স্বপ্ন পূরণ সায়েন্স ফিকশন গল্প – সৌম্য চট্টোপাধ্যায়
রোজকার মতো আজও মৃত্তিকা একইভাবে সাড়ে পাঁচটায় ঘুম থেকে উঠে ফিজিক্সের নোটসগুলো রীতিমতো বেশ কয়েকবার ঝালানোর পরেও ভুলে যাওয়ার আশঙ্কা করতে করতে অচিন্ত্য স্যারের কোচিংয়ে যাওয়ার জন্য তৈরী হতে লাগলো। অধিকাংশ দিনের মতো মা দুধের গ্লাস আর গোটা চারেক বিস্কুট দিতেই সে বলে উঠলো আমার সময় নেই! অনেক দেরি হয়ে গেছে। রোজ দুধ দেবে না বলেছি। কথা শেষ হওয়ার আগেই মা ও যথারীতি স্বমহিমায় রনংদেহী মূর্তিতে এসে বললো না খেয়ে নরবিনা এখান থেকে, আগে পুরোটা খা। আর মিঠি ( মানে মৃত্তিকার ডাক নাম) বিরক্তি স্বরে বলতে থাকে আমি এসব খেলে মরে যাব , আমার বড্ড গন্ধ লাগে ইত্যাদি নানান স্বগতোক্তি । অবশেষে কোনক্রমে অপছন্দের দুধটা শেষ করেই বেরিয়ে পড়ে কোচিং ক্লাসের উদ্দেশ্যে । প্রায় ঘন্টা দুয়েকের কোচিং পর্ব সেরে আবার বাড়ির পথে রওনা হয় মিঠি। আসার পথে মনের ভেতরে চলতে থাকে আলো-আঁধারির নানান বর্ণময় খেলা। ব্যাগের ভেতরে রাখা ছোট্ট মানি পার্সটা খুলতেই চোখে পড়ল একটা চকচকে ১০০ টাকার নোট । হঠাৎই তার স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিমায় মনে হলো এটা যদি ১ কোটি টাকা হয় তাহলে সবার আগে সে কিনে ফেলবে একটা প্রাইভেট জেট প্লেন , যাতে চড়ে উড়ে বেড়াবে যত্রতত্র। যেমন ইচ্ছা হলে চুল কাটাতে মালয়েশিয়া বা হয়তো বিকেলে ফুচকা খেতে সুইডেন । মাঝে মাঝে সান্ধ্য ভ্রমণে সপরিবারে যাবে টেমস ব্রীজ । না হয় কৃস্পি অক্টোপাসের তাগিদে বেজিং এর কোন অচেনা রেস্তোরাতে পৌঁছে যাবে। আচ্ছা আরেকটু ছোট করে ভাবলে নিদেন পক্ষে একটা মার্সিডিস তো থাকবেই না হলে স্ট্যাটাসের দফা রফা হয়ে যাবে যে। তার চোখে ওই মার্সিডিজ, ল্যাম্বারগিনি, ল্যান্ড রোভার ছাড়া বাকি চারটি চাকাযুক্ত যান্ত্রিক বস্তু গুলি গাড়ির জগতে নেহাতি পাড়ার স্পোর্টসে পাওয়া সান্তনা পুরস্কার এর পেন বা লজেন্স এর মতো। এসব অলীক চমপ্রদ স্বপ্নের আকাশে হঠাৎই অনাকাঙ্ক্ষিত মেঘের ছায়া রূপে মনে পড়লো স্কুলের ফিজিক্স স্যারের প্রতিচ্ছবি। এরপরই এক বিকট হর্ন, টোটোটা এসে দাঁড়িয়েছে বাড়ির দরজায় । সাপ লুডোয় সাপের মুখে পড়ার মতো জেট প্লেন থেকে একেবারে মদনের টোটো । সম্বিত ফিরতেই টোটো থেকে নেমে ভাড়া দিয়ে ঘরে চলে গেল মিঠি। মস্তিষ্কের যে কটা খোলা জানালা দিয়ে এক মনোরম কাল্পনিক সূর্যকিরণের আবির্ভাব ঘটছিল তা নিমেষেই ঢেকে গেল কয়েকটা উজ্জ্বল ভবিষ্যতের লক্ষ্যে শুভ চিন্তকদের দ্বারা গড়ে তোলা মাইল ফলকের দ্বারা । দিনের ২৪ ঘন্টার মধ্যে প্রায় ১৮ ঘন্টা সময় যেন কোনো প্রাইভেট ব্যাংকে নেওয়া মর্ডগেজ লোন এর মত গচ্ছিত রেখেছে বিধিবদ্ধ পড়াশোনা ,কেরিয়ারিস্টিক কোচিং, গান আঁকা এরকমই নানান মহান কর্মযজ্ঞে । গভীর রাতে ঘড়ির কাঁটা দুটো প্রায় সমান্তরালে যাওয়ার পর সদ্য আদালত থেকে মুক্তিপণে জামিন পাওয়া কয়েদির মতো ঘন্টা পাঁচেক সময় পায় নিজের জন্য, মানে যাকে বলা যায় সজ্জা কাল। আর তার মধ্যেই মাঝে মাঝে মন হয়ে যায় জেহাদি। হঠাৎ মনে হয় যদি কোন একটা এমন যন্ত্র সে আবিষ্কার করতে পারে যার মাধ্যমে নিমেষে প্রসমিত করতে পারে এই অপরিমিত লক্ষ্য পূরণের পাহাড় প্রমাণ চাপ কে। যদি সেই যন্ত্র বলে কেটে যায় মনের সকল সংশয়। অতিরিক্ত। অতিরিক্ত টেনশনে পরীক্ষার হলে পাওয়া কমন প্রশ্নের উত্তর গুলো যখন সে মনে করতে অপারগ হয়, ঠিক সেই সময় এই যন্ত্র বলে যেন সেই জটিলতার সমাধান হয় ।পুরো বিষয়টা হয়ে যায় জলবৎ তারলং। তথাকথিত শিশু মনে ভবিষ্যৎ গড়ার দৌড়ে পিছিয়ে পড়ার চিন্তাকে দূরে সরিয়ে যেন স্থান পায় তার বিদেশ ভ্রমণের স্বপ্ন। হাতের মুঠোয় পেয়ে যায় মনের অগোচরে লুকিয়ে থাকা সকল ইচ্ছা পূরণের চাবিকাঠি। এসব চিন্তার মধ্যেই তার কানে আসলো কোন এক মধুর স্বপ্নাদেশ ….একটি অতি পরিচিত নারী কন্ঠ তাকে নাম ধরে ডেকে হাতে দিল একটা নকশা করা কাঠের বাক্স। দেখে মনে হয় কোন পেন স্টান্ডস্টান্ডই হবে । হাতে দিয়ে বলল এই যন্ত্রটা সঙ্গে রেখো যখনই অকারণ টেনশন মস্তিষ্কে অতিরিক্ত চাপ দেবে তখন এই যন্ত্রের ঢাকনা খুলে বলবে ” স্বপ্ন পূরণ ” দেখবে নিমেষে বদলে যাবে সামগ্রিক চিত্র। মিঠি সবে একটা প্রশ্ন করতে যাবে তার আগেই থেমে গেল সেই মহিলা কণ্ঠস্বর, আর কেমন যেন শর্ট টাইম মেমরি লস এর মত পুরো ব্যাপারটাই চলে গেল স্মৃতির অগোচরে। পাঁচটা ত্রিশে এলার্ম বাঁজতেই ধরমরিয়ে উঠে পড়ল মিঠি। আজ আবার ম্যাথ এর কোচিং, ভেবেই যেন আতঙ্কিত লাগে। তাড়াতাড়িাতাড়ি চোখে মুখে জল দিয়ে খাতা বই নিয়ে বসে পড়ল বিছানাতেই। খাতাটা খুলতেই কেমন সব শক্ত শক্ত প্রবলেম গুলো তেড়ে আসছে। এর মধ্যেই মিঠি দেখলো বালিশের পাশে রাখা একটি কাঠের বাক্স ওটা কি? ভাবতে ভাবতেই ঢাকনাটা খুলে ফেলল। আর কোন এক অজানা শক্তি যেন তার কণ্ঠকে বশীভূত করে বলে উঠলো স্বপ্ন পূরণ। কয়েক মিনিটের মধ্যেই দোতলার ব্যালকনিতে এসে দাঁড়ালো একটা অদ্ভুত জান দেখে মনে হচ্ছে নেহাতই কোন অত্যাধুনিক উড়োজাহাজ । মিঠি ধীরে ধীরে ঢুকে গেল সেই জানের ভেতর । চোখের নিমেষে হল দৃশ্য বদল, নানান আকৃতির পেঁজা তুলোর মতো সাদা মেঘেদের ভিড় এড়িয়ে সে পৌঁছে গেল একটা মনোরম দ্বীপে। যার চারিধার জলমগ্ন ,মাঝে একটা ঘন সবুজে মোড়া ছোট্ট দ্বীপ। ঘুরে ঘুরে চারিধার দেখছিল সে হঠাৎ চমকে উঠল মিঠি একটা পরিচিত কণ্ঠস্বর শুনে কে ওটা? দিয়ার গলা না! হ্যাঁ তাইতো অদূরে একটা পার্কে গাছের নিচে বসে আছে ওরই কয়েকজন সহপাঠী । সবাইকে এক জায়গায় পেয়ে তারা মনের আনন্দে জুড়ে দেয় নানান মনোরম কাল্পনিক গল্প , যা স্বভাবতই একটি সদ্যোজাত কুঁড়ির ন্যয় বিকশিত শিশু মনের কাছে কাঙ্খিত। এর মাঝেই একজন এনে দিলেন চিকেন ইন্টারনেট, ডবল চকলেট কোন আর কিছু স্ন্যাকস। সকাল বেলা অতি কষ্টে দুটো চারটে বিস্কুট উদরজাত করা বাচ্চাগুলো মিনিট দশকের মধ্যে সাবার করে দিল সব কটা খাবার। আবার মেতে উঠলো আনন্দে। হঠাৎ সামনে এসে দাঁড়ালো কয়েকটা ড্রিম স্পোর্টস কার, আর তাতে চড়ে ওরা চলে গেল লং ড্রাইভে। বেশ কিছুক্ষন পর ফিরে এলো তারা। এবার মিঠি বলে উঠলো অনেক আড্ডা দিলাম, খুব আনন্দ লাগছে এবার বাড়ি যাই। মুখের কথা শেষ হওয়ার আগেই সামনে এসে দাঁড়ালো সেই যন্ত্র যাতে চড়ে তারা চলে গেল বাড়ি। সোজা এসে বসে পড়ল বই খাতা ছড়ানো খাটের উপরে। অঙ্কের খাতাটা খুলতেই কেমন যেন সারিবদ্ধ প্রশ্নগুলো অতি পরিচিত বলে মনে হল। অনধিক আধ ঘন্টার মধ্যেই মিঠি ঝালিয়ে নিল সাড়ে সাতটার পড়ার ব্যাচের প্রয়োজনীয় সম্ভাব্য অঙ্ক গুলো। ঘড়ির কাঁটার দিকে তাকিয়ে অবাক হয়ে গেল মিঠি। মাত্র ছটা কুড়ি এইটুকু সময়ের মধ্যে কিভাবে এত জায়গা ঘুরে এত আড্ডা দিয়ে খাওয়া-দাওয়া করে আবার ফিরে এলো! যাইহোক এই ঘটনাটা বাস্তব চোখে রূপকথার গল্পের চেয়ে নেহাতই কোন অংশে কম নয়। তাই এই বিষয়টা নিয়ে কারো সাথে আর কিছু আলোচনা করলো না মিঠি। চট করে ওঠে তৈরি হয়ে নিতেই কেমন যেন খিদে খিদে পাচ্ছে তার । তবে যে এই এত কিছু খেলাম সেগুলো গেল কোথায়? যাক অত ভেবে কাজ নেই । আজ মিঠি নিজেই মাকে গিয়ে বলল দুধটা দাও আর বিস্কুট দুটো বেশি দিও। এই ঘটনা দেখে মা ও হতবাক। মা বলল কি হল তোর আজ হঠাৎ দুধ চেয়ে খাচ্ছিস, আবার এক্সট্রা বিস্কুট! মিঠির উত্তর ধরে নাও স্বপ্ন পূরণ হয়েছে । মায়ের । মায়ের দ্বিতীয় প্রশ্নের আগেই মিঠির যুক্তি দুধ খেলে বুদ্ধির বিকাশ হয়, শরীরের শক্তি বাড়ে ।জানো না আমাকে এখন সারাদিন কত পরিশ্রম করতে হবে । মা একটু অবাকই হলেন, যাই হোক মেয়ের সুমতি হয়েছে দেখে কোন মতে প্রশমিত করে নিলেন নিজের প্রশ্ন বানগুলো। মিঠি আজ অনেকটা আগেই পৌঁছে গেল স্যারের ব্যাচে, গিয়ে দেখে বাকিরা ও একে একে এসে যাচ্ছে আগে আগেই। সবার মধ্যে যেন এক অন্য উদ্যম। ভয়ে। ভয়ে ভয়ে স্যারের মুখের দিকে তাকিয়ে থাকা ছেলেমেয়েগুলো কেমন যেন প্রাণোচ্ছল হয়ে উঠেছে। পুরো ব্যাপারটায় যেন নতুন করে প্রাণের সঞ্চার ঘটেছে। মিঠির বুঝতে বিশেষ সময় লাগলো না যে এই পুরো পরিবর্তনটাই স্বপ্ন পূরণ নামক যন্ত্রের কামাল। পড়া শেষ করে সহপাঠীদের সাথে কথা বলতে বলতে কখন যেন বাড়ি পৌঁছে গেল মিঠি। কোচিং ক্লাস থেকে বাড়ি ফেরার এই মিনিট পনেরোর পথটা যেন আজ চোখের নিমেষে অতিক্রান্ত হলো ।অন্য দিনের মতো বিরক্তি আর মানসিক চাপের মতো তীক্ষ্ণ শূল গুলো আজ যেন হঠাৎই পথ ভোলা পথিকের মতো চলে গেছে অন্যত্রে। যাহোক এবার স্কুল যেতে হবে, তাই সে তৈরি হয়ে এসে বসলো খাওয়ার টেবিলে। খাবার খাওয়ার থেকে খাবার বাছাই করার কাজটা তার কাছে অনেক বেশি কঠিন । এর থেকে অনেক সহজ বোধ হয় খড়ের গাদায় ছুঁচ খোঁজা। শাক – সবজি, মাছ- মাংস কোনটাই তার বিশেষ পছন্দের তালিকায় পরে না। দু একটা সৌভাগ্যবান খাদ্যবস্তু কোন কোন সময় তার স্নেহাশীষ পায়। আর বাকিরা সর্বদাই বিরাগভাজন। যাইহোক আজ যেন আচমকাই হলো নাটকের পট পরিবর্তন । হার্ডডিস্ক ফর্মেটিং এর মত তার অপছন্দের তালিকা টাও কেমন যেন ডিলিট হয়ে গেছে। টেবিলে রাখা পাঁচমিশালী সবজির বাটিটা থেকে হঠাৎ এক চামচ তরকারি তুলে মুখে দিয়েই মিঠি বলে উঠলো মা মিক্স ভেজ টা তো আজ দারুন হয়েছে ।আমাকে দাও নি কেন ? মা কিঞ্চিত অবাক হয়েই বলল তুই খাবি ওই তরকারি ! মিঠির উত্তর খাব না কেন? জানো সবুজ সবজি শরীরের জন্য কতটা উপকারী ! হাতে উদ্বৃত্ত সময় কম থাকায় মনে একাধিক প্রশ্ন থাকা সত্ত্বেও মা আর কথা বাড়ালেন না । মিঠি ও খাওয়া সেরে রওনা হল স্কুলের পথে। স্কুলের সেই রংচটা পুরনো দেওয়াল ,অজস্র পেনের আঁকিবুকি কাটা পেরেক আঁটা বেঞ্চ গুলো ক্রমশই যুক্ত হচ্ছে তার ভালোবাসার তালিকায়। টিফিন টাইমে কয়েকজন বন্ধুদের সাথে কথা প্রসঙ্গে উঠল সেই স্বপ্নপূরণ যন্ত্রের কথা। তারা উপলব্ধি করলো এই যন্ত্রের মাধ্যমে ওর মত পৃথিবীর সব ছাত্র-ছাত্রীরাই , যারা সমাজের উন্নয়নের মেরুদন্ড তারা ভবিষ্যতের সকল লক্ষ্য পূরণের প্রচেষ্টাকে বজায় রেখে বাস্তবায়িত করতে পারবে নিজেদের কাঙ্খিত স্বপ্নগুলো। এবার মিঠি মনস্থির করলো সমাজের প্রত্যেক ছাত্র-ছাত্রী যারা তার মত লক্ষ্য পূরণের বোঝার নিচে ক্রমশই চাপা পড়ে যাচ্ছিল তাদের কাছে পৌঁছে দেবে ওই স্বপ্নপূরণ যন্ত্র। যাতে সকলের মুখে ফুটে ওঠে হাসি। । আর তার দৃঢ় বিশ্বাস এতে সকলে বিদ্যাকে কেবল বহন না করে বাহন করতে পারবে। ধীরে ধীরে মিঠি আর তার সঙ্গী সাথীরা এই যন্ত্র পৌঁছে দেয় পৃথিবীর প্রতিটি প্রান্তে যেখানে যখন দরকার। এভাবে ক্রমশই বদলে যাচ্ছে সমাজের চিত্র। ছাত্র-ছাত্রীদের মনে এক অফুরাণ উৎফুল্লতা দেখা যাচ্ছে। নির্বিঘ্নে বিকশিত হচ্ছে সকল শিশু মন । এতে অদূর ভবিষ্যতে সমাজ পাবে অগণিত উন্নয়নের কান্ডারী । এই আবিষ্কার নিয়ে নানান দেশে নানান মহলে বারংবার উদ্রেক হয়েছে অসংখ্য প্রশ্ন। কিন্তু। কিন্তু কে এই যন্ত্র প্রথম হাতে পায় আর কিভাবে তা সর্বত্র ছড়িয়ে দেয় সে তথ্য আর জনসমক্ষে প্রকাশিত হয়নি। এ তথ্য কেবল লিপিবদ্ধ রইলো কালো ডাইরির লালচে হয়ে যাওয়া গুটিকয়েক পৃষ্ঠার মনিকোঠায়।।
স্বপ্ন পূরণ সায়েন্স ফিকশন গল্প – সমাপ্ত
আপনাদের লেখা আমাদের ওয়েব সাইটে জমা দিতে গেলে, অনুগ্রহ করে আমাদের লেখা-জমা-দিন মেনু-তে ক্লিক করুন ও নিজেকে Author হিসেবে Register করুন এবং আমাদের পরবর্তী আপডেট পেতে আমাদের ফেসবুক পেজ অনুসরণ করুন।
অন্যান্য
স্বপ্নভঙ্গ
কাণ্ডটা কায়রোর কাছে
বেজি এখন অনেক তেজি