তিন বন্ধুর সফর ভৌতিক গল্প – ডাঃ প্রিয়াঙ্কা মণ্ডল
প্রতিবছর তিন বন্ধু একসাথে শীতকালে বেড়াতে যায়,এবারেও তার অন্যথা হয়না। সব দিক ভেবে চিন্তে বাজেট ঠিক রেখে ঝাড়গ্রাম বেলপাহাড়ি যাবে ঠিক হলো।যেমন ভাবা তেমন কাজ যাওয়া আসার টিকিট কেটে নিল। ১১ ই ডিসেম্বর ,শনিবার ভোরে তিন বন্ধু ইমরান , সোহম আর অনুপম ঝাড়গ্রাম ঘুরতে যাওয়ার জন্য রওনা দেয় । ১১ তারিখ ঝাড়গ্রাম শহর টা চিল্কিগড় রাজবাড়ি আর চিড়িয়াখানা আরো কিছু সাইট সিন করবে রাতে ঝাড়গ্রামে থেকে সেখান থেকে পরের দিন অর্থাৎ ১২ তারিখ রওনা দেবে বেলপাহাড়ি গ্রামে ওখানে প্রকৃতির মাঝে দুটো দিন থাকবে তারপর বাড়ি ফিরবে । বেলপাহাড়ি পৌছাতে সাড়ে বারোটা বেজে গেল ,বাস থেকে নেমে ওরা হোটেলের খোঁজ করতে লাগলো ,যেহেতু ডিসেম্বর মাস আর তাই ওরা গুগল থেকে আগেই হোটেল টাও বুকিং করে রেখেছিল তাই সেই হোটেলে গিয়েই উঠলো। হোটেলের দোতলার একদম কর্নারের রুমটা ছিল ওদের ,রুম পরিস্কার পরিচ্ছন্ন ,একটা ডবল বেড আর একটা সিঙ্গেল বেড । দুটো বেশ বড়ো বড়ো জানালা,জানালা দিয়ে সরু তিরতিরে একটা নদী দেখা যাচ্ছে,আর শাল বন,শালগাছের গন্ধ যেন আসছে বাতাসে ভেসে ভেসে। ইমরান সিঙ্গেল বেডটায় থাকবে জানালো ,ওরাও আপত্তি করলো না,ভোরে উঠে নামাজ পড়ে নিজের মতো পড়তে সুবিধা হবে।রুমে এসে তিনজন একে একে স্নান করে ফ্রেশ হয়ে নিল,তারপর মাংস ভাত দিয়ে লাঞ্চ সেরে নিয়ে একটু রেস্ট নিল। বিকেলের দিকে ওরা ঠিক করলো আশপাশটা একটু হেটে ঘুরে দেখবে ।ইমরান বললো ,ওর শরীর টা খারাপ লাগছে মাথাটা ধরেছে তাই ও যাবেনা ,বাকি দুজন দুবার বলাতেও ও রাজি হলো না।তাই ওরা দুজনই ঠিক করলো পায়ে হেঁটেই ঘুরে দেখবে। ইমরানের মাইগ্রেনের ব্যথাটা মাঝে মধ্যেই হয়,সঙ্গে ওষুধ এনেছিল ,খেয়ে একটু ঘর অন্ধকার করে একা বিশ্রাম নিচ্ছিল ,পনেরো মিনিট পরে একটু জল খাবে বলে চোখটা খুলে জলের বোতল নিতে যাবে এমন সময় দেখলো একটা মেয়ে তার দিকে তাকিয়ে আছে এক দৃষ্টিতে ,মেয়েটার চুল খোলা ,সাদা দাঁত গুলো বেশ বড়ো বড়ো ধারালো আর মুখটা লম্বাটে ইমরান হঠাৎ ভীষণ ভয় পেয়ে যায় বলে কে কে ওখানে? সুইচ বোর্ডটা একটু দূরে ছিল কোনোরকমে দৌড়ে আলো জ্বালায় তারপর আর কিছু দেখতে পায়না।কিন্তু বেশ ভয় পেয়ে যায় সে,অনুপম কে ফোন করে ,ওর ফোন নট্ রিজেবেল বলে ,এরপর সোহম কে ফোন করে বলে তাড়াতাড়ি চলে আয় তোরা।ইমরানের গলার স্বরটা শুনে ওরা একটু চিন্তিত হয়ে পড়ে শরীর কি খুব খারাপ করলো নাকি ওর তারপর ওরাও তাড়াতাড়ি হোটেলে ফিরে আসে ।ওরা দুজন হোটেলে ফিরে আসতেই ইমরান ওদেরকে সব ঘটনা বললো ,সোহম বলল তোর শরীরটা খারাপ কি দেখতে কি দেখেছিস তার ঠিক নেই ,অনুপম বলল না সে তুই যাই বলিস চোখের এতো ভুল কি করে হয় ?অনুপম ও একটু ভীতু প্রকৃতির তাই ও বেশ ভয় পেল।সোহম ওদের দুজন কে বললো তোরা এসব ছাড় তো ভয়ের কিছু নেই। ইমরান খুব বেশি কথা বলছিল না ,মাথাটা তখন ও ব্যথা করছিল,সোহম বলল ,”ভাই ওষুধটা ঠিক মতো খা ,আর রাতে হাল্কা কিছু ডিনার কর মাংস মাছ খাস না,ভেজ খা বরং।” অনুপম বলল “এই কেন রে,ঘুরতে এসে মাছ মাংস খাব না তো কিছু ঔ শাক চচ্চড়ি খাব?নাকি তুমি শালা ভয় পাচ্ছ?মাংস খেলে ভূতে ধরবে?বলেই হাসতে লাগল। ইমরান দুজনের ই উপর ভীষণ রেগে গেল এবং চিৎকার করে বলে উঠল ,থামবি বালগুলো?আমি মরছি আমার জ্বালায় আর তোরা নিজেদের মধ্যে…ওর চিৎকারে দুজন চুপ হয়ে গেল বলল সরি ভাই ,মাথা টিপে দেবো? ইমরান বলল না থাক অতো দরদ দেখাতে হবেনা।এরকম কথা বলতে বলতে রাত নটা বেজে যায়,এদিকটা নটা মানে বেশ রাত,হোটেলের বেশিরভাগ কর্মচারীরা নিজের নিজের ঘরে ফিরে যায় ,দুজন থাকে শুধু। রামুদা দোতলায় এসে ঘরে বেল বাজালো সোহম দরজা খুলে দিল ,রামুদা বলল আপনারা খেতে চলুন খাবার তো সব রেডি ,আর একটা কথা রাতে হোটেল ছেড়ে কোথাও যাবেন না ।এদিকটায় রাতের বেলা নিরাপদ নয়। অনুপম বলল ঠিক আছে তুমি যাও আমরা যাচ্ছি।
পাঁচ মিনিটের মধ্যে ওরা ডিনার হলে এসে ডিনার টেবিলে বসে পড়লো,ডিনার টেবিলের উপর সাদা নকশা করা টেবিল ক্লথটার দিকে ইমরান এক মনে দেখছিল,ও যেন একটা অন্য জগতে হারিয়ে যাচ্ছে ঠিক কেন এমন হচ্ছে ও নিজেও বুঝতে পারছে না,বাকি দুজন নিজেদের মধ্যে টুকটাক কথা বলছে এরই মধ্যে খাবার সব চলে এলো,ওরা খাবার পেয়েই খেতে শুরু করলেও ইমরান তখন ও চুপচাপ গুম মেরে বসে ছিল।সোহম বলল কি রে খাচ্ছিস না কেন খা ,ডালটা খেয়ে দেখ দারুণ হয়েছে আর তোর প্রিয় ঝুরঝুরে আলু ভাজা ,ইমরান হঠাৎ দাঁত খিটিয়ে ওঠে অকারণে,তখন ওকে সম্পূর্ন অন্য একটা মানুষ মনে হচ্ছিল । তারপর বোয়াল মাছের ঝাল টা ইমরান খেতে শুরু করলো,আর বলল ওসব আলু টালু খেতে ইচ্ছা করছে না। অনুপম বললো তোর যা ইচ্ছা যা মন চায় খা তো,সোহমের কথা বাদ দে তো,ও শালা যেন আমাদের গার্জেন এসেছে ,এটা খাস না ওটা করিস না ,এখানে এসেও শালার হাত থেকে নিস্তার নেই।সোহম বেশি কথা বাড়ালো না ,ও জানে অনুপমের স্বভাব টাই ওরকম শুধু খাওয়া আর আড্ডাবাজি,আর মেয়ে সামনে পেলে পটানোর ফন্দি আঁটা,তবে ওরকম ক্যাবলা মার্কা কার্তিক কে আজকাল মেয়েরা পাত্তা দেয় না,হাসির খোরাক করে শুধু।এখানে ভাগ্যিস কোনো মেয়েদের টিম কেউ বেড়াতে আসেনি কিংবা কোনো মেয়েকে তাদের চোখে তেমন পড়েনি এখন ও অব্দি নইলে শালা এখানে এসেও পাগলামি শুরু করে দিতো।এতো কথা শোনে তাও মালটার শিক্ষা হয়না। সোহম খেতে খেতে ভাবছিল এসব কথা আর খেয়াল করছিল ইমরানের সেই হাসিখুশি মুখটা থমথমে মেরে গেছে শুধু গোগ্রাসে তিনটে মাছ খেলো আর দুচারটে ভাত খুঁটলো,তারপর কেমন যেন ওদেরকে পাত্তা না দিয়ে সিঁড়ি দিয়ে ওপরে উঠে গেল। সোহম পুরো কেসটা কিছুই বুঝতে পারছিল না ,অনুপম অবশ্য মন দিয়ে খেয়ে যাচ্ছিল। সাড়ে দশটা নাগাদ অনুপম আর সোহম ঘরে গিয়ে দেখলো ইমরান আপন মনে অন্ধকারে বিড়বিড় করছে,অনুপম তাড়াতাড়ি ঘরের আলোর সুইচ টা অন্ করতেই ইমরানের মুখটা আবার থম মেরে গেল,সোহম বলল এই শালা একা একা তো বকছিলি আমরা এলাম ,চুপ করে গেলি ! ইমরান বলল কি বলছিস যা তা একা একা কি বলবো? তবে ওরা কেউই আর বেশি এরপর কথা বাড়ালো না ।বিছানায় লটকে গেল ,ইমরান অবশ্য খানিকক্ষণ চুপচাপ বসে ছিল । অনুপম শুয়ে শুয়ে “গীতা গীতা গীতা” মনে মনে নাম জপ করলো।অনুপম ছোট্টবেলায় ঠাকুমার কাছে শুনেছিল গীতা নাম জপ করলে বিপদ কেটে যায় অশুভ শক্তি আসতে পারেনা,তাই আজ কে যেন ওকে দিয়ে বলিয়ে নিল এসব।তাছাড়া অনুপমদের পাশের পাড়ার গীতা মিত্র ওর থেকে এক ক্লাস নীচে পড়তো,মেয়েটাকে দেখে সব ছেলের জিভ দিয়ে লালা গড়াতো ,অনুপম অবশ্য মেয়েটাকে কিছুটা হলেও ভালোবেসে ফেলেছিল,অনেকদিন জ্বরে ভুগেছিল মেয়েটা তবু পাত্তা দেয়নি। শেষমেশ এক হোমিওপ্যাথিক ডাক্তারের পরামর্শ মতো চলে অনুপমের মাথা থেকে গীতা নামটা দূরে হটেছিল তবে হটেছে বললেই তো হটে না,টিন এজের প্রেম বড়ো সাংঘাতিক জিনিস। এইভাবে কোনো প্রকারে রাতটা কেটে গেল,শীতের আমেজে সোহম অনুপমের ঘুমটা মন্দ হয়নি।ভোর পাঁচটায় উঠে ওরা দেখলো ইমরান ঘরে নেই।ওরা তাড়াতাড়ি বারান্দায় এসে দেখলো ইমরান বারান্দায় দাঁড়িয়ে আছে ওরা পেছন থেকে ডাকতেই ইমরান জ্ঞান হারালো। ওরা কি করবে বুঝতে না পেরে তাড়াতাড়ি কোনোরকম পাঁজাকলা করে ওকে ঘরে এনে শুইয়ে দিল।চোখে মুখে ঘাড়ে জলের ঝাপ্টা দিল।কিছুক্ষণ পর ওর জ্ঞান ফিরে এলো। ইমরান কে জিজ্ঞাসা করাতে বললো ও কিছু জানেনা কখন কিভাবে বারান্দায় গেছে ওর কিছু মনে পড়ছেনা। এসব শুনে অনুপম ও খুব ভয় পেয়ে গেল,সোহমের কাঁধে হাত দিয়ে বলল কি করবো ভাই এখন আমরা ?সোহম ধীর স্হির ভাবে বলল ,বেশি টেনসন নিস না,তিনজন আছি তো নাকি,একা তো তুই নেই?মনের মধ্যে অনেক প্রশ্ন তো সোহমের ও ঘুরপাক খাচ্ছে কিন্তু উত্তর পাচ্ছেনা। ভূত টূত যদি থেকেও থাকে সে কি বেছে বেছে ভয় দেখাবে?এরকম হয় নাকি?নিজেই নিজেকে বোঝালো না না এসব ভাবা ঠিক হচ্ছেনা। অনুপম কে বললো আমরা আর আজ ঘুরতে যাবোনা বুঝলি বাড়ি ফিরে যাবো ,ইমরানের শরীর টা যখন এতোটা খারাপ করছে বাড়ি ফিরে ভালো ডাক্তার দেখানো দরকার।অজানা অচেনা জায়গা তার উপর যোগাযোগ ব্যবস্হা ডাক্তার বদ্যি এসব ও ভালো নেই ।অনুপম ও আপত্তি করলো না।ইমরান তেমন কথা বলছেনা শুনছে কিনা তাও ওরা বুঝতে পারলো না অনুপম ইমরানের বডি টা বার কয়েক ঝাঁকালো,বললো আমরা সবাই আজ ফিরে যাবো।ইমরান কেমন যেন চুপচাপ হয়ে আছে,ঘোরের মধ্যে আছে মনে হচ্ছে।সকাল নটা বাজতেই ব্রেক ফাস্ট অল্প কিছু করে ওরা বাসের জন্য রওনা দিল । সন্ধ্যের মধ্যেই ওরা ওদের শহরে ফিরে এলো।অনুপম আর সোহম ইমরান কে নিয়ে ডাক্তারের কাছে গেল।ডাক্তার পালস্ ,ব্লাড প্রেসার মেপে বললেন ঠিকই আছে ,তেমন অসুবিধার কিছু নেই।শুধু কয়েকটা ভিটামিন লিখে দিলেন,আর রেস্ট নিতে বললেন দুদিন।ইমরান কে ওরা বাড়ি পৌঁছে দিয়ে এলো,তারপর সোহম অনুপম যে যার বাড়ি চলে গেল। রাত থেকে ইমরানের ধুম জ্বর এলো,ইমরানের মা সারারাত জ্বলপটি দিয়েও কিছুতেই কিছু হলো না।বাড়িতে প্যারাসিটামল ছিল সেটাও দেওয়া হলো কিছুতেই কিছু হলো না।ইমরানের মা আর ছোট্ট ভাই বাড়িতে ,বাবা গেছেন মক্কায় হজ করতে।ফিরতে আরো দিন দুই তো লাগবে।ইমরানের মা পরের দিন ডাক্তার ডাকলেন,কিন্তু সকালে জ্বর ছিল না ,শুধু দুর্বল ছিল শরীরটা।ডাক্তার ব্লাড টেস্ট প্লেটলেট কাউন্ট সব লিখে দিলেন বললেন এখন ডেঙ্গুর উপদ্রব আছে,তাড়াতাড়ি টেস্ট করিয়ে রির্পোট গুলো আনতে।টেস্ট সবই করানো হলো,কিছুই তেমন পাওয়া গেল না। ইমরানের মা ভীষণ চিন্তায় পড়লেন।এরকম করে আরো একটা দিন কাটলো,জ্বর রাতে আসে দিনে চলে যায় আর শরীর দিন দিন আরো ভেঙে পড়ছে। সন্ধ্যেবেলা ইমরারনের বাবা ফিরে এলেন আর সাথে তার এক পুরানো মাওলানা সাহেব বন্ধু কে নিয়ে এলেন ,মক্কায় হজ করতে গিয়েই আবার অনেকদিন বাদে দেখা হওয়াতে ছোট্টবেলার জি দোস্ত কে তার বাড়িতে জোর করে নিয়ে এসেছিলেন।ইমরানের বাবার বন্ধুর নাম শেখ মুজ্জিবর আহমেদ।গ্রামে ওনার খুব নাম ডাক আছে ভূত প্রেত জিন এসব ঝাড়ানোর জন্য।উনি ইমরানের বাড়ির গেটে ঢুকেই ব্যাপার টা বুঝে গেছিলেন সঙ্গে সঙ্গে বন্ধুকে জানালেন এ বাড়ির আশেপাশে এক অতৃপ্ত আত্মা ঘোরাঘুরি করছে,এ কথা শুনে ইমরানের মা ভীষণ ভয় পেয়ে গেলেন ।মুজ্জিবর শেখ জানালেন ,ভয়ের কিছু নেই,রাত একটায় কাঠ ঘি মধু আর নিম পাতা সব জোগাড় করতে হবে,তারপর যা করার তিনি করবেন। তাঁর কথা মতো সব জোগাড় করা হল সময়ের মধ্যেই । তারপর মুজ্জিবর শেখ আল্লা র নাম নিয়ে বসে পড়লেন ,রাত যতো বাড়তে থাকে ইমরানের কষ্ট বাড়তে থাকে যন্ত্রনায় ছটফট্ করতে থাকে ,তারপর জ্ঞান হারায় ইমরান।সবাই চোখে জলের ছিটা দেয় কিছু হয়না,বাড়ির সবাই চিন্তায় ভেঙ্গে পড়ে,কিন্তু ভোরের নামাজ পড়ার আওয়াজ বাতাসে ভেসে আসে আর একটু একটু করে জ্ঞান ও ফিরে আসে ইমরানের।জ্বর ও ছিল না,শুধু দুর্বল ছিল শরীরটা। মুজ্জিবর সাহেব বললেন,ওকে জিনদের একটা গোষ্ঠী কাউলা তে ধরেছিল,এই প্রজাতির জিন তাড়ানোর সব উপায় আমি শিখেছিলাম,এ যাত্রায় তাই কাউলা কে তাড়ানো গেল।একটা তাবিজ বেঁধে দিয়ে বললেন এটা পরে থাকবে আর ঈদের আগে অনন্ত পাঁচদিন রোজা রাখবে নামাজ পড়বে ।ইমরান মাথা নেড়ে সম্মতি জানালো।
তিন বন্ধুর সফর ভৌতিক গল্প – সমাপ্ত
আপনাদের লেখা আমাদের ওয়েব সাইটে জমা দিতে গেলে, অনুগ্রহ করে আমাদের লেখা-জমা-দিন মেনু-তে ক্লিক করুন ও নিজেকে Author হিসেবে Register করুন এবং আমাদের পরবর্তী আপডেট পেতে আমাদের ফেসবুক পেজ অনুসরণ করুন।
অন্যান্য
রাজবাড়ী রহস্য
ব্রহ্ম দৈত্য
প্রত্যাবর্তন