লাল টিপের টুকরো ছোটো গল্প – অনিন্দিতা কামিল্যা
ক
একটু কাছে আসা, রোমকূপ জুড়ে সাড়া জাগানো স্পর্শ, ক্ষণিক সময়ের জন্য দুটো আবৃত বক্ষের বাক্যালাপ; হৃদয়ে সঞ্চিত শুভ্র, নির্মল প্রেমসত্তাকে গলিত মোমের ন্যায় অসীম সোহাগের যত্নে লালিত উপত্যকায় নিঃসরণ। উর্বরা ভূমি জুড়ে যেন সৃষ্টির খেলা।
এক একটি সুখের রাত কত সহস্র ছবির কোলাজ। লুকোচুরি খেলতে থাকা বীজেরা একসময় ধরা দিয়ে সংগোপনী স্পন্দনে বলে ওঠে- ‘মা’!
খ
ইতিহাস, তোমাকে কত সহস্র যুগ সময় দিলে তুমি আমায় পড়ে শোনাবে আঁচলের ইতিকথা?
পারবে আঁচলের ওই মা-ময় গন্ধকে শব্দের বেণীতে বাঁধতে?
তুমি আমায় বলতে পারো, ওমের উষ্ণতার আবেগী একক…
নতুন সৃষ্টির কান্না যেখানে শান্ত হয়, হাসে, খুঁজে পায় নিশ্চিন্ত আশ্রয় সময়, সমাজের সব বিদ্বেষ ভুলে।
গ
উঠোনে খেলতে থাকা সুখ-শালিকেরা যবে থেকে হলুদ পাখি হয়, বাতাস নাকি তখন থেকেই আম, কাঁঠালের গন্ধ পায় লালারসের তাগিদে।
বাতাস, তুমি সত্যি করে বলতো নাম না জানা কোনো ফুলের সুগন্ধ কি তোমায় মন আর মানের গল্প শোনায় না?
যদি শুনে থাকো, তবে কেন তুমি নিবিয়ে দাও না তোমার দীর্ঘশ্বাসে, হিংস্রতার জোরে জ্বালানো যন্ত্রণার মোমগুলোকে?
কোন শক্তির অভাবে তুমি আগলে রাখতে পারো না এক এবং অদ্বিতীয় আত্মিক আলো কে!
জানিয়ে দাও, জানিয়ে দাও সারা বিশ্বকে-
রক্ত-মাংসের শিল্প-কলা ভালোবাসার শুদ্ধতার তুলি দিয়ে সৃষ্টি হয়, ছেনী-হাতুড়িতে নয়;
জানিয়ে দাও-
আলের বাঁকা পথ, সবুজ ঘাসের শিশির, সোনালী ধান, সন্ধ্যাবেলার শাঁখ, তুলসীতলার প্রদীপ…
এ সবই প্রকৃতি!
এ সবই জন্মদ্বার!
এ সবই মেয়ে, মা!
ঘ
যে যোনিকে তোমরা ঋতুস্রাবের নালা বলে নিষিদ্ধ করো সৃষ্টিকর্তার চরণ ছুঁতে,
চেয়ে দেখো, তাঁর অন্তর কি অদ্ভুত সুন্দর ভাবে তৈরি করেছেন যোনির ছোটো একটি লাল টিপে সৃষ্টির দরবার!
লাল টিপের টুকরো ছোটো গল্প – সমাপ্তি
যে কেউ তাদের লেখা জমা দিতে চান। অনুগ্রহ করে আমাদের লেখা জমা দিন পৃষ্ঠায় জমা দিন| এবং যারা লেখা জমা দিচ্ছেন। পরবর্তী আপডেট পেতে আমাদের ফেসবুক পেজে অনুসরণ করুন।
অনিন্দিতা কামিল্যা
অন্যান্য
আলো ও আঁধার
ভয় ভেঙে জয়
১৪ই ফেব্রুয়ারি