নতুন ভারত সায়েন্স ফিকশন গল্প – চিরঞ্জিত প্রামাণিক
ভারতবর্ষ ঐতিহ্যবাহী দেশ।ভারতের জাতীয় প্রতীক হল সম্রাট অশোকের সিংহচতুর্মুখ স্তম্ভশীর্ষের একটি রূপান্তর।এই সিংহচতুর্মুখ এক একটি শক্তি, সাহস, আত্মবিশ্বাস এবং গর্বের প্রতীক। সম্রাট অশোকের শাসনকালে বারাণসীর কাছে সারনাথে অশোকের স্তম্ভের শীর্ষে এই বিখ্যাত ভাস্কর্যটি স্থাপন করা হয়। এই জাতীয় প্রতীকের সমাপ্তি অংশে লেখা মুণ্ডক উপনিষদের সত্যমেব জয়তে মন্ত্র, যেটি দেবনাগরী হরফে লিখিত।সত্যমেব জয়তে ভারতের রাষ্ট্রীয় নীতিবাক্য।এর অর্থ সত্যের জয় অবশ্যম্ভাবী।জাতীয় সঙ্গীত জনগণমনঅধিনায়ক জয় হে।জাতীয় স্তোত্র বন্দে মাতরম।সরকার যুক্তরাষ্ট্রীয় প্রজাতন্ত্র।সংসদ রাজ্যসভা ও লোকসভা। স্বাধীনতা অর্জন ১৫ই আগস্ট ১৯৪৭।সংস্কৃতিক দৃষ্টি দিয়ে দেখলে ভারত ধর্মনিরপেক্ষ, বহুভাষিক ও বহুজাতিক রাষ্ট্র।১৯৫০ সালে সংবিধান প্রণয়নের দ্বারা ভারত একটি সর্বভৌম গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্রে পরিণত হয়।
সন ২০৩৯ চলছে।ভারতবর্ষে অরাজকতায় ছেয়ে গেছে।ভারতবর্ষের এখন প্রায় সকল সরকারি প্রতিষ্ঠান বিক্রি হয়ে গেছে।এই সময় ভারতবর্ষের পরিস্থিতি সামাল দেওয়া কঠিন।ভারতবর্ষের সংবিধানিক নিয়মকানুন মেনে কোনো সরকার আর নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারছে না।সময় পাল্টেছে।মানুষ হয়ে গেছে অত্যাধুনিক।চর্তুদিকে রক্তাক্ত অবস্থা, যে যাকে পারছে খুন করছে।মানুষ আর প্রসাশনকে ভয় পায় না।ভয় না পাওয়ার প্রধান কারণ উচ্চশিক্ষিত ব্যক্তিরা আজ বেকার। যোগ্য ব্যক্তিরা রাজনীতিতে অংশগ্রহণ করতে চায় না।শিক্ষিত ব্যক্তিরা ভয় পায় যে তারা যদি রাজনীতিতে প্রবেশ করে নিজেদের নিয়ন্ত্রণরেখা পার করে ফেলবে।তাই তারা রাজনীতি করা ব্যক্তিকে ঘৃণার চোখে দেখে।
তাছাড়া সংসদে প্রতিনিয়ত নিজেদের মধ্যে ঘোর তর্কবিতর্ক।নিজেদের মধ্যে হাতাহাতি করতেও ছাড়ে না।সেটা সংবিধানের উচ্চকক্ষ হোক আর নিন্মকক্ষ হোক, সব এখন সমান পর্যায়ে দাঁড়িয়ে গেছে।স্যোশাল মিডিয়ায় প্রতিনিয়ত দেখা যায় তাদের নিজেদের মধ্যে দ্বন্দ্বের কৃতকর্ম।তারা নিজেদের মধ্যে কলহ সৃষ্টি করে।এমন কলহ করলে দেশের মানুষের কথা ভাববে কী করে?
লোকসভা ভারতীয় সংসদের নিন্মকক্ষ।এই কক্ষের প্রতিনিধিরা প্রত্যক্ষভাবে জনগণ দ্বারা নির্বাচিত হন।সংবিধানের নিয়ম অনুসারে,এই লোকসভার সর্বোচ্চ সদস্য সংখ্যা ৫৫২ জন।সদস্যদের বয়স সর্বনিম্ন ২৫ বছর।প্রত্যেক বৈঠকে সদস্যদের নিজেদের মতামত বা বক্তব্য ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী নিকটে পেশ করতে পারবে।লোকসভার সভাপতিত্ব করেন স্পিকার।তিনিই সভার নিয়মশৃঙ্খলা রক্ষা করেন।কেউ যদি সভার নিয়ম ভঙ্গ করে তাহলে এই স্পিকার তাকে বরখাস্ত করতে পারেন।বর্তমান সময়ে সভায় নিয়মশৃঙ্খলা লঙ্ঘন করলে মাননীয় অধ্যক্ষ কাউকে বরখাস্ত করতে পারেন না।করবেই বা কী করে ৫৫২ জনের মধ্যে ৫০০ জন যদি নিয়মশৃঙ্খলা ভঙ্গ করে তাহলে সেই অধ্যক্ষ ৫০০ জনকে বরখাস্ত করতে পারবে?
দেশ যখন অধপতনে যায় তখন রক্ষা করবার জন্য একজন না একজনের উত্থাপন ঘটবেই।সে দেশকে রক্ষা করবার জন্য এমন কিছু নিয়ম বেঁধে দেবে সেই নিয়ম বেঁধেই দেশ অগ্রগতির পথে এগিয়ে যাবে।যেমন নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসু দেশকে ব্রিটিশদের হাত থেকে রক্ষা করবার জন্য তিনি দেশ ছেড়েছেন। তিনি বিদেশে থেকে ফৌজ গঠন করে ভারতবর্ষ থেকে ব্রিটিশদের তাড়াতে সক্ষম হয়েছেন।ভারতবর্ষে এই সব বীরের অবদান অনস্বীকার্য।তাই ঠিক এমন সময় একজন সংসদের উচ্চকক্ষের সদস্য জেগে উঠলেন।
তিনি হলেন মণিশঙ্কর রায়।তিনি বহুবাধা অতিক্রম করে সদস্য পদে অসীন হয়েছেন।টিকিট না পেয়ে অনেক বার তিনি বিতাড়িত হয়েছেন।সংসদের সদস্য পদে বা রাজনীতিতে প্রবেশ করবার কোনো অভিলাষ তার ছিল না।কিন্তু ভারতবর্ষের বেহাল অবস্থা দেখে তিনি আজ রাজনীতিতে প্রবেশ করেছেন।বহু পুরাতন নিয়ম পরিচালিত হতে দেখে তিনি ইতস্তত বোধ করেন।তাই তিনি কিছু নতুন নিয়ম তৈরি করবার জন্য উঠেপড়ে লেগে পড়লেন।এটাই ছিল মণিশঙ্করের প্রধান উদ্দেশ্য।এই উদ্দেশ্যে নিয়ে নতুন দেশ গড়তে লেগে পড়লেন।লোকসভাতে তিনি বেশিক্ষণ বক্তব্য রাখেন না।দেশ নতুন করে গড়তে তিনি নিয়মকানুনের নথিপত্র তৈরি করতে আরম্ভ করে দিয়েছেন।
নিজেকে তৈরি করে নিয়ে সংসদের নিন্মকক্ষে তিনি স্পিকারকে বললেন, “মান্যবর, আমি আপনাকে কিছু গুরত্বপূর্ণ বিষয় বলার জন্য অনুমতি চাইছি।”
মাননীয় স্পিকার সসম্মানে বললেন, “মণিশঙ্কর, তোমাকে অনুমতি দেওয়া হলো।”
মণিশঙ্কর তেজস্বী কণ্ঠে বলতে লাগলেন, “আমাদের এই ঐতিহ্যবাহী দেশ আজ অধপতন হয়ে গেছে। একসময় সরকারি সংস্থা বেসরকারীকরণের জন্য প্রতিযোগিতা শুরু হয়।এখন দেশ নিস্তব্ধ হয়ে গেছে।এছাড়াও এই সময় আমরা নিয়মশৃঙ্খলা বজায় রাখতে পারছি না।আমরা সকলে দেশের সেবার কথা ভাবছি না।শুধু আমরা নিজেদের কথা ভাবছি।যদি সংসদের সদস্য হওয়ার জন্য কিছু নিয়ম পরিবর্তন করেন তাহলে আমি আপনার নিকট চিরকৃতজ্ঞ থাকব।”
মাননীয় স্পিকার স্পষ্ট বললেন,”তোমার নিয়মগুলি তুমি বলতে থাকো।”
মণিশঙ্কর হাতে লেখা কয়েকটি পৃষ্ঠা বার করে বললেন, “মান্যবর, আমি আপনার নিকট জানাতে চাইছি যে, ভোট গ্রহণের পূর্বে সমস্ত প্রার্থীকে সর্ব ভারতীয় স্তর ভিত্তিক পরীক্ষা নেওয়ার প্রার্থনা করছি।পরীক্ষা নেওয়ার পর পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থী জনগণ দ্বারা নির্বাচিত হবে।”
মণিশঙ্কর একথা বলতেই আইন-সভাতে হৈচৈ বেঁধে গেল।লোকসভাতে শোরগোল পড়ে গেল।সকলে মণিশঙ্করের দিকে তাকিয়ে উচ্চঃস্বরে হাসতে লাগল।কেউ আঙুল তুলে মণিশঙ্করকে সিটে বসতে বললেন।মণিশঙ্কর অন্য সদস্যদের বোঝানোর চেষ্টা করলেন।কিন্তু কেউ বুঝতে চেষ্টা করলেন না।তিনি তর্কবিতর্ক করলেন না।মণিশঙ্কর কিছু না বলে চুপ করে রইলেন।মণিশঙ্কর তাদের সাথে তর্কবিতর্কে থেকে বিরত থাকলেন।তিনি জানেন, একটি বিল পাস করতে হলে তার পক্ষে ভোট না দিলে সেই বিল পাস হবে না।অধ্যক্ষ মহাশয় মণিশঙ্করকে পুনরায় বলতে বললে, তিনি আর বাক্যব্যয় করলেন না।তাছাড়া আর তার বক্তব্য পেশ করবার সময় ছিল না।
দুই দিন পরে লোকসভায় মাননীয় স্পিকার মণিশঙ্করকে তার তথ্যগুলি পেশ করতে বললেন।
মণিশঙ্কর দাঁড়িয়ে সদয়কণ্ঠে বললেন, “মান্যবর,আমি মূল বিষয়টা বলতে চাইছি যে, নতুন প্রজন্ম সদস্যরা অধিকাংশ শিক্ষিত।তাদের পরীক্ষা নিয়ে সদস্য পদে অসীন হলে নতুন ভারতবর্ষ গঠিত হবে।আমাকে কয়েকদিন যদি সময় দেন আমার মতামত পরিষ্কর ভাবে পেশ করতে সক্ষম হবো।”
দুইদিন পর সভায় মণিশঙ্কর একজন প্রার্থী কেমন হবে তার তথ্য তৈরি করে স্পিকারের কাছে পেশ করলেন।মাননীয় স্পিকার দুইদিন পর বিলটির ব্যাপারে আলোচনা করবেন সেই ঘোষণা করলেন।দুইদিনের মধ্যে মাননীয় স্পিকার সমস্ত পয়েণ্ট গুলোর মধ্যে কয়েকটি পয়েণ্ট বেছেনিলেন।সেই পয়েণ্ট গুলো দুইদিন পর একে একে মাননীয় স্পিকার সভার প্রতিনিধিদের নিকট বলতে লাগলেন –
প্রত্যেক প্রার্থীকে গ্রাজুয়েট পাস হতে হবে।
সর্ব ভারতীয় স্তর ভিত্তিতে পরীক্ষা নেওয়া হবে।
পরীক্ষায় দেশ, দেশের সেবা, অর্থনীতি এবং রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিষয়ে পরীক্ষা নেওয়া হবে।
পরীক্ষায় কোনো অবজেকটিভ প্রশ্ন থাকবে না।
পরীক্ষায় নির্দিষ্ট পাস মার্ক রাখতে হবে।
প্রয়োজনীয় প্রার্থী পরীক্ষার মেরিট লিস্ট অনুযায়ী নেওয়া হবে।যত প্রার্থী দরকার তত প্রার্থী মেরিট লিস্ট থেকে পরপর নেওয়া হবে।
প্রার্থী যদি কোনো ফৌজদারী মামলায় জড়িত থাকে তাহলে তাকে বাদ দেওয়া হবে।
পরীক্ষা নেওয়ার জন্য একটি বোর্ড গঠন করা হবে।সেই বোর্ড দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণকারী হিসাবে থাকবে।
পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়া প্রার্থীরা লোকসভার প্রার্থী হিসাবে দাঁড়াতে পারবে।
জনগণের ভোট দ্বারা যে প্রার্থী জিতবে সেই প্রার্থীকে লোকসভার সদস্য হিসাবে স্বাভাবিকভাবে গ্রহণ করা হবে।
রাজ্যসভার সদস্যকেও আলাদাভাবে পরীক্ষা দিতে হবে। উত্তীর্ণ হলে তারপর মনোনীত করা হবে।
যে প্রার্থী পরীক্ষায় পাস করবে অথচ নির্বাচনে জণগণের দ্বারা পরাজিত হবে, সেই ব্যক্তিকে সম্মাননা পত্র দেওয়া হবে।তাঁকে দ্বিতীয়বার আর সর্ব ভারতীয় স্তর ভিত্তিক সেই পরীক্ষা দিতে হবে না।
ভারতের প্রতিটি রাজ্যে বিধানসভা বা বিধান পরিষদে একই নিয়ম চালু হবে। অর্থাৎ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়া প্রার্থীকে টিকিট দেওয়া হবে।
মাননীয় স্পিকার এই পয়েণ্টগুলির ভিত্তিতে পক্ষে বিপক্ষে ভোটের দিন ধার্য করলেন।
ভোটের দিন মণিশঙ্কর খুব বিচলিত হয়ে পড়লেন ; তিনি মনে মনে ভাবলেন, “আমার পক্ষে যদি ভোট না পড়ে তাহলে আমার স্বপ্ন ভাঙচুর হয়ে যাবে।”
ভোট গ্রহণের পর মাননীয় স্পিকার ঘোষণা করলেন।ঘোষণাতে পক্ষে ৩৯৫ ভোট পড়েছে এবং বিপক্ষে বাকী ভোট পড়েছে।মণিশঙ্কর এবার দীর্ঘশ্বাস ফেললেন এবং পরবর্তী ধাপের কথা ভাবতে লাগলেন।
মাননীয় স্পিকার এবার বিল তৈরি করে রাজ্যসভায় পাঠিয়ে দিলেন।রাজ্যসভায় উপরাষ্ট্রপতি সাদরে বিলটি গ্রহণ করলেন।রাজ্যসভাতে পক্ষে বিপক্ষে ভোট হলে বিলটির পক্ষে বেশি ভোট পড়ল।এবার উপরাষ্ট্রপতি রাষ্টপতির কাছে প্রেরণ করলেন। রাষ্ট্রপতি বিলটিকে কিছুদিন ফেলে রাখলেন।তারপর রাষ্ট্রপতি এগারো দিনের মাথায় বিল পাশ করলেন।
বিল পাস হলে আনন্দবাজার পত্রিকা বা অন্য পত্রিকায় বড় বড় অক্ষরে ছাপা হলো,” প্রার্থীকে ভোটে দাঁড়াতে হলে সর্ব ভারতীয় স্তর ভিত্তিক পরীক্ষা দিতে হবে।”
সোশ্যাল মিডিয়াতে ছড়িয়ে পড়ল এসমস্ত খবর।চতুর্দিকে তোলপাড় হয়ে গেল।এমনকি রাষ্ট্রপতি এটাও পাস করলেন যে, রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, উপপ্রধানমন্ত্রী, উপরাষ্ট্রপতি সকল পদে লিখিত পরীক্ষা দিয়ে উত্তীর্ণ হয়ে তারপর সেই পদে অসীন হতে পারবে।যথারীতি পরীক্ষার জন্য বিজ্ঞপ্তি ছাড়া হল।বিজ্ঞপ্তিতে সমস্ত নিয়মকানুন দেওয়া আছে।পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পরীক্ষা নেওয়া হল।উত্তীর্ণ প্রার্থীরা ভোটে দাঁড়াল।এতদিন পর ভারতীয় জনগণ মন থেকে ভোট দিল। নির্বাচিত হল নতুন প্রধানমন্ত্রী।গঠিত হল এক নতুন ভারতবর্ষ।
নতুন ভারতবর্ষের নতুন মন্ত্রীগণ তৈরি করলেন সমস্ত বেকার জীবিদের নতুন কর্মসংস্থানের।এই নতুন ভারতে যোগ্য ব্যক্তিকে সমান বেতন দিয়ে চাকরির ব্যবস্থা করে দিলেন।নতুন কারখানা তৈরি করলেন।চাষিদের দিকে নজর দিলেন।চাষিদের এখন আর আত্মহত্যা করতে হবে না। চাকরির পরীক্ষায় ফেল করা ব্যক্তিদের কারখানার যে কোনো কাজে নিযুক্ত করা হল।ক্রমশ ভারতবর্ষের শিক্ষা ব্যবস্থার প্রতি নজর দেওয়া হল।এই ভাবে ভারতবর্ষের নতুন মন্ত্রীগণ দেশকে নতুনভাবে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করতে থাকলেন।নতুন ভারতবর্ষে আমূল পরিবর্তন হতে লাগল।প্রকৃত শিক্ষিত সমাজ যদি গড়ে তোলা যায় তাহলে যেকোনো দেশের পরিবর্তন ঘটবেই।
নতুন ভারত সায়েন্স ফিকশন গল্প – সমাপ্ত
আপনাদের লেখা আমাদের ওয়েব সাইটে জমা দিতে গেলে, অনুগ্রহ করে আমাদের লেখা-জমা-দিন মেনু-তে ক্লিক করুন ও নিজেকে Author হিসেবে Register করুন এবং আমাদের পরবর্তী আপডেট পেতে আমাদের ফেসবুক পেজ অনুসরণ করুন।
অন্যান্য
স্বপ্নভঙ্গ
পালানরা পালায় না
নতুন পৃথিবী