মায়ের কোলে ভৌতিক গল্প -ভাস্কর সিনহা
প্রলয় কি একেই বলে? বিধ্বংসী ঘূর্ণিঝড়ে, তুমুল বারিপাতে আর প্লাবনে প্রকৃতি আর জনজীবন বিপর্যস্ত। পৃথিবীজুড়েই এই সব ঘনঘটা প্রায়শই ঘটছে এবং অনি পড়েছে মহাসংকটে। সে বসে আছে আপাতশান্ত প্রশান্ত মহাসাগরপারে এক মহাদেশে। কিন্তু বহুদূরে তার জন্মস্থানে চলছে বিচিত্র এবং জটিল লয়কারী এক প্রলয়নাচন।
অনি কিছুতেই মাকে দূরভাষে ধরতে পারছে না। অনেক চেষ্টা করছিল হোয়াটস অ্য়াপে সড়গড় করাতে। কিন্তু সুরমা দূরভাষের অভূতপূর্ব বিবর্তনে তাড়াতাড়ি অভ্য়স্ত হয়ে উঠতে পারেনি। আশু গত পরশু মেসেজ পাঠিয়ে ছিল যে মায়ের শরীরটা খুবই খারাপ যাচ্ছে। তারপর থেকেই দূরভাষের সংযোগে বিষম গন্ডগোল। মাঝে কিয়ৎক্ষণের জন্য় আশুকে পেতে কোনক্রমে জেনেছিল যে আবহাওয়ার বিধ্বংসী বিপর্যয়ে আশুদের এলাকায় দূরসঞ্চার ক্ষীণ থেকে ক্ষীণতর হয়ে চলেছে।
অনি আর অন্য় সাধারন ছেলের মধ্য়ে তেমন কিছু পার্থক্য় কোন কালেই ছিল না। ডাল-ভাত খেয়ে আর ডাংগুলি খেলে ধীরে ধীরে সবার মতই বড় হচ্ছিল। স্কুল মাস্টার নীতিপরায়ন বাবা নীতি, আদর্শ আর মধ্য়বিত্তির বেশ কিছু মূল্য়বোধ গুলে খায়িয়ে দিয়ে ছিলেন। ছোট মফস্বল শহরে যতদিন ছিল, সেই মূল্য়বোধগুলি নিবিষ্ট রূপে ঘনীভূত ছিল। কিন্তু উচ্চশিক্ষার জন্য় মহানগরে এসে এবং অতঃপর কর্মজীবনে প্রবেশ করে নীতিবাগীশতায় প্রচুর লঘু উদ্য়োগের সমাহার ঘটেছে। তারপর বিদেশে পাড়ি দেওয়া। হুট করেই এসে যায় সুযোগটা। অনি জানত যে ঘরে বেশী বলার সুযোগ নেই। ছোটবেলা থেকেই ভীষণ পিছুটানে তার অন্তরাত্মা কেমন যেন হাঁসফাঁস করত। এই সুযোগটাকে তার এক কর্দমাক্ত আধাঁরি নর্দমায় এক ক্ষীণ সূর্যরশ্মির ন্য়ায় বেশ মোলায়েম মনে হয়েছিল। মফস্বল বা পাশের সদর শহরটাই যে শুধু তার দেশ নয়, সমগ্র বিশ্বটাই যে তার নিজের। আর তার বিশ্বসুধার স্বাদিষ্ট আয়োজনে সে কি সাড়া না দিয়ে পারে? উড়োজাহাজের টিকিট আর ভিসা পেতেই খুব সাবধানে তার ভ্রমনের সাধারন সংক্ষিপ্তসার জানিয়েছিল। যেন পুরো দোষটাই তার অফিসের। বেমক্কা তার ঘাড়েই ভ্রমণের বোঝাটা চাপিয়ে দিয়েছে। সে যে কিছুদিনের মধ্য়েই ফিরে আসবে তা দ্বিধাহীনভাবে জানিয়ে দিয়েছিল। তার ভয় ছিল যে বেশী খবরে যেন কালীতলায় মানত না চড়ে? দেব-দেবীদের অসাধ্য় তো কিছু নেই? ভাল না হোক, খারাপ নাস্তি। তা সেই অল্পকিছুদিন এখন দশক ছাড়িয়েছে। প্রথমদিকের বাৎসরিক ভ্রমণটা এখন কালেভদ্রে ঠেকেছে।
মাস্টার বিগত হতেই সুরমাকে শুধু অতীতে পেয়ে বসেছে। তার জীবন পরিধিতে মাস্টার আর অনি ভিন্ন তো আর কেউ ছিল না। জীবনের বিস্তার ছিল খিড়কি থেকে বারদুয়ার। বিগতযৌবনার এক পুত্র ঘর ছাড়তে, আর এক ধেড়ে বুড়ো খোকার ফাইফরমাস এবং দেখভালে তার জীবনের সিংহভাগ অতিক্রান্ত। জীবনসায়াহ্নে সে শুধুই অতীতাক্রান্ত। নতুনের রঙ, রূপ, বা রসে আর তার কোনো আগ্রহই নেই।
অনি এক এক করে সিঁড়ির ধাপগুলো পেরোচ্ছিল। পিছটান কিছু বা ছিল তার- মা আর মাটি। এটা অবশ্য় দিদির জিগির নয়। অন্তরাত্মার আহ্বান। মায়ের বয়সজনিত অস্বাস্থ্যে তার মানসিক অশান্তি ক্রমশ বাড়ছিল।
অকস্মাৎই অনি ঠিক করে ফেলে মায়ের কাছে যাবার। অফিসের ছুটি পেতে সমস্য়া ছিল না। মায়ের অসুস্থতার খবর তো জানানোই ছিল।
উড়োজাহাজ, ট্রেনের পর এবার বাস ধরার পালা। অনি বেশী কিছু না ভেবেই একটা ট্য়াক্সি নিয়ে নেয়। তার দুশ্চিন্তা ক্রমশ টালমাটাল হয়ে উঠছে। তিন দিন যাবৎ মায়ের সঙ্গে কোনো কথা বলে উঠতে পারেনি। ট্য়াক্সির ভাড়া মিটিয়েই দুদ্দার করে সদর দরজার দিকে এগোয় সে।
চারিদিক নিকষ অন্ধকারে আচ্ছন্ন, যেন কালিকার সুদীর্ঘ ফেনিল কৃষ্ণ কেশভারে জগৎ পারাবার এক কাল গ্রহণের সম্মুখীন। বিকট ঝড়- ঝঞ্ঝায় বিশ্ব চরাচর বিধ্বস্ত। বৃক্ষরাজি, বিদ্য়ুতবাহকের পোস্ট, দূরভাষের পোস্ট, ইত্য়াদিসকল বিপর্যস্ত, ভূলুন্ঠিত। নটরাজের বিনাশ নৃত্য়ে প্রলয়ের সকল প্রতীক স্পষ্টতই প্রতীয়মান। বিশ্বউষ্ণায়ণের বাস্তবতা ভীষণ নগ্নরূপে প্রকট। অনি কোনক্রমে ঘরে ঢোকার পথসন্ধান করে। ভাঙ্গা ডালপালা সরাতে তাকে বেশ কসরত করতে হয়। তবে হাল ছাড়ার ছেলে সে নয়। হাত,পা বেশ রক্তাত হয়। ঠেলাঠেলিতে কাঁধেও তার বেশ আঘাত লাগে। তার পরিধেয় বস্ত্রও ছাড় পায় না। প্রতিকুল অবস্থায় সঙ্গে কঠিন লড়ায়ের কাটাকুটির চিহ্ন বহন করে এগিয়ে চলে সে।
হাত পড়তেই সদর দরজা খুলে যায়। ঘুটঘুটে অন্ধকার ভেতরে। “মা, ও মা ,” চেঁচায় অনি। অন্ধকারে চোখ সইয়ে সে এগোতে থাকে ভিতর ঘরের দিকে। আলো জ্বালানোর প্রচেষ্টায় কোন লাভ নেই। কোন মন্ত্রেই এখন বিদ্য়ুত সরবরাহের আশা বৃথা। আর সিগারেট সে খায় না। মোবাইলের আলোই এখন যা ভরসা।
হালকা ঠেলতেই ভিতর ঘরের দরজা যায় খুলে। একটা প্রাচীন অবর্ণনামূলক গন্ধ তার ঘ্রাণেন্দ্রি়য়ে কেমন যেন আভাস দেয়। আবার জোরে চিৎকার করে ওঠে অনি, “মা, ও মা।”
“এসেছিস বাবা, অবশেষে.” এক রুগ্ন, ক্ষীণ গলায় উত্তর ভেসে আসে।
“এত অন্ধকার। মোমবাতি জ্বালাওনি কেন?” অনি বলে।
“আর মোমবাতি কে আনবে বল? এই তিনদিন ধরে যা দুর্যোগ! কাজের মেয়েটার তো পাত্তাই নেই সেই থেকে। দোকানপাটও জানিনা খুলেছে কি না?” ক্ষীণ কাঁপা স্বরে উত্তর আসে। অনির মনে হয় যেন এক সুদূর হতে ইথার তরঙ্গে বার্তা ভেসে আসছে।
অনি কথা বলতে এগিয়ে আসে, “আমি তো আশুর মেসেজ পেয়েই তোমাকে ধরার চেষ্টা করে যাচ্ছি। আশুকেও। কোন লাইনই তো কাজ করছে না। তারপর চলেই এলাম। এখন কেমন আছ মা?”
“আমি আর?” তারপরের জড়ানো কথা যেন ঘরের ভারী বাতাসে নিলম্বিত হয়ে ভাসে। “তুই ঠিক আছিস তো বাবা? এখন তোকে নিয়েই আমার যতরাজ্য়ের চিন্তা। খাবার-দাবার ঠিক করে খাস বাছা। আমার আর কদ্দিন?”
“কি যে বল? তুমি একদম ঠিক হয়ে যাবে। আমি তো এসেই গেছি। এবার ভিসার জন্য়ও আবেদন করে দিচ্ছি,” অভ্য়াসবসত মায়ের পা ছোঁয় অনি। কেন যেন বোধহয় হাতটা পায়ের মধ্য় হয়ে শীতল বিছানা স্পর্শ করে। সে বলে ওঠে, “তুমি এত রোগা হয়ে গিয়েছ? খাওয়া – দাওয়ার পাঠ কি উঠিয়েই দিয়েছ? তুমি তোমার পূজো- টুজো আর উপোস- কাপাস নিয়েই পড়ে থাক। কারোর কথা শুনলে না কোনদিন।”
আঁধারিতে আর কিছু শোনা যায় না। ভারী বাতাসে কিছু না বোঝা শব্দ ভাসতে থাকে।
“প্লেনে খাবার দিয়েছিল তো?” আবার ক্ষীণকন্ঠি প্রায় ফিসফিসিয়ে শুধায়, “এখন এ অবস্থায় তোকে কীই বা খেতে দি?”
“তুমি আবার অহেতুক খাবার নিয়ে সোহাগ করতে যেও না তো,” অনি সত্ত্বর উত্তর করে, “তুমি তো ভালই জানো যে ঠিক সময়ে আমি ঠিকই খেয়ে নি।”
অপরপ্রান্ত শুস্ক হাসি বা দীর্ঘনিশ্বাস বা অন্য় কিছুর বার্তা কি দেয়? অনির কিছু বোধগম্য় হয় না।
কিছুক্ষণ পরে মনে হয় সুদূর থেকে কিছু বাক্য় বয়ে আসে, “অনেক দূরের পথ পেরিয়ে এসেছিস খোকা। যা বাইরের ঘরে বিছানায় শুয়ে পড়। লেপ, কম্বল সবই ঠিক রাখা আছে।”
অনি এবার তার দীর্ঘ দূরত্বের উড়ানের ক্লান্তির ক্ষণিক উপশমের দিকে নজর দেয়। একটু লম্বা তো হতেই হবে। শরীর একটু নরম কোমল আরামের আশ্রয় চাইছে। “ঠিক আছে। বাকি কথা কাল হবে। তুমিও ঘুমিয়ে নাও,” অনি উঠে পড়ে।
প্রাক ভোরে ওঠা অনির চিরকালীন অভ্য়েস। মোবাইলে টুং শব্দে তার ঘুম যায় ভেঙে। ঘুম জড়ানো চোখে দেখে তার উর্ধ্বতন আধিকারিকের এক জরুরী বার্তা। যে করেই হোক অনিকে আর দুঘন্টার মধ্য়ে ভিডিও কনফারেন্স কলে আসতে হবে। তাদের উৎপাদিত পণ্য়ে এক বিশাল ত্রুটি ধরা পড়েছে। এই ক্রেতা এক মূখ্য ক্রেতা। পুরো ফরমাশ বাতিল হয়ে যেতে পারে। সে এক বিশাল ক্ষতি হয়ে যাবে। অনি সহ সমস্ত পরিচালকবর্গকে বসে এখন ক্রেতাকে বোঝাতে হবে যে তারা ত্রুটির কারণ ধরে ফেলেছে। অনিসহ পুরো দল এখন দিনরাত কাজ করে ত্রুটিহীন পণ্য় ক্রেতাকে সরবরাহ করবে। সেই সঙ্গে উর্ধ্বতন আধিকারিক অনির কাাছে ক্ষমা প্রার্থনাও করে নিয়েছে যে তার ছুটির মধ্য়ে এই জরুরী বার্তা প্রেরণের জন্য়। যদিও সবাই জানে এই ক্রেতাটি কতটা গুরুত্বপূর্ণ এবং তৎসঙ্গে সাংঘাতিক বিপদজনকও বটে। শেষে অনির মায়ের দ্রুত আরোগ্য় কামনা করে একটা রক্তিম হৃদয়ের ইমোজিও পাঠিয়েছে।
অনি দ্রুত সময়ের হিসাবটা করে নেয়। এখানে বসে ভিডিওতে যোগাযোগ এক দূরাশা। বিপর্যয়ের পর দূরসঞ্চারের যোগাযোগ শুরু হতে এখনও দিনকয়েক লেগে যাবে। তবে সদরে গিয়ে এক চেষ্টা সে করতেই পারে। সদরে সব গুরুত্বপূর্ণ আধিকারিকদের বাস। অবশ্য়ই তাদের যোগাযোগ রাখতে হবে তাদের উপরওয়ালাদের সঙ্গে। তাই দূরসম্প্রচারের যোগাযোগ সেখানে এতদিনে পুনঃস্থাপিত করা হয়ে গিয়েছে নিশ্চই। এখন উঠে হেঁটে টোটোস্ট্য়ানডে যাওয়া। টোটো নিয়ে বাসস্ট্য়ান্ড। তারপর বাসে চড়ে সদরে। দেড় ঘন্টায় সে পৌঁছে যেতে পারবে। আর একটা ট্য়াক্সি পেয়ে গেলে বড়োজোর ঘন্টাখানেক। তবে মায়ের একটু খারাপ লাগবে। ছেলে এসে একদন্ড না তিষ্ঠোতেই আবার বেরোলো। যাক কি আর করা যাবে? চাকুরীজীবিদের চাকুরি বিনা তো আর অন্য় কোন গতি নেই। মাকে একটু বুঝিয়ে বলবে যে এই যাচ্ছে আর এই আসছে।
তাড়াতাড়ি তৈরী হয়ে নেয় অনি। ভোরের মৃদু আবছা আলো ধীরতালে পাখা মেলছে তির তির করে প্রজাপতির ন্য়ায়। বিনাশ ঝড়ের পর রিক্ত, সর্বহারা মেদিনী কোনক্রমে বক্র, ভগ্ন অঙ্গ- প্রত্য়ঙ্গগুলির ক্ষত উপসমে প্রযত্ন।
ভেতর ঘরের দরজার কাছে গিয়ে হাঁক দেয় অনি, “মা, ও মা। আমি একটু বেরোচ্ছি। এই যাব আর আসব। কিছু খাবার- দাবারও যাই নিয়ে আসি গিয়ে। অসুস্থতার মধ্য়ে তোমার কিচ্ছু করার দরকার নেই। তোমার পছন্দের হিংয়ের কচুরিও আনছি।”
ঝাপসা আলো ও আঁধারিতে বিছানা হতে ফ্য়াকাশে আওয়াজ ভেসে আসে, “এই তো এলি। ভোরও তো পুরো হয়নি। এখন আবার কোথায় চল্লি। একটুও তো বিশ্রাম করলি না বাছা। তা ঘরে তো খাবার নেই এই কদিন হল। তবে তো দোকানপাট এত সকালে তো খুলবে না।”
“ও তুমি কিছু ভেব না। আমি ঠিক ব্য়বস্থা করে নিচ্ছি। এই যাব আর আসব,” বলতে বলতে সদর দরজার দিকে এগোয় অনি। বেশী কথায় যেতে চায়না সে। জানে কথার প্য়াঁচে একবার পড়লে, সে মুস্কিলে পড়ে যাবে।
সদর দরজাটা ভেজিয়েই পথে নেমে পড়ে অনি। তাড়াতাড়ি পা চালায় টোটো স্ট্য়ান্ডের দিকে। চারিদিক ভিজে- ভিজে, সোঁদা গন্ধে ভরা। এ কদিনের বিনাশ ঝড়ের পর তার আজন্মের আকাশ, বাতাস, খাল, বিল, পথ-ঘাট, আর সবই যেন সঞ্জীবনীর স্পর্শ নিয়ে জেগে উঠতে উদগ্রীব।
সময়েই সদরে পৌঁছে গিয়েছিল অনি। সদরে ঢুকতেই তার দূরভাষ যন্ত্র পূর্ববত সতেজ, সজীব,ও কার্জকর হয়ে যায়। এই হচ্ছে স্থানমাহাত্য়। এখানে দূরসম্প্রচারের যোগাযোগ অগ্রাধিকার পেয়েই থাকে। প্রায় শখানেক বার্তা টুংটাং করে ঢুকতে থাকে। কর্মস্থল থেকেই সর্বাধিক। এক এক করে বার্তাগুলো সে খুলতে থাকে। আশুও কিছু বার্তা পাঠিয়েছে। কৌতুহলভরে আশুর গতকালের বার্তাটি খুলে দেখে তার চক্ষু বিস্ফারিত হয়ে যায়। হৃদস্পন্দন প্রায় স্তব্ধ।
আশু কাল সন্ধ্য়ায় লিখেছে,”তুই কোধায় ভাই এখন? এইমাত্র মাকে দেখতে এসেছিলাম। কিন্তু মা এখন আর আমাদের মধ্য়ে নেই। ওনার যা দেব- দ্বিজে ভক্তি, নিশ্চই স্বর্গবাসী হয়েছেন। এখন এখানে যা দুরবস্থা তাতে কালকে সকালের আগে কোন লোক যোগাড় করতে পারব বলে মনে হয় না। তুই কিছু মনে করিস না ভাই, ততক্ষণ মাকে একটু একা থাকতে হবে। আর এর মধ্য়ে তুইও এসে পড়ছিস নিশ্চই। দেখা হচ্ছে। তুই বেশী চিন্তা করিস না। শান্ত থাক।”
অনি নিশ্চল। তাহলে কালকে রাত্রে কার সাথে-?
বাসস্ট্য়ান্ডের পাশের কোন এক বাড়িতে দূরদর্শনে সুপ্রভাতীয় অনুষ্ঠান হালকা বাতাসে ধ্বনিত হয়। এক স্থানীয় শিল্পী আবেগভরে গেয়ে চলেছে,
“মা, মা গো, মা
আমি এলাম তোমার কোলে
তোমার ছায়ায়, তোমার মায়ায়
মানুষ হব বলে।”
মায়ের কোলে ভৌতিক গল্প – সমাপ্ত
আপনাদের লেখা আমাদের ওয়েব সাইটে জমা দিতে গেলে, অনুগ্রহ করে আমাদের লেখা-জমা-দিন মেনু-তে ক্লিক করুন ও নিজেকে Author হিসেবে Register করুন এবং আমাদের পরবর্তী আপডেট পেতে আমাদের ফেসবুক পেজ অনুসরণ করুন।
অন্যান্য
রাজবাড়ী রহস্য
ব্রহ্ম দৈত্য
প্রত্যাবর্তন