে বাধে। তাই নির্বিবাদে নিজের কুশল সংবাদটুকু কেবল জানান, কোনোরকমে “ভাল আছি” বলে। আবার কখনও বা “কোনো অসুবিধা হলে জানাবেন কাকাবাবু। বয়েস হয়েছে একা একা থাকেন, ছেলে তো বিদেশে থাকে, যখন তখন দরকার হলেই ছুটে আসা সম্ভব নয় জানি, আমরা আছি একদম চিন্তা করবেন না। আমরাও তো আপনার ছেলের মতোই”, বলে যেচেই নিজেদের ফোন নাম্বার দেয়। মনে মনে সুধীনবাবু খুব ভাল করেই জানেন কোনো অসুবিধাতেই তিনি ওদের ডাকবেন না, কোনো অবস্থাতেই নয়। বেশ বুঝতে পারছেন তিনি, এ হল মিষ্টি কথায় চমকানো। এলাকার কুখ্যাত প্রমোটার রথীন মল্লিকের সাথে এদের ওঠাবসা।
কলকাতার অভিজাত এলাকায় সুধীনবাবুর বিশাল বনেদী বাড়ি। একসময় তিনমহলা এই বাড়ি ছিল পরিবারের সদস্যদের হাঁকডাকে সরগরম। ভোরবেলা থেকে রাতে শোওয়া পর্যন্ত এ বাড়ি কোনো সময়েই নিরিবিলি থাকত না। বাড়িতে তিনটে উঠোন, যার একটা বাড়ির বড়রা ব্যবহার করতেন। কাপড় শুকাতে দেয়া, আচার রোদে দেওয়া, গাছের সুপুরি শুকাতে দেয়া, বাড়ির বউরা সদা ব্যস্ত হয়ে ঘোরাঘুরি সেখানে। একটায় কুঁচোকাঁচাদের হুড়োহুড়ি, আরেকটা একটু বড় ছেলেপুলেদের কলকাকলিতে মুখর। আর আজ বাড়িতে কেবল দুটি প্রাণী, তিনি ও তাঁর স্ত্রী। বেশিরভাগ সদস্যই বিদেশে স্থায়ী বসবাসের কারণে বাড়ির অংশ ছেড়ে দিয়েছে, কেবল সুধীনবাবুই পারেননি পৈতৃক এই ভিটে ছেড়ে যেতে। একমাত্র ছেলে আমেরিকায়, বিদেশিনী বউ ও তিন ছেলে নিয়ে বছরে একবার আসে। একমাস থাকে এদেশে, তার মধ্যে এদিক ওদিক ঘুরতেও যায়। বারবার বলেও বাবা-মাকে একবারের জন্যও আমেরিকা নিয়ে যেতে পারেনি সে। ওই বাড়ি ছেড়ে সুধীনবাবু কোথাও যেতে চান না, বাড়ি তাঁর প্রাণ। এই বাড়িতেই জন্ম তাঁর, এখানেই যেন যত সুখ। হলে হবে কি, সুখ তাঁর যেতে বসেছে। পাড়ার লোচ্চার ছেলেগুলো সেই যে শুরু করেছে রোজই প্রায় সেধে সেধে কথা বলে। বড্ড যেন গায়েপড়া। সুধীনবাবুর সহ্য হয় না, মনে মনে প্রমাদ গোনেন তিনি। বাইরে বেরোলেই এরা যেন কোথা থেকে উদয় হয়, যেন তাঁর জন্যই ওঁত পেতে অপেক্ষা করছিল। ভালো করেই জানেন যে হেন কাজ নেই এরা করতে পারে না। এক অশান্তিতে পড়েছেন তিনি যা সারাদিন কুরে কুরে খাচ্ছে তাঁকে। রাতের ঘুমও মাথায় উঠেছে তাঁর। প্রায়ই রাতে বিছানা ছেড়ে উঠে পায়চারি করতে থাকেন ঘরের কোলে বিশাল লম্বা দালানের এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্তে, একাকী, অন্ধকারে।
বাড়তে বাড়তে একদিন তিনি বাজারে যাবার পর কেষ্টা, বিশে দু’জনে এসে তাঁর স্ত্রীর কাছে খাবার জল চায়। কেউ জল চাইলে তো আর না বলা যায় না, সরমাদেবী তাই জল দিলেন। জল খেয়েও ওদের যাবার নাম নেই, ওরা খেজুরে আলাপ শুরু করে। তিনি এড়াতে পারেন না। ওরা বারান্দায় বেতের় চেয়ারে এসে বসে, যেখানে দু’বেলা সুধীনবাবুর সাথে তিনি বসে চা খান, গল্প করেন। চলে যেতেও বলতে পারেন না, অসুবিধা বোধ করেন। তিনি চাইছেন সুধীনবাবু আসার আগে যেন ছেলে দুটি চলে যায়, না হলে উনি এসে দেখলে না জানি কি অশান্তি বেধে যায়। কিছু বাদে ছেলেদুটি বলে, “কাকিমা একটু চা খাওয়ান না, সেই কখন থেকে বসে আছি,ভাবলাম আপনি নিজেই দেবেন, তা বললেন না যখন নিজেরাই মুখ ফুটে বললাম”। রান্নার মেয়েটিকে ওদের দু’কাপ চা দিতে বলে ভেতরে গিয়ে বসলেন সরমাদেবী, কি করবেন ভেবে উঠতে পারছেন না। অবশেষে ছেলে দুটি চা খেয়ে সেদিনের মত বিদায় নিলে কাজের মেয়েটিকে বলেন তিনি, “তাড়াতাড়ি চায়ের কাপ প্লেট সরিয়ে ফেল কাকু বাজার থেকে আসার আগে, নাহলে হাজার প্রশ্ন করবে। বললে আবার আমার ওপর রাগ করবে। না বললেও মুশকিল, কোনোভাবে জানতে পারলে আর রক্ষে রাখবে না।”
১৬ কাঠা জমির উপর বাড়ি। বাড়ি তিন পুরুষের। চকমেলানো বাড়ি, চারপাশ দিয়ে ঘর, কোলে দালান, মাঝখানে বড় উঠোন। একসময় এ বাড়ি ছিল জমজমাট, ঘরে ঘরে আলো জ্বলত, বাড়ির বউরা এক গা গয়না পরে শাড়ির আঁচলে চাবি ঝুলিয়ে ঝুমুর ঝুমুর করে ঘুরে বেড়াতেন এই ঘর বারান্দায়। সকালবেলা ছেলেপুলেদের পড়ার আওয়াজে বাড়ি গমগম করত আর বিকাল হলেই তারা এই উঠোন সরগরম করে রাখত। আর আজ এ বাড়ি শুনশান, অখন্ড নীরবতা চারিধার,পাতা পড়ার শব্দ শোনা যায়। সব ঘর এখন খোলাও হয় না, নিচের একটা অংশ ব্যবহারযোগ্য করে রাখা আছে আর রাতে কেবল উপরে শুতে যাওয়া। পাশাপাশি দুটো ঘর খোলা, বাকি সব বন্ধ, কিছুটা ভূতুড়ে বাড়ির মত অবস্থা। ছেলে আসার আগে তোড়জোড় চলে পরিষ্কার করার, তখন সব ঘর খোলা হয়, আলো জ্বলে ঘরে ঘরে, বাড়ি ঝলমল করে।
সুধীনবাবু বুঝতে পারছেন এবাড়িতে রথীন মল্লিকের নজর পড়েছে, তাই তার চেলা দুটো ঘুরঘুর শুরু করেছে। কিছুদিন আগে একটা স্কুল বাড়ি নিয়ে কত ঝামেলাই হল, শেষ পর্যন্ত সে স্কুল বাড়ি ভাঙচুর হল, উঠল বহুতল, কেউ ঠেকাতে পারল না। তার বাড়ির দুটো বাড়ির সামনে, পাড়ার পুরনো এক অভিজাত বাড়ি ভেঙে বহুতল উঠল তার চোখের সামনে। বাড়ির মালিক ঝামেলা এড়াতেই রাজি হয়েছেন, কিন্তু প্রাণ থাকতে এবাড়ি তিনি দেবেন না, তাতে যা হয় হোক। এখনও ফরাস পাতা আছে সেদিনের বাইরে ঘরে, ওপরে বেলোয়াড়ি ঝাড় আজও ঝুলছে আভিজাত্যের প্রমাণ দিতে, ঘরে ঘরে শার্সি জানলায় রঙিন কাঁচে যখন সূর্যের আলো এসে খেলা করে, ঘরের ভেতর যেন এক মোহজাল ছড়িয়ে পড়ে। মনে পড়ে, ছোটবেলায় ভাইবোনেরা সবাই মিলে কাঁচ দিয়ে আসা সেই রঙিন আলো গায়ে মাখতেন, রূপকথার রাজ্যে চলে যেতেন যেন। কে কতটা মাখতে পারে তার প্রতিযোগিতা হত। কত স্মৃতি কত কথা এ বাড়ির আনাচেকানাচে ঘুরপাক খাচ্ছে আজও। বাড়ির পিছনে বিশাল জমি। সেখানে আম, কাঁঠাল, জাম, জামরুল, নারকেল, সুপারি, পেয়ারা, কুল গাছেরা আজও দাঁড়িয়ে আছে, কত কথার কত ঘটনার সাক্ষী হয়ে, কেবল কথা বলতে পারে না তাই। ছায়া ছায়া চারিধার, গাছের আড়াল থেকে লুকোচুরি খেলা দিনগুলো আজও উঁকি মারে, কেমন করে এ বাড়ি তিনি প্রোমোটারের হাতে তুলে দেন ! তিনি জানেন রথীন মল্লিকের শকুনের দৃষ্টি যখন পড়েছে এবাড়িতে, সে সেটা কুক্ষিগত করে তবে ছাড়বে। তবে তিনিও লড়ে যাবেন, সহজে ছাড়বেন না। তাঁর তিনটে নাতি, তারা যখন এক মাসের জন্য এসে বাড়ি দাপিয়ে বেড়ায়, তাঁর প্রাণ ভরে যায়। ভবিষ্যতে নাতিরা কেউ যদি এখানে এসে থাকতে চায়, তাই রক্ষা করার চেষ্টা, এমন পৈতৃক সম্পত্তি ক’জন পায়!
সরমাদেবী সব বোঝেন তাই এ নিয়ে কিছু বলতে চান না, পাছে তার হৃদয়ের কোমল অংশে ঘা পড়ে। কিন্তু তিনি না কিছু বললে কি হবে, কিছুদিন পর দুপুরে বাড়ির পিছনের বাগানে হাসিহুল্লোড় শুনে সরমা দেবী পায়ে পায়ে আওয়াজ অনুসরণ করে সেদিকে যান কিন্তু সেদিকের ঘরগুলি বন্ধ থাকায় কিছু দেখতে পেলেন না যদিও বুঝতে পারছেন আওয়াজ তাঁদেরই বাগান থেকে আসছে। সুধীনবাবু একটু ঘুমিয়ে পড়েছেন, রাতের ঘুম তাঁর গেছে প্রায়, তাই সরমাদেবী এ নিয়ে হইচই করতে চান না। এভাবে দুদিন কাটার পর তৃতীয় দিনে সুধীনবাবু নিজের কানে শুনে ঘর থেকে বেরিয়ে শব্দ অনুসরণ করে বাগানে গিয়ে তাজ্জব হয়ে যান। সরমা দেবী পিছন পিছন। পাঁচ ছটা ছেলে সেখানে বসে তাস পিটছে আর হুল্লোড় করছে। জিজ্ঞাসা করলে বলে, “কি হয়েছে কাকাবাবু আপনার বাগানের গাছের তলায় আমরা একটু তাস খেলছি, গল্পগুজব করছি তাতে? জানেনই তো আমাদের ঘরে সবার জায়গার বড় অভাব, এক একটা ঘরে সংসার, দুটো বন্ধু-বান্ধবের সঙ্গে কথা বলার জো নেই সেখানে”। সুধীনবাবু তাদের বলেন বিনা অনুমতিতে এভাবে তাঁর বাগানে ঢোকা তারা ঠিক করেনি, কিন্তু এদের সঙ্গে বেশি কথা বলে লাভ নেই, বলাও যায় না। ভাবেন তিনি, একসময় এ তল্লাটে তাঁকে সবাই সম্মান করত, তিনি কলকাতার খুব নামকরা কলেজের প্রিন্সিপাল ছিলেন। কিন্তু তিনি এও ভালো করেই জানেন এসব ব্যাপারে এখন আর কেউ নাক গলাবে না, অতঃপর ঘরে চলে এলেন।
অত্যাচার বাড়তে লাগলো ক্রমশঃ, এক দুপুরে ছেলেরা এসে বলে, “কাকাবাবু আপনাদের তো এতগুলো ঘর বন্ধ পড়ে থাকে, একটা খুলে দিন না, আমরা একটু বসি পাখাটা চালিয়ে, বাইরে বড্ড গরম”।সুধীনবাবু রাজি হন না, বলেন, “ঘর নোংরা আছে, বাইরে বসছো বসো, আবার ঘরে কেন? এসব চলবে না”। এক কথা, দু’কথায় কথা বাড়তে থাকে। এরপর তাদের আসল রূপ বের হয়। তারা আর সম্মান রাখে না তাঁর, তাদের চলতি ভাষা বের হতে থাকে মুখ দিয়ে। সুধীনবাবু সহ্য করতে পারেন না। পাড়ায় দুই একজনকে বললেও কেউ এসে পাশে দাঁড়ায় না। ওদের মধ্যে কেউ একজন বলে, ” কেন মিথ্যে ঝামেলা করছেন কাকাবাবু, ভালয় ভালয় খুলে দিন, নাহলে আমরা আমাদের মত খুলে নিচ্ছি”। এই বলে তাঁকে ধাক্কা দিয়ে তারা ভেতরে ঢুকে পড়ে, একটা ঘরের তালা ভেঙে তারা সেখানে হুল্লোড় শুরু করে। সুধীনবাবু লোকাল থানায় যান, কোনো লাভ হয় না। পুলিশের বক্তব্য,” জানেনই তো এরা সব নটরিয়াস ছেলে, কোনো খারাপ কাজ করতেই এদের হাত কাঁপে না, মানিয়ে নিয়ে চলুন আর কি বলব”। এরপর তিনি নিজের পূর্ব পরিচিত যাঁরা পুলিশের উচ্চ পদে বসে আছেন তাঁদের ফোনে জানালে তাঁরা “দেখছি দেখব” করে দুটো হালকা কথা বলে ছেড়ে দেন।
বিকালে রান্নার মেয়েটি এসে ওনাদের চা দিলে বারান্দায় বসে চা খান দুজনে, মনে শান্তি নেই, সেসময় ছেলেরা এসে চা খাবার বায়না ধরে। কদিন ধরেই জল দিন, বাথরুমের দরজা খুলে দিন, চলতে চলতে এবার চায়ের আবদার। সন্ধ্যে হলেও তারা যায় না যখন সুধীনবাবু তাদের বাড়ি যেতে বললে প্রচন্ড অশান্তি শুরু হয়। হাই প্রেসারের রুগী সুধীনবাবু, একেই দীর্ঘদিন ধরে এই উটকো ঝামেলায় মানসিক অশান্তিতে ছিলেন, আর এখন উত্তেজনায় চেঁচামেচি করে অজ্ঞান হয়ে পড়েন। এই ছেলেরাই ডাক্তার ডেকে আনে। ডাক্তার নার্সিংহোমে দিতে বললে সে ব্যবস্থাও তারাই করে। সরমাদেবী ছেলেকে ফোন করে বাবার অসুস্থতার কথা জানালে ছেলে দু’দিনের মধ্যে এসে হাজির হয়, একাই। কিন্তু সুধীনবাবু সেই যে চোখ বুজলেন, তাঁর চোখ আর খুলল না। বলেছিলেন, “প্রাণ থাকতে এ বাড়ি আমি প্রোমোটারের হাতে তুলে দেবো না”, তাই বাড়ি বাঁচাতে পারবেন না বুঝে প্রাণটাই দিয়ে দিলেন।
এবার রথীন মল্লিক নিজে স্টেজে অবতীর্ণ হল, সরাসরি সুধীনবাবুর একমাত্র ছেলে ডাক্তার সুবীর চ্যাটার্জির কাছে কথাটা পেড়েই ফেলে। মায়ের কাছে সব শুনেছে সুবীর, মাকে তো সে একা রেখে যেতে পারবে না, তাঁকে নিয়ে যেতেই হবে, আর এবাড়িতে যখন শকুনের চোখ পড়েছে, অতদূর থেকে তার পক্ষে একে রক্ষা করা সম্ভব নয়, তাই প্রোমোটার রথীন মল্লিকের কথায় রাজি হতে সে বাধ্য হয়। কিন্তু সুধীনবাবুর পারোলৌকিক কাজ সম্পন্ন হবার আগেই বাড়ি ভাঙ্গা শুরু করে দেয় রথীন মল্লিক দাঁড়িয়ে থেকে। সুবীর মৃদু আপত্তি তোলে, তারা যাবার পর করার জন্য অনুরোধ করে। রথীনবাবু ঠোঁটের কোণায় ব্যঙ্গের হাসি ঝুলিয়ে বলে, “শুভস্য শীঘ্রম”। সুবীর বোঝে বলে লাভ নেই, তাই আর কথা বাড়ায় না। ওদিকে বাড়িতে একটা করে ঘা পড়ছে আর সরমাদেবীর মনে হচ্ছে যেন তাঁর বুকে ঘা পড়ছে, তাঁর স্বামীর প্রাণের বাড়ি যা ছাড়তে তাঁর প্রাণ চায়নি বলে নিজের প্রাণটাই দিয়ে দিলেন তিনি।
বেশ ছিলেন দুটি প্রাণী বড় শান্তিতে, নিজেদের সুখস্মৃতি নিয়ে তিনপুরুষের পৈত্রিক এই বাড়িতে। কত গর্ব করে বলতেন সুধীনবাবু, “কলকাতা শহরে বাড়ী ভেঙ্গে ফ্ল্যাট হচ্ছে, ভবিষ্যতে হাতেগোনা কটা বাড়ী থাকবে, তারা ইতিহাসের সাক্ষ্য বহন করবে, এ বাড়ী হবে তাদের মধ্যে একটা”। বলে মুখটা তাঁর খুশিতে উজ্জ্বল হয়ে উঠত, অথচ সে বাড়ীই হল কাল, সব সুখ তছনছ হয়ে গেল এই অর্থপিশাচ প্রোমোটারদের লোভের হাত বাড়ানোয়। কলকাতা শহরের প্রাচীন অনেক সম্পত্তি এভাবে ধূলিসাৎ হয়ে যাচ্ছে প্রোমোটারদের লোভে, কারো ক্ষমতা নেই প্রতিবাদ করার। এ প্রমোটার রাজ কতদিন চলবে, ভাবেন সরমাদেবী।
প্রোমোটার রাজ ছোটো গল্প – সমাপ্তি
যে কেউ তাদের লেখা জমা দিতে চান। অনুগ্রহ করে আমাদের লেখা জমা দিন পৃষ্ঠায় জমা দিন এবং যারা লেখা জমা দিচ্ছেন। পরবর্তী আপডেট পেতে আমাদের ফেসবুক পেজে অনুসরণ করুন।
অন্যান্য
ভালোবাসার দেবালোকে
বিজয়া দশমী
এক চিলতে রোদ্দুর