তেঁতুলগাছের মগডালে ভৌতিক গল্প – রাজর্ষি মন্ডল
– বঁলি ওঁ টেঁপির মাঁ, সঁক্কাল বেঁলা গেঁলি কোঁতায় রাঁ!
– আঁ মঁরণ, মিঁনসের স্বভাঁব আঁর গেঁল নাঁ! সাঁরাক্ষণ পেঁচনে পঁড়ে আঁচে গোঁ! সঁকাল সঁকাল জঁলে নেঁমে এঁট্টু ভাঁল কঁরে যেঁ স্নাঁন কঁরব, তাঁ আঁর হঁতে দেঁবেনি গোঁ! বেঁলায় সঁব সোঁমত্ত মেঁয়ের দঁল স্নাঁন কঁরতে আঁসবে, তঁকন আঁর জঁলে নাঁমতি পাঁরব?
তাঁহলি পুঁকুর পাঁড়ের এঁই তেঁতুল গাঁছের নিঁশ্চিন্ত আঁশ্রয় আঁর থাঁকবে?
– আঁহা, রাঁগ কঁরো কেঁন! তোঁমারে দুঁদণ্ড দেঁকতি নাঁ পেঁলি আঁমার বুঁকটা কেঁমন ধুঁকপুঁক ধুঁকপুঁক কঁরে গোঁ!
– মঁরে যাঁই! জ্যাঁন্ত থাঁকতি আঁমার হাঁড় মাঁস জ্বাঁইলে খেঁয়েচে, মঁরেও সুঁখ নেঁই গোঁ। ব্যাঁটাছেঁলে ঠিঁক পিঁচু পিঁচু এঁসে হাঁজির হঁয়েচে! কেঁ এঁই অঁসময়ে তোঁমারে পঁটল তুঁলতে বঁলেছিঁল? এঁট্টু যেঁ শাঁন্তিতে এঁই প্রেঁতলোঁকে কাঁটাব, তাঁ কিঁ আঁর হঁতে দেঁবে মিঁনসে? ছিঁনে জোঁক যেঁন! কিঁ যেঁ পোঁড়া কঁপাল আঁমার! রোঁজ দুঁ চারটে নঁতুন নঁতুন বাঁহানা নিঁয়ে সাঁরাদিন পঁড়ে থাঁকবে আঁমার পেঁছনে।
– ( আস্তে আস্তে নিজের মনে ) বাঁব্বা, সঁক্কালবেঁলা যেঁন কাঁসি বেঁজে উঁঠল! মুঁখ খুঁলেছে কিঁ আঁর থাঁমবে নাঁ।
( জোরে জোরে ) তাঁ বঁলি দুঁ চাঁরটে ঘাঁই মাঁরা ল্যাঁটা শোঁল ধঁরতে পেঁরেচ নাঁকি আঁমি এঁকবার ঘুঁলিয়ে দিঁয়ে আঁসব?
– ওঁহঃ, কিঁ আঁমার কঁম্মে বেঁড়ে এঁয়েচেন এঁখন! বেঁচে যঁখন ছিঁলে তঁখন তোঁ শুঁধু মাঁস্টারী কঁরে আঁর ছঁড়ি ঘুঁরিয়েই কাঁটালে। সংসাঁরের তেঁলকঁলটা কিঁ কঁরে চঁলত, সেঁ খেঁয়াল রাঁখতে কঁখনো? দুঁটো ছেঁলে মেঁয়ে মাঁনুষ কঁরে, বিঁয়ে দিঁয়ে সঁবে ভাঁবলুম এঁবার এঁকটু নাঁতি পুঁতি নিঁয়ে আঁয়েশ কঁরে কাঁটাব! তাঁ সুঁখ আঁর সঁইল নাঁ আঁমার কঁপালে। কিঁ এঁকটা অঁসুখ এঁয়েচ জাঁনিনে বাঁপু, পঁনের দিঁনের জ্বঁরে ভুঁগেই পঁটল তুঁললুম। তাঁরপর সোঁজা এঁই তেঁতুল গাঁছের মঁগডালে।
– আঁর আঁমিও তোঁমার বিঁরহ জ্বাঁলা সঁহ্য কঁরতে নাঁ পেঁরে তিঁন দিঁনের মাঁথায় সোঁজা তোঁমার আঁচলের তঁলে, থুঁড়ি, তেঁতুল গাঁছের মঁগডালে, এঁই তোঁমার পাঁসটিতে এঁসে জুঁটলুম।
– হ্যাঁ, সঁঙ্গে জুঁটে তোঁ আঁমার এঁই হাঁড্ডিসার চেঁহারাটার ডুঁগডুগি বাঁজিয়ে এঁকশা কঁরার মঁতলব কঁরেচ!
– কিঁ যেঁ বঁলিস টেঁপির মাঁ! মাঁছগুলো কোঁতায় রাঁকলি বঁল দেঁখি। আঁমার যেঁ আঁবার খিঁদে পাঁয়, তুঁই তো়ঁ জাঁনিস।
– এঁসো, আঁর সোঁহাগ কঁরতি হঁবে নাঁ! নঁখ দিঁয়ে দুঁটো মাঁছের আঁশ ছাঁড়িয়ে জঁড়ো কঁরে রেঁখেচি পাঁতার আঁড়ালে। খেঁয়ে উঁদ্ধার কঁরো আঁমারে।
– তাঁ, বঁলি তোঁর ভাঁগেরটা কোঁতায়? দেঁখচি নেঁ তো়ঁ!
– উঁহঃ, পিঁরীত উঁথলে উঁটচে! বঁলচি খেঁয়ে নিঁতে, কঁথা নাঁ বাঁড়িয়ে খেঁয়ে নাঁও গেঁ যাও।
– আঁয় নাঁ বঁউ, ভাঁগ কঁরে খাঁই। আঁমি খাঁব আঁর তুঁই শুঁকিয়ে থাঁকবি, তাঁ কিঁ হঁয় রেঁ!
– আঁচ্ছা তঁবে চঁলো। দুঁজনে খেঁয়ে এঁকটু গঁড়িয়ে নেঁব ক্ষঁণে মঁগডালে চঁড়ে।
– তাঁরপর খাঁ খাঁ দুঁপুরে মোঁড়লবাঁড়ির ছোঁটছেঁলেটা যঁকন ইঁস্কুল থেঁকে ফিঁরবে এঁকলা এঁকলা, তঁখন পুঁটুস কঁরে কাঁনটা টেঁনে ছেঁড়ে দেঁব কাঁলকের মঁতো।
– খঁবরদার, ভাঁলো হঁবে নাঁ বঁলচি! বাঁচ্চাদের ভঁয় দেঁকানো মোঁটে পঁচন্দ নঁয় আঁমার। আঁজ যঁদি আঁবার ভঁয় দেঁকিয়েচ, তাঁহলে তোঁমার এঁকদিন কিঁ আঁমার এঁকদিন! পাঁশের খেঁজুর গাঁছের সঁবকটা কাঁটা তোঁমার চোঁখের কোঁটরে ঢুঁকিয়ে দেঁব, তঁবে আঁমার শাঁন্তি!
– ওঁরে বাঁবা রেঁ! খেঁজুর কাঁটায় বঁড্ড লাঁগবে যেঁ! আঁচ্চা, ঠিঁক আঁচে। তঁবে রাঁত্তিরে নেঁশা কঁরে ফেঁরা ওঁর বাঁপটারে সেঁদিন যেঁমন গঁরুর পাঁলের মঁত ছুঁট কঁরিয়ে নেঁশা ছাঁড়িয়ে ছিঁলুম, আঁজ সেঁটা কঁরলে দোঁষ নেঁই তোঁ?
– নেঁশাখোঁরদের আঁমার এঁট্টুও পঁছন্দ নঁয়। ওঁরে নেঁ তুঁমি যাঁ পাঁরো কঁরো গেঁ যাঁও। তঁবে নেঁশার ঘোঁর কাঁটাতে ওঁরে যেঁন জঁলে চুঁবিয়ে ধঁরে নিঁমোনিয়া বাঁধিয়ে ছেঁড় নিঁ। ওঁর বঁউটার জঁন্যি বঁড্ড কঁষ্ট হঁয়।
– আঁচ্ছা রেঁ বঁউ আঁচ্ছা! এঁবার আঁমার এঁই খুঁলি মাঁথায় হাঁত বুঁলিয়ে এঁট্টু ঘুঁম পাঁড়িয়ে দেঁ দেঁখি। বঁড্ড আঁলসেঁমি লাঁগছে। তোঁর হাঁতের ওঁই খঁড়খঁড়ে আঁঙুলের আঁদর নাঁ পেঁলি আঁমার আঁবার ঘুঁম আঁসতে চাঁয় নাঁ।
– ( নিজের মনে ) পোঁড়ারমুঁখো মিঁনসেটার প্রেঁমের জ্বাঁলায় মঁর্তে আঁমার নঁড়ার কঁল ছেঁল নাঁ। এঁকানেও দেঁকচি অঁভ্যেস গেঁল নাঁ।
( জোরে জোরে ) চঁলো যাঁই। আঁমিও এঁকটু গঁড়িয়ে নেঁব ক্ষঁণ তোঁমার পাঁশে।
তেঁতুলগাছের মগডালে ভৌতিক গল্প – সমাপ্ত
আপনাদের লেখা আমাদের ওয়েব সাইটে জমা দিতে গেলে, অনুগ্রহ করে আমাদের লেখা-জমা-দিন মেনু-তে ক্লিক করুন ও নিজেকে Author হিসেবে Register করুন এবং আমাদের পরবর্তী আপডেট পেতে আমাদের ফেসবুক পেজ অনুসরণ করুন।
অন্যান্য
শ্রাবণ সন্ধ্যা
শাস্তি
তিতির কান্না