১৪ই ফেব্রুয়ারি
এক ১৪ই ফেব্রুয়ারিতে ফোনে সে জানিয়েছিল-
গত ১৪ই ফেব্রুয়ারিতে ও আমি ছিলাম তার মনে।
কিন্তু বলতে পারেনি;
কারণ প্রথম দেখার পরেই আমি হারিয়ে গেছিলাম।
শুধু মনে ছিল আমার মুখ-স্মৃতিটুকু।
আর বলেছিল- “সারাজীবন যেন ভালোবেসে যেতে পারি। হারাতে চাইনা কক্ষনো, খুব ভালোবাসি।”
পরের ১৪ই ফেব্রুয়ারিতে সে তৈরি করল তার সুঠাম পৌরুষত্বময় শরীর আর অনেক ভালোবাসা দিয়ে এক অনুভবময় স্হাপত্য, আমার মধ্যে।
এই পৃথিবীতে যার দেখভাল এবং উপভোগ করার অধিকার শুধুমাত্র তার।
সে প্রতিষ্ঠিত করল আমার নারীত্বকে,
আর আমি আবিষ্কার করলাম তার জ্বলন্ত কাঠের মতো পৌরুষত্বের মধ্যে এক প্রস্ফুটিত বাগান,
ভালোবাসায় মগ্ন এক শিশু!
পরের ১৪ই ফেব্রুয়ারিতে সে উপহারে দিল আমায়
এক রোমাঞ্চকর হৃৎস্পন্দন;
আমি দিলাম বুক ভর্তি আদর,
এক পরিণত পিতৃস্বত্বা।
এইভাবে প্রত্যেক ১৪ই ফেব্রুয়ারি ছিল আমাদের এক একটি সুখের অ্যালবাম।
শুধুমাত্র সেই ১৪ই ফেব্রুয়ারি বাদ দিয়ে!
সেদিন…
সেদিন সন্ধ্যাবেলা ডায়ানিং এ বসে সে,
হাতে ধরা সিগারেটটা তার চিন্তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে পুড়ছে নীরব এক যন্ত্রণায়।
ছড়িয়ে থাকা কতকগুলো ফোন নাম্বার, তার নিজের লেখা কিছু খবর, কিছু তথ্য, আমার উপহার করা ২৫টি লাল গোলাপ টেবিলের উপর।
কারণ ওটা ছিল আমাদের ২৫তম ১৪ই ফেব্রুয়ারি।
সেই সময়…
ঠিক সেই সময় হঠাৎ সদর দরজায় সজোরে ধাক্কা দিয়ে ঢুকলো সশস্ত্র কয়েকজন,
রিভলভারটা মাথায় ঠেকিয়ে টানতে টানতে নিয়ে গেল তাকে,
আমার চোখের সামনে
লাল গোলাপ গুলোকে মাড়িয়ে দিয়ে…
গভীর রাতে এলো এক পার্সেল।
তাতে একটি সাদা থান!
আজ ও সেই ১৪ই ফেব্রুয়ারি!
আজ ১৪ই ফেব্রুয়ারিতে আমি একলা বসে তার লেখার ঘরে।
গীটারটাকে বুকে জড়িয়ে তার গায়ের গন্ধ পাই…
স্ট্রিংগুলোকে আলতো করে ছুঁয়ে সুরের মধ্যে তার হাত ধরি।
তার অগোছালো কাগজগুলোর উপরে ২৬তম ১৪ই ফেব্রুয়ারি- এর জন্য
একাকিত্বের ফুলদানিতে রাখা স্মৃতিবৃন্তের ২৬টি লাল গোলাপ।
১৪ই ফেব্রুয়ারি কবিতা- সমাপ্তি
যে কেউ তাদের লেখা জমা দিতে চান। অনুগ্রহ করে আমাদের লেখা জমা দিন পৃষ্ঠায় জমা দিন এবং যারা লেখা জমা দিচ্ছেন। পরবর্তী আপডেট পেতে আমাদের ফেসবুক পেজে অনুসরণ করুন।
অন্যান্য
বৃষ্টি-উৎসব | পার্থ চট্টোপাধ্যায়
বর্ষা | প্রশান্ত কুমার বাছাড়
বাদল বেলায় | সুরঞ্জন মাইতি