একজন মানুষ কবিতা – তূয়া নূর
মানুষটাকে সবাই কিপটে বলতো
বলতো কৃপণ, কঞ্জুস আরো কতো বিশেষণ
যতোগুলো প্রতিশব্দ অভিধানে আছে।
বউ বলতো গ্রামের জমাজমি দিয়ে কী হবে?
বিক্রি করে শহরে কিছু করো,
লোকটা ছিলেন সাদাসিধে
যা কিছু করতো নিজে গায়ে খেটে
বাড়তি কাজ করে পয়সা জমায়ে শহরে জমি কিনে তুলেছে পাকা দালান।
কিনেছে দু তিনটা চাষের জমি।
ভিটেমাটি বেচাকেনার কথা—
এসব কোন কথা কানে তুলতেন না
একটা নিরহংকার মুচকি হাসি দিয়ে
অথবা ডান হাত নেড়ে বুঝাতো—পথ ছেড়ে দাও, আমি যাই! কাজে দেরী হয়ে যাবে।
লোকটা কাজ করতো সকাল থেকে সন্ধ্যা অব্ধি,
ছুটির দিনে বাসায় নিয়ে আসতো অফিসের কাজ।
লোকটা শুধু একটা কথাই বলতো কথায় কথায় উত্তেজিত হয়ে গেলে—
হাতি বেঁচে থাকলেও লাখ টাকা মরে গেলেও লাখ টাকা।
তার সন্তানেরা সেই জমির ধান শস্য ঘরে তোলে
জমি বিক্রি করে শহরের বাড়ি দোতলা করে,
আলাদা করে বাড়ি বানায় পৈত্রিক ভিটেয়,
বড়ো চিকিৎসার দায় মেটায়।
বাবাটা কী সত্যি কিপটে ছিলো?
একজন মানুষ কবিতা – সমাপ্ত
আপনাদের লেখা আমাদের ওয়েব সাইটে জমা দিতে গেলে, অনুগ্রহ করে আমাদের লেখা-জমা-দিন মেনু-তে ক্লিক করুন ও নিজেকে Author হিসেবে Register করুন এবং আমাদের পরবর্তী আপডেট পেতে আমাদের ফেসবুক পেজ অনুসরণ করুন।
অন্যান্য
ভরুয়া
উদ্বর্তিনী
নীলবাস্প