দিলীপ জিও ভৌতিক গল্প – মানসী গাঙ্গুলী
অনেকদিন বাদে দিলীপ এল সন্দীপের বাড়ি। এই কোভিড সিচুয়েশনে এমনিতেই কেউ কারও বাড়ি যাচ্ছে না, তার ওপর দুজনেই নানা ব্যস্ততায় সময় পায় না। ওদের বন্ধুত্ব অনেকদিনের, যদিও বাল্যবন্ধু ওরা নয়। গান-বাজনার সুবাদে পরিচয় ওদের, সেই থেকেই বন্ধুত্ব। সন্দীপ সেতার বাজায়, দিলীপ সঙ্গে তবলায় সঙ্গত করে। মাঝে মাঝেই দুজন একসঙ্গে রেওয়াজে বসে। আসর তখন জমে ওঠে। দুজনেই মগ্ন হয়ে যায় বাজাতে বাজাতে। দুজনেই ওরা জাত শিল্পী, বাজনার মধ্যেই খুঁজে পায় মনের খোরাক। ইদানীং হয়ে উঠছিল না। দুই বন্ধুর পারিবারিক অবস্থার মধ্যে ফারাক অনেক। সন্দীপ বিত্তবান ব্যবসায়ী বাবার ছেলে আর দিলীপের বাবা ছিলেন নেহাতই মামুলি এক দর্জি। তবে ছিলেন খুব ভালো মানুষ। দিলীপ ছেলেটিও বাবার মতোই ভালোমানুষ আর সন্দীপও বিত্তবান বাবার ছেলে হয়েও কোনও অহংকার তার মধ্যে নেই। শিশুর মত সরল প্রকৃতি তার। সন্দীপ বন্ধুর প্রতি দায়বদ্ধতায় তাকে নানাভাবে সাহায্য করার চেষ্টা করে দিলীপ তা বোঝে। সেও সন্দীপকে অত্যন্ত ভালোবাসে।
ইদানীং কোভিডের কারণে দু’জনের দেখা সাক্ষাৎ কমই হচ্ছে। তবে দুটো ভ্যাকসিন নেওয়ার পর কোভিড যখন কিছুটা শান্ত হল, নিয়ন্ত্রণে এল, পরিবেশ যখন একটু ঝিমিয়ে পড়ল, তখনই দিলীপ এল সন্দীপের বাড়ি। ও কেবল এসে বসেছে, সন্দীপ ওকে “আয় আয়, অনেকদিন পর” বলতে বলতেই ওর ফোনটা বেজে ওঠে। দিলীপকে হাতের ইশারায় বসতে বলে ফোনটা ধরে সন্দীপ। হঠাৎ তাকিয়ে দেখে দিলীপের মুখটা চুন হয়ে গেছে। সে বেরোবার জন্য অস্থির হয়ে ওঠে। সন্দীপ আবারও তাকে হাতের ইশারায় বসতে বলে। তাড়াতাড়ি কথা শেষ করে ফোনটা ছেড়ে দেয়। দিলীপকে জিজ্ঞেস করে, “এসেই চলে যেতে চাইছিস কেন? ফোনটা এলো দুটো কাজের কথা বলেই তো ছেড়ে দেবো। তোর তাতে রাগ হয়ে গেল? মুখের চেহারাই তো পাল্টে গেছে তোর।” “না রে সন্দীপ, আমায় যেতে হবে। তুই আমায় ভুল বুঝিস না। তোর ওপর রাগ করে আমি চলে যাছি না। তোর ফোনটা আসায় খেয়াল হল আমার পকেটে মোবাইলটা নেই। তাই এখনই যেতে হবে আমায়। গেটবাজারের দিকে গিয়েছিলাম, খুব ভিড় ছিল, কেউ বোধহয় তুলে নিল পকেট থেকে। আর না তুলে নিলেও পড়ে গিয়ে থাকলেও এতক্ষণে কেউ পেয়ে গিয়ে থাকবে, ও আর আমি পাব না।” অভাবী ছেলে, কোনোরকমে দিন গুজরান হয়, এখন আবার একটা মোবাইল কেনা তার পক্ষে সম্ভব নয়। আগের ফোনটা অ্যান্ড্রয়েড ফোন ছিল। দোকানে একটা বোতাম টেপা ফোন কিনতে গেলে ওর এক ছাত্রের বাবা সেখানে ছিলেন, তিনি বাকি টাকাটা দিয়ে ওই অ্যান্ড্রয়েড ফোনটা কিনে দিয়েছিলেন ওকে। ওই ফোনে প্রচুর জরুরী নম্বর, ওর অনেক বাজনার ভিডিও রয়েছে, যেগুলো আর পাওয়া সম্ভব নয়। মুখ ওর তখন কাঁদো কাঁদো। সন্দীপ ওর হাতটা চেপে ধরে বলে, “চা বসাচ্ছি, চা-টা খেয়ে যা। আচ্ছা দাঁড়া আমি তোর নম্বরে রিং করে দেখি, কেউ পেয়ে গেলে সে সুইচ অফ করে দেবে।” এই বলে টেবিলে রাখা ফোনটা হাতে তুলতে যাবে, দেখে দিলীপের ফোনের জিও নম্বর থেকে তার ফোনে কল এল। স্ক্রিনে ভেসে উঠল দিলীপ জিও। ওরা দুজনেই দেখল সেটা। ভাবল কেউ পেয়ে ফেরত দেবার জন্য কললিস্ট থেকে ফোন করেছে। ফোনটা ধরতে ধরতেই কেটে গেল। এরপর সন্দীপ বারবার ওর ফোন থেকে দিলীপের জিও নম্বরে ফোন করার চেষ্টা করতে লাগল কিন্তু প্রতিবারই ফোনটা ‘সুইচড অফ’ বলতে লাগল। ওরা তখন বুঝে গেছে কেউ ফোনটা পেয়ে টেপাটেপি করতে কিভাবে সন্দীপের নম্বর লেগে গিয়েছিল। পরক্ষণেই সে সতর্ক হয়ে যায় আর ফোন সুইচ অফ করে দেয়। তাও সন্দীপ বলল, “তুই ভদ্রেশ্বর থানায় একটা মিসিং ডায়েরি করে দিয়ে যা, যদি কেউ কুড়িয়ে পেয়ে জমা দিয়ে যায় তো পেয়ে যাবি।”
এরপর কোনরকমে চাটুকু গলাধঃকরণ করে দিলীপ সাইকেল নিয়ে দিকভ্রান্ত হয়ে বেরোবার সময় সন্দীপ মনে করিয়ে দেয়, “মাস্কটা পর দিলীপ”। “হ্যাঁ হ্যাঁ” করে মাস্কটা পরে নিয়েই বেরিয়ে যায় থানার দিকে। যেতে যেতে ওর পেটে অস্বস্তি শুরু হয়, বাথরুমে যাবার প্রয়োজন বোধ করে। ভাবে, “যাই আগে বাড়ি যাই, ও তো গেছেই, নাহয় কালই ডায়েরি করব।” এই ভেবে বাড়ি গিয়ে তালা খুলে ঘরে ঢুকে আলোটা জ্বেলে দরজা বন্ধ করে ঘুরে দাঁড়াতেই দেখে সুইচ বোর্ডের প্লাগ পয়েন্টে মোবাইল চার্জে বসানো। তবে সুইচ অফ করা রয়েছে। ও যখন চার্জে বসায় সবসময়ই সুইচ অফ করে বসায়। আনন্দে আত্মহারা হয়ে ফোনটা খুলে বুকে জড়িয়ে ধরে। চোখ দিয়ে জল গড়িয়ে পড়ে। এ যে তার বহুমূল্য সম্পদ। শুধু আর্থিক মূল্যেই নয়, সমস্ত প্রয়োজনীয় যোগাযোগ নম্বর রয়েছে এতে সেভ করা, যা অন্য কোথাও আর রাখা নেই। এটা না পেলে ও একেবারে নিঃস্ব হয়ে যেত। মনে মনে বলে, “জয়ী, এ তোর কাজ। দাদাকে কষ্ট পেতে দেখে তুইও বিচলিত হয়েছিলিস আর তাই বন্ধ মোবাইল থেকে মিসড কল দিলি সন্দীপের মোবাইলে। তুই সর্বদা আমায় ফলো করিস, তাই জানতে পেরেছিস আমি সন্দীপের বাড়িতেই রয়েছি তখন।” পরক্ষনেই মনে হল, সন্দীপকে জানানো দরকার ব্যাপারটা। এসবের মধ্যে বাথরুমে যাবার প্রয়োজন তখন আর হচ্ছিল না তার। সে কথা মাথায়ও নেই। ফোনটা অন করে সন্দীপকে ফোন লাগাল। সন্দীপ “হ্যালো” করতেই ওপারে দিলীপের কণ্ঠস্বর শুনে খুব খুশি হল। “যাক, পেয়ে গেছিস তাহলে? কোথায় পেলি?” “আরে সেটাই তো বলবার জন্য ফোনটা করলাম তোকে। ফোনটা বাড়িতেই ছিল চার্জে বসানো।” “তার মানে? তাহলে ফোনটা কে করল?” “সেটাই তো, আর ফোনটা সুইচ অফ করা ছিল। তুই তো জানিস আমি সুইচ অফ করে ফোন চার্জে বসাই।” “কী সব বলছিস দিলীপ তুই? তোর মাথার ঠিক আছে তো?” “ঠিক না থাকারই তো কথা রে ভাই। আচ্ছা পরে কথা হবে। কেবল একটা কথা বলি তোকে, এতে জয়ীর হাত আছে।” ফোনটা রেখে দিল দিলীপ।
সন্দীপের গা-টা শিরশির করে উঠল। মনে ভাবনারা ভিড় করে এল। কোনও হিসাব মেলাতে পারছে না ও তখন। জয়ী দিলীপের একমাত্র বোন, জন্মান্ধ। দুই ভাইবোনে খুব ভাব, খুব মিলমিশ। দরিদ্র পরিবার হলেও ওদের সবার মধ্যে অর্থাৎ মা-বাবা-ভাই-বোন এই চারজনের মধ্যে দারুণ বন্ডিং। শান্তির সংসার। অভাবের মধ্যেও বাবা ছেলেমেয়েদের শিক্ষা দেবার চেষ্টা করে গেছেন, সঙ্গে গানবাজনাও। মেয়ে যেহেতু জন্মান্ধ, তাকে ব্লাইন্ড স্কুলে পড়িয়েছেন। ব্রেইলের মাধ্যমে লেখাপড়া শিখেছে সে। দিলীপ কলেজে ঢুকেছে আর একবছরের ছোট বোন উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছে, এমন সময় হঠাৎ একদিন ওদের চোখের সামনেই ওদের বাবা মারা যান রাতের খাওয়া সেরে মুখ ধুতে গিয়ে। বাবা মারা যেতে রোজগারের দায়িত্ব দিলীপ নিজের কাঁধে তুলে নিল। বোন জয়ী খুব সুন্দর গান গাইত। সেও গানের টিউশন করতে চাইল। দিলীপ তবলার আর জয়ী গানের টিউশন করে, ফাংশনে ভাইবোন গান-বাজনা করে সংসার চালাতে লাগল। কোনোভাবে জোড়াতালি দিয়ে চলছিল। মা অতীব দক্ষতায় ছেলে-মেয়ের স্বল্প আয়ে সংসারটাকে টেনে নিয়ে যাচ্ছিলেন। অভাবের ঘরেও তাদের মুখের হাসিটা মলিন হয়নি, মিলিয়ে যায়নি কোনোদিন। বাড়িতে ভাইবোন যতক্ষণ একসঙ্গে থাকত ওই গান-বাজনার আলোচনাই চলত। নিজেদের কিভাবে উন্নত করা যায় তার সঙ্গে কার কোন ছাত্র-ছাত্রী কী করেছে বা কী বলেছে বা কে কেমন করছে সেই নিয়ে আলোচনায় মেতে ওঠা ছিল নিত্যকার ব্যাপার। মা-ও যোগ দিতেন ছেলেমেয়ের আলোচনায়। দিব্যি চলছিল আনন্দে হাসি গানে। অন্ধ বোনের বিয়ে দেবে না বলে দিলীপ নিজেও বিয়ে করল না। কেউ যদি বা দয়াপরবশ হয়ে বোনকে বিয়ে করেও, তারপর কি সে বোনকে স্বচ্ছন্দে রাখবে নাকি অত্যাচার করবে? তার চেয়ে বোন ওর কাছেই নিরাপদে থাক। মা সবই জানে, তবু সবের মাঝে তিনি থাকতেন বড় চিন্তায়। “আমি মরে গেলে এই অন্ধ মেয়ের কী হবে?” জানেন ছেলে তার বোনকে খুবই ভালোবাসে, সর্বদা আগলে রাখবে, তবু পুরুষমানুষ তাকে তো কাজে বেরোতে হবে। মায়ের মত সারাদিন তো বোন আগলে বাড়ি বসে থাকলে চলবে না। এভাবে চলতে চলতে বয়স দুই ভাইবোনেরই পঞ্চাশ ছুঁই ছুঁই। মায়েরও প্রায় ৭০। একদিন হঠাৎ রাতে খাবার পর জয়ী বুকটা চেপে ধরে বসবার চেষ্টা করতে গিয়ে মাটিতে পড়ে গেল অজ্ঞান হয়ে। জ্ঞান তার আর ফেরেনি। গরীবের ঘরে নিয়মিত চেকআপ বলে কিছু হতো না। খুব অসুস্থ হলে তবেই ডাক্তারের কাছে যাওয়া। এক্ষেত্রে ডাক্তারকে বাড়িতে কল দিলে তিনি দেখে নিদান দিলেন ‘প্রবলতম হৃদয়ের ঝাঁকুনিতে মৃত্যু’। নয়নের মণি বোনটিকে হারিয়ে দিলীপ একেবারে ভেঙে পড়ল। বাজনা তার শিকেয় উঠল। সবাই বুঝিয়ে কেবল একটু সংযত করতে পেরেছে নিজেকে, এমন সময় বোনের মৃত্যুর তিনমাস পরে মা-ও আচমকাই মারা যান কোনও রোগভোগ না করে। এক্ষেত্রেও ডাক্তার নিদান দিলেন ‘প্রবলতম হৃদয়ের ঝাঁকুনিতে মৃত্যু’। প্রাণাধিক প্রিয় বোন ও মাকে পরপর হারিয়ে দিলীপ যেন অনাথ হয়ে গেল। ওদের মতো আর্থিক অবস্থায় দীর্ঘকাল রোগে ভুগলে বা বিছানায় পড়ে থাকলে দিলীপ যে কিভাবে সামাল দিত! কিন্তু এক্ষেত্রে মা বা বোন কারও চিকিৎসার জন্যই এক পয়সাও খরচ করতে হয়নি দিলীপকে। বোন মারা যাবার পর দিলীপ যতটা ভেঙে পড়েছিল, মা ততটা নয়। বরং তিনি খানিকটা স্বস্তি পেয়েছিলেন তাঁর অন্ধ মেয়ে তাঁর জীবদ্দশায় চলে যাওয়ায়।
এদিকে করোনা ভাইরাসের প্রকোপে বাইরে বেশি বেরোনোরও উপায় নেই অথচ শূন্য বাড়ি খাঁ খাঁ করে ওকে যেন গিলে খেতে চায়। তবু বোন আর মায়ের স্মৃতি জড়িয়ে আছে ওই বাড়িতে, ওখানে থেকে ও যেন প্রতিনিয়ত তাদের অস্তিত্ব টের পায়। কখনও না খেয়ে ঘুমিয়ে পড়লে কেউ যেন ওকে ধাক্কা দিয়ে উঠিয়ে দেয়। কোনও জিনিস খুঁজে না পেলে যখন অস্থির হয়ে খোঁজাখুঁজি করে তখন হঠাৎ করেই সেই জিনিসটা ওর চোখের সামনে হাজির হয়। কখনও মাথার যন্ত্রণা হলে ও টের পায় মাথায় জয়ীর হাতের শীতল স্পর্শ। জুড়িয়ে যায় ওর শরীর। এইভাবে না থেকেও জয়ী সর্বদা থাকে ওর পাশে।
মাঝে করোনা ভাইরাসের প্রকোপ একটু কমে যাওয়ায় দিলীপ স্থির করে এই শূন্য বাড়ীতে আর সে পড়ে থাকবে না। কার জন্য থাকবে? আর কোনো পিছুটান যে তার নেই। এতদিন বাইরে যাবার সুযোগ থাকলেও অন্ধ বোন আর মায়ের কথা ভেবে সে না যাওয়াই স্থির করে। আগে মাঝেমাঝেই জয়ী আর দিলীপ বাড়িতে একসঙ্গে গান-বাজনা করত বা কোথাও ফাংশন থাকলে তো রেওয়াজ করতই। গানপাগল দুই ভাইবোন মেতে থাকত এতে। জয়ীর গানের গলা ছিল অত্যন্ত ভাল, শ্রোতা তাকে কদর করত। এখন জয়ী নেই, বাড়িতেও বসে না আসর। কোনও অভাব ওদের ছুঁতে পারত না এতটাই যখন খুশি থাকত ওরা। এরই মধ্যে মোবাইল নিয়ে এত কান্ড। সন্দীপও রীতিমত অবাক সব শুনে। দিলীপের বন্ধ মোবাইল থেকে ওর ফোনে কী করে রিং হল আজও ওর হিসাব মেলে না। আবার এটাও অবাক, সন্দীপ ওর ফোনের কল লিস্ট চেক করলে ‘দিলীপ জিও’র কোনও মিসড কল ওর চোখে পড়ে না। বারেবারে চেক করেছে, তাও কোনও মিসড কলের গল্প নেই। ভাবে, “এমন কত কিছু ঘটে বুদ্ধিতে যার ব্যাখ্যা চলে না”। তবে ঘটনাটা যে ঘটেছিল তার জলজ্যান্ত সাক্ষী দিলীপ। এমন নয় যে এটা ওর ভুল।
দিলীপ চলে যাচ্ছে ঝাড়খন্ডের একটা বোর্ডিং স্কুলে মিউজিক টিচারের চাকরি নিয়ে। শূন্য বাড়ি ছেড়ে বের হবার সময় দু’চোখ ভরা তার জল। বলে, “জয়ী, তুই আর মা ভাল থাকিস, আমি ছুটি পেলেই আসব আবার তোদের কাছে। চোখের জল আর ধরে রাখতে পারল না। বাঁধ ভেঙ্গে দু’গাল বেয়ে গড়িয়ে পড়ল। সন্দীপ এসেছিল দিলীপকে বিদায় জানাতে। দু’হাতে বুকে জড়িয়ে ধরে সান্ত্বনা দিল ওকে। সন্দীপেরও মন খুব খারাপ। প্রায় ত্রিশ বছরের বন্ধুত্ব দু’জনের। দিলীপ চোখের জল মুছে বলল, “সন্দীপ এতগুলো টাকা মাইনে, থাকা-খাওয়া ফ্রী, জয়ী আর মা থাকতে যদি করতাম, ওদের কত ভাল রাখতে পারতাম। সন্দীপ বলে, “তুই আগেও পেয়েছিলি দিলীপ, ওদের ছেড়ে যাবি না বলে যাসনি। তবে, বেশি টাকার চেয়েও তোর সান্নিধ্যটা ওদের কাছে জরুরী ছিল বেশি। সেটা তুই দিতে পেরেছিস। দুঃখ করিস না, এটাই জীবন।”
দিলীপ জিও ভৌতিক গল্প – সমাপ্তি
আপনাদের লেখা আমাদের ওয়েব সাইটে জমা দিতে গেলে, অনুগ্রহ করে আমাদের লেখা-জমা-দিন মেনু-তে ক্লিক করুন ও নিজেকে Author হিসেবে Register করুন এবং আমাদের পরবর্তী আপডেট পেতে আমাদের ফেসবুক পেজ অনুসরণ করুন।
অন্যান্য
রাজবাড়ী রহস্য
ব্রহ্ম দৈত্য
প্রত্যাবর্তন