বৃষ্টি-উৎসব
একবিংশ শতকের পরকীয়া প্রেম আয়োজন
আমাকে ভাসিয়ে নিয়ে চলে যায় সেই তপোবন
যেখানে কণ্বমুনি শকুন্তলালিত এক মেয়ে
দুষ্মন্তের দেখা পায় ফুলতোলা ভরে গান গেয়ে
তারপরে পরিচয় আলাপিত হয় দুইজনে
গর্ভে ভরত আসে অতি সামাজিক সঙ্গোপনে
হারানো আংটি আছে প্রতি বিরহীর মনোমাঝে
স্মৃতি হয়ে জ্বালাতন যত করে ততো বুকে বাজে
যা বাজে, বাজনা নয় যক্ষ মেঘ উজ্জয়িনী ছুঁয়ে
সেইমেঘ ছুতে চায় যশোধারা নামে মেয়ে
সেদিন কোথায় বুদ্ধ সুজাতার পায়েস কোমল
বোধিবৃক্ষে মিশে যায় দুই প্রেমিকার আঁখিজল
যেদিন জানকীপিতা বর্ষা ছুঁয়ে সীতা পেয়েছিল
যেদিন দ্রুপদরাজ যজ্ঞভূমে যোগ্য মেয়ে পেল
মনে পড়ে সেই সব পরকীয়া পরাশ্রিত দিন
ব্যাস ও বাল্মিকী ছিল কবি ছিল মানস রঙিন
বেহুলা মান্দাস ভাসে যমমুখী গাঙ্গুরের জলে
লোহার বাসরঘর ছিদ্র হয় ধর্মীয় ছলে
সেদিনও বৃষ্টি ছিল,বেহুলার চোখে ছিল জল
চাঁদ বণিকের ক্রোধ ভেঙে দেয় মনসা অঞ্চল
একদা চৈতন্যদেব বিষ্ণুপ্রিয়া লক্ষীপ্রিয়া ছেড়ে
আমজনতার মন টুসকিতে নিয়ে নেয় কেড়ে
সেদিনও বৃষ্টি ছিল,নাম দিতে পারো আন্দোলন
এমন বল্লম-বর্ষা কবে কার মজিয়েছে মন
এইতো সেদিন কৃষ্ণ দোলনাতে চুপ প্রতীক্ষায় রাধা আসে রাধা যায় অভিমানে আশ্চর্য দ্বিধায়
গোপীনীরা গান ধরে, আবির বর্ষণে কলরব
সেই দিন শুরু হল চোরকাঁটা হৃদয়ে উৎসব
অন্যান্য
১৪ই ফেব্রুয়ারি
বর্ষা | প্রশান্ত কুমার বাছাড়
বাদল বেলায় | সুরঞ্জন মাইতি