প্রথম চিঠি প্রেমের গল্প – দীপেশ মন্ডল
এক নাছোড়বান্দা মাঝি বিশাল সমুদ্রে পাল ছাড়াই নৌকা চালিয়ে যাচ্ছে, দূরের দিগন্তে বিকেলের সূর্য কে ধরার তাগিদে। তার মনে হয় সাগরের ওপরেই যেন ভেসে আছে সূর্য। সে কমলা আলো বিছিয়ে তাকে কাছে ডাকছে। তাই মাঝি তাকে ধরতে যায়। সমুদ্রের বিশাল ঢেউ বারে বারে তাকে সতর্ক করে বলে এটা তার ভ্রম। মাঝি বোঝে না। দূরের সূর্য অস্ত চলে যায়। মাঝির দুঃখ হয়। তবুও সে দাঁড় টানতে থাকে অন্ধকারে। সে জানে কাল আবার সূর্য উঠবে। কিন্তু সূর্য ওঠে পুব আকাশে। সে আবার উল্টো পথে চলে। আর এভাবেই সে মাঝ সমুদ্রে একবার এদিক একবার ওদিক করে খেই হারিয়ে ফেলে। তার আর সূর্য কে ধরা হয় না। মাঝি বোঝে, সে ধরাছোঁয়ার বাইরে।
১
কলকাতার কোনো এক গলিতে আকাশের বাড়ি। টালি দেওয়া একচালা মাটির ঘর। সেই ঘরের একপাশে আছে রান্নার উনুন,আর এক পাশে আছে পড়াশোনার বই এর থাক। ঘরের মাঝে পশ্চিমে ঘেঁষে একটা চৌকি আছে। আর তার পাশের দেয়ালে বাঁশের ছোট্ট একটা জানালা।
গলির ওইপাশে আছে মুখার্জিদের বাড়ি। অনেক পুরনো বনেদি বাড়ি।
আকাশের বাড়ির ওই বাঁশের জানালার ঠিক সামনেই আছে মুখার্জি বাড়ির পুবদিকের জানালা। শাল কাঠের তৈরি সবুজ রঙ্গা সেই জানালা।
মুখার্জি বাড়ির দক্ষিণ দিকে আছে লোহার বিরাট প্রবেশ দ্বার। তার গায়ে শিকল দিয়ে ঝোলানো একটা পোস্টবক্স। অনেককাল আগে নাকি তাতে চিঠি পড়ত। বাক্স ভরে যেত পাঁচমিশালি সংবাদে। এখন সে বাক্স ফাঁকা হয়ে পড়ে থেকে ঐতিহ্য বহন করে শুধু। তার ভিতরে মাকড়সা রা তাদের স্থায়ী বাস তৈরি করেছে।
এই বাড়িতেই আজ তুলি এসেছে ।এটা তার মামাবাড়ি। বছরে একবার সে আসে বাসন্তী পুজোর সময়। ষষ্ঠী থেকে নবমী অবধি থেকে আবার দশমীতে চলে যায় তাদের বাড়ি।
বছরের এই চারটে দিন আকাশের সবথেকে প্রিয়। তার একটা কারণ তো পুজো। আর একটা কারণ হল তুলি। এই কটা দিন সে তুলিকে নিয়েই ভাবতে ব্যস্ত। আকাশের তাকে ভারী পছন্দ। কেনো সে জানে না। । হয়তো ক্ষণিকের কিছু সবারই পছন্দের হয়।
২
কাল দশমী। মা কাল নৌকায় চড়ে বাপের বাড়ির মায়া কাটিয়ে আবার শশুর বাড়ি চলে যাবে। আকাশের এই ব্যাপার টা দারুন লাগে। মা পার্বতী বেছে বেছে শরৎ আর বসন্ত এই দুই ঋতুতেই সপরিবারে মর্তে বেড়াতে আসে। কার্তিক -গণেশ- লক্ষী- সরস্বতী সবাই এই কটা দিন খুব মজা করে , দশমীতে আবার মা এর সাথে কৈলাসে চলে যায়। সেখানে না আছে শরৎ, না বসন্ত, আছে শুধু হাড় হিম করা শীত। তবুও একটা দিন বেশি তারা মর্তে থাকে না। আকাশ বোঝে না মা পার্বতীর মহাদেব এর প্রতি এত টান কিসের।
তুলিও কাল চলে যাবে বাড়ি। আবার একটা বছর অপেক্ষা করে থাকবে আকাশ।
আকাশ চেয়ারে হেলান দিয়ে সামনে চৌকিটার ওপর পা দুটো তুলে বসে আছে। তার দুই চোখ চৌকির ওপরের বাঁশের বেড়ার জানালা ভেদে সামনের মুখার্জি দের ওই সবুজ জানালা তে চেয়ে আছে। সে যে চেয়ে থাকা ছাড়া আর কিছু পারে না। সে সারাটা দিন এভাবে বসে থাকতে পারে, একবার যদি তুলির দেখা পায়, এই আশায়।
আকাশ কল্পনা করে , — দুপুর হলে দুই বাড়ির মাঝখানটতে যখন সূর্য আসবে,তখন তুলি স্নান সেরে ওই সবুজ জানালায় এসে তার এলোকেশী চুলগুলো বিছিয়ে দেবে। আর দুপুরের রোদগুলো ওই চুলের ওপর আছড়ে পরে তার অন্ধকারে নিজেদের হারিয়ে ফেলবে। জানালার গা বেয়ে ওঠা গোলাপী কাগজফুলের গাছটা থেকে ফুল গুলো একটা দুটো করে ঝরে পড়বে। দূরের ল্যাম্প পোস্টটার তারে একটা তৃষ্ণার্ত তিতিবিরক্ত কাক এসে কিছুক্ষন জিরিয়ে নিয়ে, কা_আ কা_আ করে আবার উড়ে চলে যাবে জলের খোঁজে। তারপর যখন তুলি এক মুহূর্তের জন্যে জানালার বাইরে তাকাবে ঠিক তখনই আকাশ লুকিয়ে পড়বে জানালার আড়ালে। তাদের মাটির বাড়ির ওই বাঁশের জানালার ধার দিয়ে কাঠ পিঁপড়েরা দলবেধে যাবে আর হঠাৎ একটা দোয়েল পাখি জোড়া পায়ে লাফাতে লাফাতে এসে, আড় চোখে এদিক ওদিক তাকিয়ে কিছু খুজে না পেয়ে, একটা কাঠ পিঁপড়ে ঠোঁটে নিয়েই উড়ে যাবে। তুলি ও কাউকে খুঁজে না পেয়ে চলে যাবে মধ্যাহ্ন ভোজের জন্যে।
কত কি যে ভাবে আকাশ, শুধুই ভাবে।
সে ঠিক করে, আজ তুলির জন্যে একটা চিঠি লিখবে ।
৩
দুপুর গড়িয়ে বিকেল হয়ে গেছে। আকাশ গিয়েছে মানিক্তলার মাঠে। অনেক মেলা বসেছে সেখানে। চারপাশে কত্ত আলো, কত্ত ভিড়। মাঠের একদিকে সারিতে সারিতে তাঁবু ফেলে বসেছে বাচ্চাদের জন্য খেলনা, মেয়েদের জন্যে কাঁচের চুড়ি, ইমিটেশনের গয়না, মায়েদের জন্যে রান্নার হাঁড়ি, খুন্তি, কড়াই । আবার আর এক দিকে বসেছে হরেকরকম তেলেভাজা, মিষ্টি খাবারের দোকান। আর মাঠের মাঝে যেখানে ক্রিকেট খেলার পিচ টা আছে সেখানে বড় একটা নাগরদোলা বসেছে। আকাশ নাগরদোলা র মত সারা মাঠ বনবন করে ঘুরছে। একবার খেলনার দোকানে এসে পঞ্চাশ টাকার কলের পুতুলটা ছুঁয়ে দেখছে, আবার দৌড়ে গিয়ে তেলেভাজার দোকানে এসে খাবারের গন্ধ নিয়ে যাচ্ছে। তাকে দেখে মনেই হয় না যে এবার সে মাধ্যমিক দেবে।সে জানে মেলার কোনো কিছুই তার জন্যে নয়। কাল যখন মেলা ভেঙে যাবে তখন দরদাম করে কেনা যাবে। আকাশ তাই চোখ দিয়েই আশ মেটায়। চোখ দিয়েই মেলার সবকিছু কিনে ফেলতে পারে সে।
এমনই তার নজর যায় নাগরদোলার টিকিট কাউন্টারে। সেখানে তুলি দাড়িয়ে আছে তার মামীর সাথে। সে একটা গোলাপী চুড়িদার পড়ে আছে। চুলগুলো পিছনে বাঁধা, তার মধ্যে থেকে একটা অবাধ্য চুলের গোছা বাঁধন ছিঁড়ে কপালের পাশে হওয়ায় দুলছে। আর কপালের ঠিক মাঝখানে একটা ছোট্ট কালো টিপ। আকাশ এর আগে এমন সুন্দর কাউকে দেখেনি। সে হাজার মানুষের মধ্যে থেকে তুলির দিকে নিস্পলক তাকিয়ে থাকে। তার ইচ্ছে হয় দৌড়ে তুলির কাছে গিয়ে তাকে বলতে যে, “তুলি তুমি খুব সুন্দর, আমি তোমার কথা সবসময় ভাবি। তুমি কি আমার কথা ভাববে ?” __কিন্তু সে যেতে পারে না। তার ভয় হয়, তুলি যদি তাকে চিনতে অস্বীকার করে, বা যদি তুলি তার কল্পনার মত না হয়। সে বোঝে চাঁদকে অনুভব করতে হয়, ছুঁতে নেই। চাঁদের আলো পেতে গেলে আকাশ কে কালো হতেই হয়।
হঠাৎ তার মনে পড়লো তুলির জন্যে চিঠি লেখার কথা ছিল। তুলি কাল চলে যাবে। আবার এক বছর।
আকাশের সারা শরীরেটাতে শিহরন লেগে যায়। সে একবারেই পুরো মনিক্তলার মাঠ টাকে শেষ বারের মত দেখে নিয়ে তারপর দৌড় লাগায় বাড়ির দিকে।
বাড়িতে এসেই চৌকির ওপর খাতা পেন নিয়ে বসে যায় আকাশ। খাতা থেকে পাঁচটা পৃষ্ঠা ছিঁড়ে নেয়। আজ অনেককিছু লিখবে সে। বাইরে জানালা দিয়ে দখিন বাতাস ঢুকে আকাশের ঘামে ভেজা ক্লান্ত শরীরে প্রশান্তির পরশ দিয়ে যাচ্ছে। পাশের মুখার্জী দের দালান বাড়ি থেকে নবমীর আরতির ঘণ্টার সাথে তাল মিলিয়ে ঢাকের আওয়াজ শোনা যাচ্ছে। ধুনোর আবছা আবছা গন্ধ ওই সবুজ জানালা দিয়ে ভেসে আসছে আকাশের কাছে।
৪
আকাশ শুনতে পায় তুলির গলা। তুলি মামীকে বলছে_ ” সত্যি মামী, তোমার মত ভীতু আমি কখনো দেখিনি। নাগরদোলায় উঠে কেউ আবার কাঁদে নাকি ! ভাগ্যিস আমি ছিলাম।” মামী বলে _ ” আচ্ছা আমার দুঃসাহসী মা, এবার খেতে চলো। খেয়ে ঘুমোতে হবে। কাল তো আবার সকাল সকাল বাড়ি ফিরতে হবে নাকি !”
কথাটা শুনেই আকাশের বুকটা খালি হয়ে যায়। মাথার পিছনটা ঝিনঝিন করে ওঠে। চিঠিটা এখনই দিতে হবে তাকে।সে চিঠিটা নিয়ে দৌড়ে যায় তুলিকে দেবে বলে। হয়তো তুলির হাতে দিতে পারবে না, তবে রাতের অন্ধকারে সে চুপি চুপি ওই পোস্ট বক্স টাতে রেখে আসবে। সে দেখেছে তুলি অষ্টমীর সকালে অঞ্জলী দেওয়ার জন্যে ফুলবাগানে ফুল তুলতে যাওয়ার সময় পোস্ট বক্স টাকে দেখে মামীকে বলেছিল, _ “বাহ্ মামী, এই মোবাইল এর যুগে এখনও বুঝি চিঠি আসে ! How interesting। দেখি তো।” — বলেই সে নিচু হয়ে বাক্সের গায়ে লাগানো কাচ দিয়ে দেখে চিঠি আছে কি না । কিছুই ছিল না তাতে। তুলির সেই মলিন হওয়া মুখটা স্পষ্ট মনে আছে আকাশের।
তুলি হয়তো আবার কাল বাড়ি যাওয়ার সময় একবার হলেও পোস্ট বক্স টার দিকে তাকাবে। তখন দেখবে একটা চিঠি আছে। শুধুমাত্র তার জন্যে। কি খুশিই না হবে তুলি।
আকাশ সম্মুখের গেট টপকে মুখার্জি দের বাড়িতে ঢোকে। সামনেই পোষ্ট বক্স টা ঝোলানো। সে এগিয়ে যায় । তারপর পকেট থেকে চিঠিটা বের করতে যাবে, এমন সময় নির্জন রাতের নিরবতা ভেদ করে কে যেনো বলে ওঠে__
—এই যে ভীতু মশাই , চিঠিটা আমাকে দিলেই তো পারতেন।
আকাশ আঁতকে ওঠে। সে শক্ত হয়ে দাড়িয়ে থাকে সেখানে। তারপর ধীরে ধীরে পিছন ফিরে দেখে তুলি দাড়িয়ে।
— একি ত _ত _তুমি। ঘুমাওনি এখনও ?
— না । ঘুম আসছিলো না। তাই পায়চারি করছিলাম এখানে।
— আচ্ছা।
— কি আচ্ছা। চিঠিটা নিশ্চই আমার জন্যে লিখেছো। কি লিখেছো শুনি।
— আমি বলবো !
— হ্যা, তুমি। তাছাড়া আর কে বলবে। এইতো আজ তোমার সামনে দাড়িয়ে আছি। বলো কি বলবে ?
….
— কি হল। চুপ করে আছো যে। আমি কিন্তু কাল চলে যাচ্ছি। আর আমাকে দেখতে পাবে না।
আচ্ছা আকাশ, আমাকে নিয়ে এত ভাব কেনো বলোতো?
— তোমাকে নিয়ে ভাবতে খুব ভালো লাগে তুলি।
— তাই বুঝি !
— হুম।
বছরে এই কটা দিন তুমি এখানে আসো। অত্ত বড় বাড়িটা আবার জীবন্ত হয়ে ওঠে। তোমার নূপুরের আওয়াজে দালানের স্তম্ভ গুলো গমগম করে। আমি তোমাকে সবুজ জানালা দিয়ে দেখি, গলি টাতে সবসময় ঘোরাফেরা করি তোমাকে একটা বার দেখবো বলে। পাইনা দেখতে। তাই তোমাকে কল্পনা করি। তোমাকে নিয়ে ভাবতে আমার বেশ লাগে। জানো তুলি, তুমি আমার স্বপ্নের মধ্যেও আসো।
কিন্তু দশমী আসলেই কেমন জানি হয়ে যাই। কোনোকিছুতে ভালো লাগে না। গলা ভার হয়ে আসে, কান্না পায়। অকারনেই অভিমান করে থাকি। ইচ্ছে করে ছুটে গিয়ে তোমায় বলি, আর কটা দিন তো থেকে যেতে পারতে।
তুমি চলে গেলে সবকিছু আবার আগের মত হয়ে যায়। বাড়িটা আবার ইটের স্তূপের মত লাগে, সবুজ জানালাতে ধুলো জমে , কাগজ ফুলের গাছটা থেকে শেষ ফুলটাও ঝরে যায়।
— হুমম__ বুঝলাম । ভালোবাসো ?
— এটাই কি ভালোবাসা ? তবে হ্যা , বাসি। কিন্তু___
— কিন্তু কি ?
— মা বলে, গরীব আর ধনীদের ভালোবাসার সময় থাকে না। থাকে শুধু মধ্যবিত্তের। তাই তো আমি শুধু ভাবি। তুমিও নিশ্চই ভাবো!
— দেখো আকাশ। শুধুই ভাবলে, ভয় পেলে, মনে সংকোচ রাখলে একদিন কিন্তু হারিয়ে ফেলবে আমায়।
— তোমাকে পাইনি তো ! হারাবো কিভাবে ?
— বাহ্। কথাটা ভালই বললে। তবে কি জানো আকাশ, ভালোবাসা প্রকাশ করতে হয়। তবেই তো আর একজনের অনুভূতি টা অনুমান করা যায়।
চলি। বড্ড ঘুম পাচ্ছে।
তুলি ঘরে চলে গেল। আকাশ চুপ করে রইল। “কি বলে গেলো সে ? আর একজনের অনুভূতি ! মানে ? তবে তুলিও কি আমায় ভালোবাসে ? ”
আকাশ তুলির যাওয়ার সময় নৈরাশ্য ভরা মুখখানি লক্ষ্য করেছে।
কিন্তু তুলি তো চলে গেলো। জিজ্ঞেস করবে কিভাবে ? পরের বছর আবার আসবে তো সে !
আকাশের দম বন্ধ হয়ে আসে। সে আর ভাবতে পারছে না। কিচ্ছু না। আজ তুলি এত করে তার মনের কথা জানতে চাইলো, তাও কেনো সে চুপ করে ছিল? আকাশের নিজের ওপর ভারী রাগ হয়। আজ সময় ,সুযোগ সবটাই সে হারালো।
হঠাৎ ঝোড়ো হাওয়া শুরু হলো। রাস্তার ধুলো উড়ছে চারিদিকে। কালো আকাশে কালো মেঘ তার তুলি দিয়ে এক এক করে সমস্ত তারা গুলোকে মুছে দিচ্ছে। তারপর__
তারপর প্রচন্ড জোরে একটা বাজ পড়লো। আর আকাশের ঘুম গেলো ভেঙে। জানালা দিয়ে বৃষ্টির ছিটে আসছে। পাশে পেন এর তলায় রাখা পাঁচটা সাদা পৃষ্ঠার এক কোনা পতাকার মত পত পত করে হওয়ায় উড়ছে।
এতক্ষন স্বপ্ন দেখছিল আকাশ। কিছুই লেখেনি সে। আকাশ ঘড়িতে দেখলো রাত বারোটা টা বেজে পাঁচ।
আর কিছু লিখতে মন চাইলো না তার। সে যেনো স্বপ্ন কেই সত্যি ধরে নিয়েছে। সে জানে না যে সত্যি টা আসলেই কেমন। সে জানতেও চায় না। সে ভয় পায় দুঃখ পেতে।
তবুও সে ভাবে সত্যিই একটা চিঠি লিখবে । আর সেটা রেখে আসবে ওই পোস্ট বক্স টাতে।এটাই তুলির জন্যে লেখা আকাশের প্রথম চিঠি। সে একটা পৃষ্ঠার একটুখানি ছিঁড়ে নিয়ে, তাতে পেন দিয়ে বড় বড় করে লেখে__
” আমার এই পথ চাওয়াতেই আনন্দ।”
প্রথম চিঠি প্রেমের গল্প – সমাপ্ত
আপনাদের লেখা আমাদের ওয়েব সাইটে জমা দিতে গেলে, অনুগ্রহ করে আমাদের লেখা-জমা-দিন মেনু-তে ক্লিক করুন ও নিজেকে Author হিসেবে Register করুন এবং আমাদের পরবর্তী আপডেট পেতে আমাদের ফেসবুক পেজ অনুসরণ করুন।
অন্যান্য
জ্বর
ভুবন যায় ভুবন আসে
প্রেম চিরন্তন