কলম পাতুরি

ভাবনা আপনার প্রকাশ করবো আমরা

Home » সায়েন্স ফিকশন গল্প » বাবুয়ার বন্ধু

বাবুয়ার বন্ধু

বাবুয়ার বন্ধু সায়েন্স ফিকশন গল্প – তন্ময় কবিরাজ

“কেমন দেখলে বাবুয়াকে?”গেট বন্ধ করে বাইরে বেরিয়ে আসতেই সুধীর প্রশ্ন করলো।
“দারুন।”ছোট্ট উত্তর অনিকেতের।
“কোনো পার্থক্য বুঝতে পারলে?”সুধীর জানতে চাইলো।
“না।আমি শুধু এন্টার প্রেস করলাম। ব্যাস ফাইল রেডি। আমাদের আগের বসের থেকে অনেক ভালো। আবার থ্যাংক ইউ বললো।”অনিকেত বাবুয়ার ব্যবহারে খুশী।
সুধীর সাবধান করে দিল,”এতো খুশি হতে হবে না।”
আপত্তি জানাল অনিকেত,”খুশী হবো না কেন? আগে আট ঘণ্টা কাজ করতাম।এখন পাঁচ ছয় ঘণ্টা কাজ করলেই হয়ে যায়।আমি তো এখন বিকালের আগেই বাড়ি চলে যাই। বাগানে জল দিই। গাছগুলো সব মরে গিয়েছিল।”
সুধীর জানে অনিকেত সহজে বুঝবে না।তাই পকেট থেকে মোবাইল ফোনটা বার করে অনিকেতের সামনে তুলে ধরলো। “দেখো আইএমএফ কি বলছে!বলছে আগামী দিনে এই বাবুয়া ৬০শতাংশ চাকরিকে প্রভাবিত করবে।ইতিমধ্যে ৪০শতাংশ এর আওতায় চলে এসেছে।”
খানিক ভাবলো অনিকেত।”জন ম্যাকার্থি মশাইরা আচ্ছা জিনিস বানিয়েছে।”কিছুটা অবাক সে।”এর পরেও রাহুল গান্ধীরা বলছে ক্ষমতায় এলে ত্রিশ লক্ষ চাকরি হবে।”
“আগামী দিনে চাকরি পেতে গেলে মানুষকে আরো দক্ষ হতে হবে।এমন লোক চায় যারা বাবুয়াকে কন্ট্রোল করতে পারে। প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ জানতেই হবে।”বললো সুধীর।
দূরে চেয়ারে গিয়ে বসলো অনিকেত।”জানিস, তোরা তখনও জয়েন করিসনি। অফিসটা গমগম করতো। আমরা তো ক্যান্টিনে খাবারই পেতাম না। এক কিলোমিটার হেঁটে হোটেলে খেতে যেতাম। এখন হাতে গনা কজন মাত্র লোক। পুরনো লোক বলতে একমাত্র আমি। ভাগ্যিস বামফ্রন্টের আমলে কম্পিউটার শিখেছিলাম।”কথার মধ্যে আবেগ জড়িয়ে এলো।
“আরো কমবে অনিকেতদা।আপনি পারলে রোমান ইয়াম পালাস্কির “আনএক্সপ্লেনাবল, আনপ্রেদিকটাবল, আনকন্ট্রোরেবল “বইটা পড়বেন। অনেক কিছু জিনিস বুঝতে পারবেন।”
অনিকেত জানে, সুধীর বয়সে ছোট হতেপারে কিন্তু ছেলেটার পড়াশোনা আছে। কাজের ফাঁকে ফালতু আড্ডা দেয় না। বই পড়ে। নিত্য নতুন বই পড়া ওর সখ। বাড়িতে সরকারি পরীক্ষার কোচিং খুলেছে।”তা হলে তো ভয়ের ?”
“সবই যে ভয়ের তা নয়।”আশ্বস্থ করলো সুধীর।
“এমন কেন বলছিস?”জানতে চাইলো অনিকেত।
আয়ারল্যান্ডের তথ্যপ্রযুক্তির এক ভদ্র লোক, নামটা খুব সম্ভবত নাসিম মেহমুদ এক প্রশ্নের উত্তরে বলেছে,ভয় পেলে চলবে না। জানতে হবে। দেখো, যেটা হবার ছিল সেটাই হচ্ছে কিন্তু।১৯৮০সাল থেকে যে ঝড় শুরু হয়েছে এবার সেতো আছড়ে পড়বেই। বাবুয়া যে আসবে সেটা এক প্রকার আমরা সবাই কম বেশী আন্দাজ করেছিলাম।”
“এতো খাল কেটে কুমির আনা।”চিন্তিত অনিকেত।
“সেটা তুমি বলতেই পারেন। তবে মানুষকে বা আগামী প্রজন্মকে আরোও দক্ষ হতে হবে।”বললো সুধীর।
“তুই কি স্কিলড লেবারের কথা বলছ?”
“একদম ঠিক ধরেছ অনিকেতদা।যারা বাবুয়াকে কন্ট্রোল করতে পারবে।”
“তাহলে মাধ্যমিক পাশ ছেলেদের কি হবে?”
“ওখানেই তো প্রবলেম।তুমি গাদাগাদা নম্বর দিয়ে ঢালাও পাস করিয়ে দিচ্ছ আর তারা কিছুই শিখল না।”বলল সুধীর।
চুপ করে গেল অনিকেত। বিরতি ভেঙে বললো,”আমার ছেলেগুলো এবার না খেতে পেয়ে মরবে।সরকারি স্কুলের যা অবস্থা তাতে আর কিছু শিখবে না। রাজ্য সরকারের সামান্য কর্মচারী হয়ে কটা টাকাই বা বেতন পাই?সেদিন কাগজ পড়ছিলাম।দেখলাম তাতে বড়ো বড়ো করে লেখা বিজ্ঞান গবেষণায় জাপানের বরাদ্দ যেখানে ৩.২শতাংশ, চিন ২.৩শতাংশ, আমেরিকায় ২.৮শতাংশ সেখানে আমাদের দেশে মাত্র ০.৭শতাংশ। এতে কি হবে সুধীর? এর পরেও মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী বলছেন, বাংলায় শিল্পের হাওয়া চলছে। এখানে কাজের অভাব হবে না। চাকরির জন্য যোগ্য না হলে চাকরি হবে কি করে?”
“কৌশিক বসু কি বলেছেন, শুনেছ?”প্রশ্ন সুধীরের।
“কি?”
“তিনি দ্যা গ্লোবাল ইকোনমি ডট কম থেকে তথ্য তুলে ধরেছেন। ভারতের বেকারত্ব যেখানে ২২.১শতাংশ সেখানে আমেরিকার ৭.৬৯ শতাংশ,অস্ট্রেলিয়ার ৮.২৯ শতাংশ, দক্ষিন কোরিয়ার ৬.৮৮ শতাংশ। এবার ভাবো। এখনই যদি এমন হয় তাহলে বাবুয়াদের যেদিন একচেটিয়া প্রভাব তৈরি হবে সেদিন কি হবে?এর পরেও কেন্দ্র জহির করে বলছে গত তিন দশকে বেকারত্বের হার সর্বনিম্ন। তুমি আরো অবাক হবে অনিকেতদা , যখন বিজ্ঞানের এতো দরকার তখন বিজ্ঞান কংগ্রেস বন্ধ, ইসরোর বিজ্ঞানীরা নিয়মিত বেতন পাচ্ছে না। ঘটা করে শুধু জয় বিজ্ঞান জয় অনুসন্ধান প্রচার চলছে।২০২০সালের ডেটা বলছে ভারতে প্রতি দশ লক্ষ মানুষের মধ্যে গবেষক মাত্র ২৬২জন যেখানে চিনে ২৭০৫জন।১৯৮০সালে ভারত আর দক্ষিন কোরিয়া এক জায়গায় ছিল।আজ দুজনের বরাদ্দে অনেক পার্থক্য। ভারতে বেশীর ভাগ সরকারি বরাদ্দ ৫৬শতাংশ, বেসরকারি মাত্র ৩৫শতাংশ, যেখানে তুমি দেখো ইসরাইলে ৮৮শতাংশ। আমরা দুর্নীতি ঢাকতে আইনজীবীদের টাকা বাড়াতে পারি একলাফে ১৪কোটি থেকে ৭৫কোটি তাও ২০১৪থেকে ২০২৩সাল অর্থাৎ এই পাঁচ বছরে। আসলে ফলাও করে চন্দ্রযানের প্রচার করে ভোটের ফায়দা তুলছে শাসক।তো আবার কখনও নির্বাচনী বন্ড ইস্যুতে রাজনৈতিক তহবিলে ঢুকে পড়ছে কোটি কোটি বেআইনি টাকা।সব জেনে শুনে এরা দেশটাকে পঙ্গু করে দিচ্ছে। কেউ ভাবতেই পারছে না কাল কি হবে?”
“কেন ভাই কেন্দ্র থেকে তো প্রস্তাবই দেওয়া হয়েছিল,রাজনৈতিক দলগুলোর ফান্ড নিয়ে প্রশ্ন করা যাবে না।”
“প্রফেসর অমর্ত্য সেন তো তাই এসব নির্বাচনী বন্ডকে স্ক্যান্ডাল বলেছেন।”
কিছু বললো না অনিকেত। রাজনীতি নিয়ে যত কম কথা বলা যায় ততোই ভালো। গণতন্ত্রের উপর লোকেদের আর ভরসা নেই। পিউ রিসার্চ তো বলছে, সাড়া ভারতে ৬৭শতাংশ মানুষ গনতন্ত্র চায়না, তারা স্বৈরতন্ত্র চায়। নেপালে কাঠমাণ্ডুর রাস্তায় মানুষ রাজতন্ত্র ফিরিয়ে আনার দাবীতে আন্দোলন করছে। গনতন্ত্রে লজ্জা! বাবুয়াদের দুনিয়াতে আমরা দূর্নীতিতে ৯৩। ক্যাগ রিপোর্টও খারাপ। সুস্থ পরিবেশ যে নেই তার বড়ো প্রমান ওয়াশিংটন গবেষণা।সামনের চায়ের দোকানে দুটো চা আর দুটো বেকারি বিস্কুট অর্ডার দিল অনিকেত। সুধীর তখনও কিসব ভাবছিল। চা এলো।প্রথম চুমুকে হালকা আমেজে অনিকেত বললো,”সমস্যাটা আসলে চাহিদার। কর্পোরেটে এর ফল আরও বিপদজনক।”
“ভালো কথা বললে অনিকেতদা।কর্পোরেট আরোও ফাস্ট কাজ করতে চাইবে যাতে বেটার সার্ভিস দেওয়া যায়। দশ জন মানুষ যা কাজ করবে একটা বাবুয়ার মত এআই তার থেকে অনেক ভালো কাজ করবে।কোম্পানির সব দিকেই প্রফিট।বেশি ম্যানপাওয়ার লাগছে না।কম ইনপুট বেশি আউটপুট। এমনিতে মানুষের সঙ্গে কাজ করলে তার হাজার দাবি,ইউনিয়ন।তাকে বুঝিয়ে কাজ করতে হয়।আর এখানে বস রিমোট হাতেই পুরো সিস্টেম অপারেট করতে পারবে।হাতির খাবারের মত অত ডিপার্টমেন্ট ক্যারি করতে হবে না।”
“তবে আমাদের সরকারি অফিসগুলোতে অত সহজে এর প্রয়োগ হবে না। কারন মানুষ বিষয়টির সঙ্গে এখনও অতটা পরিচিত হয়নি। মানুষ ভালো করে ফর্ম ফিলাপ করতে পারেনা। কতো লোক অফিসে আসে। হাতে পায়ে ধরে বুঝিয়ে দিলেও ভুল করে। বাবুয়া তো ওদের বোঝাতেই পারবে না।”কথার শেষ হালকা হাসলো অনিকেত।
“এটাই সমস্যা দাদা।তুমি ভাবছো তোমার এখানে হবে না,তুমি নিরাপদে আছো।কিন্তু চারদিকের তুলনায় তুমি কিন্তু পেছিয়ে পড়ছো। পরিষেবা দিতে পারবে না সময়মত। তখন ক্ষোভ বাড়বে।মানুষ কিন্তু সুবিধা চাইবে। সরকারি পরিষেবা ভালো নয় বলেই মানুষ প্রাইভেটে ঝুঁকছে,সেটা শিক্ষা হোক বা স্বাস্থ্য।তুমি বাবুয়াকে আনতে পারছো না সেটা তোমার ফল্ট। তোমাকেও কর্পোরেটের মত দক্ষতা বাড়াতে হবে। আফটার অল, কম্পিটিশন। একজনকে বিভিন্ন ফিল্ডে কাজ করার মানসিকতা ও দক্ষতা রাখতেই হবে দাদা। আয়া রাম গোয়া রাম হলে চলবে না।”চায়ের কাপটা ফেলে দিল সুধীর।
“দেখবি একদিন কেউ আসবে না। বাবুয়াই অফিস চালাবে।আমি দিন দিন খুব সেকেলের হয়ে যাচ্ছি। মানুষের বোধহয় পৃথিবীতে প্রয়োজন ফুরিয়ে এসেছে। যন্ত্রর গোলাম হয়েই বাকিটা সময় কাটাতে হবে।”হতাশ অনিকেত।
“ঠিক তা নয় অনিকেতদা।পৃথিবীটাকে মানুষ নিজের বাপের সম্পত্তি বলে মনে করে। করোনার পরে কর্পোরেটগুলো যেভাবে শিক্ষা নিলো, আমরা সেভাবে নিতে পারলাম না। আমাদেরও অভিযোজন দরকার। বিবর্তনে হাঁটতে হলে নিজের মধ্যেও বদল আনতে হবে।আমি বুদ্ধিমান এই ইগো ধরে থাকলে চলবে না।নাহলে ডাইনোসর হেরে যাবে আর লাল পিঁপড়ে বহাল তবিয়তে বেঁচে থাকবে।লড়াই করতে হবে। মন আর শরীর দুটোকেই খাটাতে হবে। দেখবে প্রমোশনের সঙ্গে সঙ্গে রক্তে ব্লাড সুগারও কন্ট্রোলে আছে।একটু ফেলুদার মগজাস্ত্রকে ব্যবহার করো অনিকেতদা।”
ফেলুদা নামটা শুনে খুশি হলো অনিকেত। ছোটবেলায় ফেলুদা সিরিজের প্রায় সব বই পড়া। মগজাস্ত্র কথাটা শুনে জয় বাবা ফেলুনাথের কথা মনে পড়ে গেলো। খারাপ লাগে, এখনকার ছেলেরা এসব খুব একটা পড়ে না। নিজের ছেলেই পড়ে না।বলতে গেলে বলে ,”টিভিতে দেখে নেবো।”
“পড়াশোনাটা খুব দরকার। লেখাপড়া না থাকলে ভাবনায় পুষ্টি দেবে কে?”বললো সুধীর।
“দেখ ভাই, বাবুয়া আমাদের তৈরি। আমরা নাচলে সে নাচবে। আমরা কেন তার দাস হবো। সমস্যা কি জানিস, আমরা নতুন কিছু দেখলে একটু ভয় পেয়ে যাই। মানসিক ভাবে প্রস্তুত থাকি না। সময় লাগবে।আসলে আমরা ছোটো জীবনে বাঁচি। বাইরের কাউকে নিয়ে সেভাবে ভাবিনা। বাইরের কেউ হটাৎ করে নিজের জীবনে ঢুকে পড়লে কমিউনিকেশনে সমস্যা হয়।আবার আস্তে আস্তে ঠিকও হয়ে যায়। খেয়াল করবি, করোনা যখন প্রথম আসছে, চিনে ছড়িয়ে পড়েছে আমরা দেখছি, ইতালিতে লাশ জমছে তখনও আমরা ভাবছি এখানে হবে না।আসলে আমরা গা বাঁচিয়ে চলতে ভালবাসি।কিন্তু দেখ,যখন এলো আমরা সবাই ঘরে ঢুকে পড়লাম। মেনেও নিলাম।হোমোসেক্সুয়ালিটি কি আমরা প্রথমে অ্যাকসেপ্ট করেছিলাম? বাবুয়াও একসময় ওয়েল অ্যাকসেপ্টড হয়ে যাবে।কিন্তু সেখাবে কে?শেখানোর লোকের বড্ড অভাব।”
“এটাই সহজ সত্য। মানুষই বাবুয়াকে এনেছে। মানুষের ব্রেইনে বাবুয়ার জন্ম। কিন্তু কি যেনো, বিজ্ঞানকে আরও ব্যাবহারিক করতে হবে। বেকন বলেছিলেন না শিক্ষাকে আদর্শ করে তুলতে হলে অভিজ্ঞতা লাগে। বিশ্বায়নের যুগে আরোও কতো কি আসবে তার জন্য রেডি থাকতে হবে। রাশিয়ার পুতিন বলছে তারা ক্যান্সারের সলিউশন বার করে ফেলেছে।কোনো কিছুই একদিক থেকে বিচার করা ঠিক নয়। বাবুয়া হয়তো কিছু মানুষের কাজ খাবে কিন্তু বাবুয়াকে নিয়ে অনেক এক্সপার্ট,অনেক ইন্ডাস্ট্রি, নিত্য নতুন কোর্স তৈরি হবে। শুধু ডিকেন্সের হার্ড টাইমস পড়লে হবে না অনিকেতদা। সিঙ্গুরে সেদিন শিল্প হলে আজ কতো অনুসারী শিল্প হতো বলতো। কলকাতা ,হাওড়া হুগলির ছবিটাই বদলে যেত।ছেলেগুলোকে রাজপথে দিনের পর দিন চাকরির জন্য বসে থাকতে হতো না। সেদিনের বুদ্ধিজীবীরাও রাজনীতির শিকার হয়ে মানুষকে ভালো করে বোঝাতে পারলো না। রাজনীতিকে শিল্প থেকে আলাদা করা গেলো না। এটাই আমাদের রাজ্যের দুর্ভাগ্য। বাবুয়ার ক্ষেত্রে যেন এমনটা না হয়। নিজেদের উপর ভরসা রাখতে হবে।”
“আবিলিটি থাকলে সব হবে।”গলায় জোর এলো অনিকেতের।
“আমি সব সময় নিজেকে প্রশ্ন করি জানো। বাঁচার ইচ্ছে থাকা চাই। স্বপ্ন দেখতে হবে।যদি তুমি ব্যাপারটা বুঝতে পারো দেখবে মনখারাপের কিছু নেই। যারা বোঝে না তারাই হতাশায় ভোগে। চ্যালেঞ্জ তো নিতেই হবে বলো।একদিন দেখবে আমি আর বাবুয়া পাশপাশি বসে কাজ করছি,এই এখন যেমন তোমার সঙ্গে বসে করি। হুমায়ূন আজাদের একটা কথা খুব বিশ্বাস করি,”জীবন আটকে থাকার জিনিস নয়, জীবন হচ্ছে নদীর মত প্রবাহমান। সে তো ছুটতেই থাকবে।”অনিকেত তাকিয়ে রইলো সুধীরের দিকে। খুব গুছিয়ে কথা বলে সুধীর। গল্প করলে অনেক কঠিন জিনিসও সহজ হয়ে যায়। সুধীরের পিঠ চাপড়ে দিল,”সাবাস!আমি ইন্দ্রনাথ হলে তুই আমার শ্রীকান্ত। তোরাই পারবি বাবুয়ার বন্ধু হতে।”

বাবুয়ার বন্ধু সায়েন্স ফিকশন গল্প – সমাপ্ত

আপনাদের লেখা আমাদের ওয়েব সাইটে জমা দিতে গেলে, অনুগ্রহ করে আমাদের লেখা-জমা-দিন মেনু-তে ক্লিক করুন ও নিজেকে Author হিসেবে Register করুন এবং আমাদের পরবর্তী আপডেট পেতে আমাদের ফেসবুক পেজ অনুসরণ করুন।

error: Content is protected !!