আমি সেই মেয়ে কবিতা – সুরঞ্জন মাইতি
আমি সেই মেয়ে
আমি সেই মেয়ে, সেই অভাগিনী,
যাকে তোমরা আজ ঘৃণা করো বারবনীতা বলে,
আমি সেই, যাকে তোমাদের সমাজ আজ
দিয়েছে দূরে ঠেলে।
জানো, কেনো আজ আমার এই পরিনতি,
কে বাধ্য করেছে আমাকে এই পথে যেতে,
কারা এনেছিল আমাকে এই অন্ধকার জগতে?
আমিও তো ছিলাম সেই ছোট্ট গাঁয়ে
লাজুক লতার মতো,
সুন্দর নিষ্পাপ সপ্ন ছিল কতো।
আর ধিরে ধিরে সেই তুমি,
তোমার ভালোবাসায় আমায় মাতালে,
সেদিন ভাবনার সমুদ্রে ভেসে ভেবেছিলাম
গাঁয়ের বধূ হয়ে ছোট্ট ঘরে,
থাকবো দুজন মিলে।
কিন্তু নিয়তির কি নির্মম নিষ্ঠুর পরিহাস,
আমাকে ভুল বুঝিয়ে, আমার সরলতার সূযোগ নিয়ে,
আমাকে গ্রাম থেকে নিয়ে এলে এই শহরে,
আমার সব সপ্নকে গলাটিপে
মারলে ধিরে ধিরে।
আমার সবকিছু তিলেতিলে শোষণ করে
টাকার লোভে তুলে দিলে ঐ পতিতালয়ে।
তারপর তোমার শহুরে প্রেমিকাকে নিয়ে,
ভদ্র, সভ্য নতুন জীবন গড়লে,
ভদ্র মানুষ হয়ে।
সেদিন থেকে আমার কান্না, হাহাকার
আমাকে পাথর করে দিয়েছে,
আমার নির্মল দেহ আর মনটাকে নিয়ে
কতো ছিনিমিনি খেলেছে পশুর দল।
আমার হৃদয়টাকে কেঁটেছিড়ে
শেষ করে দিয়েছে, তোমাদের এই
তথাকথিত ভদ্র সমাজ।
আজ আমি বয়স্কা, তাই সবাই চলেগেছে,
থাকার জায়গা হয়েছে পথের ধারে
এই গাছের তলায়,
তাই আজ আমায় পথের ই রক্ষিতা বলে।
আর পথের ধারে ভিক্ষুক আমাকে দেখে
আজ তোমরা ঘৃণা করো,
যেন কতো নিষ্কলঙক চরিত্র তোমাদের,
আর ঘুনধরা এই সমাজের।
শোনরে বেইমানের দল, আমি চলেযাবো,
একদিন হয়ে যাবো শেষ,
যেদিন ডেকে নেবে মৃত্যু আমাকে,
তবে এই অত্যাচারের সাজা তোমাদের পেতেই হবে,
একদিন তোমাদের ঐ মুখোশটা টেনে খুলেদেবে
তোমাদের ই নবজাতকে।
আমি সেই মেয়ে কবিতা – সমাপ্তি
যে কেউ তাদের লেখা জমা দিতে চান। অনুগ্রহ করে আমাদের লেখা জমা দিন পৃষ্ঠায় জমা দিন| এবং যারা লেখা জমা দিচ্ছেন। পরবর্তী আপডেট পেতে আমাদের ফেসবুক পেজে অনুসরণ করুন।
অন্যান্য
ভালোবাসার দেবালোকে
বিজয়া দশমী
এক চিলতে রোদ্দুর