ভূতবাড়ি ভৌতিক গল্প – রানা জামান
নাঈম ছোটকাল হতে জেনে এসেছে ওর একটা দাদাবাড়ি আছে। বিরাট বড় বাড়ি! কেউ না থাকায় ওরা ওখানে যায় না। মা বলেছেন: এক দূর্ঘটনায় নাঈমের বাবা মারা যাবার পরে ওরা এখানে নানাবাড়ি চলে এসেছে।
নাঈম এক রাতে খাবার টেবিলে বললো মাকে, মা, আমি দাদাবাড়ি যেতে চাই!
আয়েশা খাতুন আঁতকে উঠে বিষম খেলেন প্রথমে। পানি পান করে সামলে নিয়ে বললেন, কী বলছিস তুই! হঠাৎ তোর দাদাবাড়ি যাবার ইচ্ছে হচ্ছে কেনো?
হঠাৎ না মা, ছোটবেলা হতেই। দাদাবাড়িটা কত বড় দেখতে চাই। কেনো আমরা ওখান থেকে চলে এসেছি জানতে চাই। বাবা কিভাবে মারা গেছেন তাও জানতে চাই।
আয়েশা খাতুন কিছুটা উষ্ণ কণ্ঠে বললেন, তোকে আগেও বলেছি, এখনো বলছি তোর বাবা হার্ট এটাকে মারা গেছেন।আর ঐ পোড়োবাড়িতে দেখার কিছুই নাই এখন!ও ভাবনা মাথা থেকে ঝেরে ফেল্!
পরদিন সকালে ঘুম থেকে জেগে আয়েশা খাতুন প্রথমে ঢুকলেন পিতা আতিয়ার রহমানের কক্ষে। মা চলে যাবার পর হতে বরাবর তা-ই করে আসছেন আয়েশা খাতুন। বাবাকে কক্ষে না দেখে তাকালেন সংলগ্ন ওয়াশরুমে। ওটার দরজায় বাহির থেকে ছিটকিনি আটকানো দেখে বুঝতে পারলেন বাবা ওয়াশরুমে যাননি। তাহলে নিশ্চয়ই ড্রয়িংরুমে: ভেবে এগিয়ে গেলেন ওদিকে।ড্রয়িংরুমে ঢুকে বাবাকে বড় সোফায় শুয়ে থাকতে দেখে অবাক হলেন। আতিয়ার রহমান কখনো এমনটি করেন নি। আয়েশা খাতুন বাবার মাথার কাছে এসে ডাক দিলেন, বাবা! তুমি এখানে শুয়ে আছো কেনো? রাতে ঘুম হয় নি?
মার ভয়ার্ত চিৎকারে নাঈমের ঘুম ভেঙ্গে গেলে ছুটে এলো ড্রয়িংরুমে। আতিয়ার রহমান নিরবে চলে গেলেন চিরঘুমে। আতিয়ার রহমানের ডান লেখা: নাতিকে যেতে দাও পৈত্রিক ভিটায়।
পরদিন সকালে নিজেদের পাজেরো জিপে চেপে রওয়ানা দিলেন মা ও ছেলে নাঈমের পৈত্রিক ভিটা তথা স্বামীর ভিটার দিকে আয়েশা খাতুন। দুপুর লেগে গেলো পাঁচ জেলা পেরিয়ে কারঙ্কা গ্রামে পৌঁছাতে। চব্বিশ বছর পরে স্বামীর গ্রামে পৌঁছলেও বাড়িটা কোনদিকে তা স্মরণ করতে পারছেন না আয়েশা খাতুন।
গ্রামের লোকদের ভূইয়া বাড়ির কথা জিজ্ঞেস করলে চমকে দুই পা পিছিয়ে যাচ্ছে প্রথমে। পরে যা বলছে তা এই রকম: -ভূইয়া বাড়ি এখন আর আগের জমিদার রশিদুল হায়াৎ ভূইয়ার ভূইয়া বাড়ি নেই, ওটা এখন ভূতবাড়ি হয়ে গেছে। সন্ধ্যা হওয়ার পরপরই ঐ বাড়ি থেকে থেমে থেমে এক কিশোরের আর্তচিৎকার শোনা যেতে থাকে; দিনের বেলা ছাগলও ঢুকে না ভূতবাড়ির ত্রিসীমানায়।
নাঈম বললো, মা, তুমি কি ভূত বিশ্বাস করো?
আয়েশা খাতুন বললেন, ইসলাম ধর্ম অনুসারে ভূত নাই।
তাহলে ভাবনা কী!
চব্বিশ বছরে বাড়িটা যাচ্ছেতাই অবস্থায় পৌঁছে গেছে। ভূতের ভয় না থাকলে এতোদিনে বাড়িটা বেদখল হয়ে যেতো। প্রাচিরে পড়ে গেছে শেওলা; ইট ও চুনসুরকির দোতলা ভবনটার চারিদিকে চলে গেছে বটের দখলে। গেটের তালায় মরচে পড়ে আকৃতিই বদল হয়ে গেছে।
গেটের বাইরে গাড়িতে হেলান দিয়ে বাড়ির দিকে তাকিয়ে আছে মা ও ছেলে।
নাঈম এক পাক ঘুরে মার দিকে ফিরে বললো, কী অবস্থা বাড়িটার! কিভাবে এটাকে বাসযোগ্য করবো মা?
আয়েশা খাতুন বললেন, বাসযোগ্য করবি মানে? আমরা এখানে থাকবো নাকি?
থাকবো না?
অবশ্যই না! দেখতে চেয়েছিলি, দেখা হয়ে গেছে! এখন ফিরবো আমরা।
কী বলছো মা! ভেতরে ঢুকবো না?
কী দরকার!
বলার সাথে সাথে আয়েশা খাতুনের মাথা চক্কর দিয়ে পড়ে যেতে চাইলে নাঈম মার পতন ঠেকিয়ে উদ্বিগ্ন কণ্ঠে বললো, কী হলো মা!
আমি গাড়িতে বসবো। আমাকে একটু সাহায্য কর।
ঠিক আছে মা। তোমাকে গাড়িতে বসিয়ে দিচ্ছি।
নাঈমের কাঁধে ভর করে আয়েশা খাতুন গাড়ির ভেতরে বসে চোখ বুজতেই একটা কণ্ঠস্বর শুনে চমকে উঠলেন ভীষণভাবে। শ্বশুর বশিরুল হায়াতের কণ্ঠস্বর! ভুল শুনলেন কি?
রশিদুল হায়াৎ বললেন-
‘নাতিকে প্রাসাদে ঢুকতে নিষেধ করো না বৌমা!’
ভয়ে আর চোখ বুজলেন না আয়েশা খাতুন। কী করবেন তিনি এখন। ছেলেকে বলেছেন ভূত নেই।কিন্তু এখন ওর নিজেরই ভয় লাগছে। পিতা ও শ্বশুর কি ভূত হয়ে গেছে? কিভাবে সম্ভব? তাহলে এসব কী? বাড়িতে বাবার হাতের অদ্ভূত রকমের লেখা এবং এখন এই শ্বশুরের আদেশ!ফের একটু চোখ বুজতেই ঐ কণ্ঠের আদেশ শুনতে পেলেন আয়েশা খাতুন।সাথে সাথে গাড়ি থেকে নেমে ড্রাইভারকে আদেশ দিলেন গেটের তালা ভাঙ্গার।
নির্দেশ পেয়ে ড্রাইভার আজিম গেটের তালা ভাংতে গেলো গাড়ির চাকা পাল্টানোর হ্যান্ডেল বাগিয়ে। কিন্তু গেটের কাছে যেতেই তালাটা খুলে গেলো আপনিতেই। আজিমের বিস্ময়ে কান না দিয়ে আয়েশা খাতুন ভাবলেন: হয়তোবা আগে কেউ ঢুকেছিলো; বের হবার সময় তালা আর লাগাতে পারে নি। গাড়িটা গেটের ভেতরে ঢোকার সাথে সাথে শরীরে একটা ঝাকি খেলেও গাড়ির ঝাকি ভেবে কেউ গা করলো না। তবে গাড়িটা প্রাসাদের সিঁড়ির সামনে দাঁড়াতেই এক ঝাঁক বাঁদুড় বের হয়ে এলো ভেতর থেকে।
নাঈম বাঁদুড়গুলোর দিকে তাকিয়ে মনে মনে বললো: আজকাল বাঁদুড় দিনেও চলাফেরা করতে শুরু করেছে নাকি? এখানে থেকে গেলে একটা বাঁদুড় পোষতাম!
মাকে বললো নাঈম,মা, বাঁদুড় পোষলে কেমন হয় মা?
আয়েশা খাতুন প্রাসাদের দিক থেকে চোখ না সরিয়ে বললেন, আমি মরলে পুষিস!
তাহলে পোষা হবে না!
কেনো?
তোমাকে মরতে দিলে তো!
জিপ সিঁড়ির পাশাপাশি থামলে দু’জন দরজা খুলে বেরিয়ে এলো বাইরে।সিঁড়ির প্রথম ধাপে পা রাখতেই একটা বাতাসের ঝাপ্টা শীতল পরশ বুলিয়ে দিলো উভয়কে।আজিম ব্যাগ নিয়ে ওদের পেছনে আসছে।সিঁড়ি ভেঙ্গে সবাই উঠে এলো বারান্দায়।বেশ বড় বারান্দা।গাছের পাতা আর ধূলোয় নোংরা হয়ে আছে।নাঈম একটু এগিয়ে দরজার সামনে দাঁড়ালো। দরজাটাও বিরাট।একটু চাপ দিতেই খুলে গেলো দরজা।
নাঈম বিস্মিত হয়ে বললো, মা, দরজা খোলাই ছিলো মনে হচ্ছে!
আয়েশা খাতুন বললেন, হতে পারে।চোর-ছেচ্চর ঢুকে খোলা রেখে গেছে।
তিনজন ঢুকলো প্রাসাদের ভেতরে। ওটা একটা হলরুম।দু’জন এদিক ওদিক তাকাচ্ছে। আজিমের গা ছমছম করায় ব্যাগ দুটো নামিয়ে রেখে বেরিয়ে গেলো বাইরে।
আজিম বেরিয়ে যাবার সাথে সাথে দরজা আপনিতেই বন্ধ হয়ে গেলে আয়েশা খাতুন মনে করলেন বাতাসে বন্ধ হয়ে গেছে দরজাটা। হলরুমের পূর্বদিকের দেয়াল জুড়ে ঢাউস তিনটি রাজকীয় ছবি।
নাঈম ডান হাতের তর্জনি তুলে ছবিগুলো দেখিয়ে বললো, ওখানে কাদের ছবি মা? আমার দাদা বাবা হতে পারে। কিন্তু ছবি তিনটি। আরেকটা কার মা?
আয়েশা খাতুন একটা একটা করে ছবি দেখিয়ে বললেন, প্রথম বড় ছবিটা তোর পরদাদা রশিদুল হায়াতের। উনি জমিদারি জীবন পুরাপুরি এনজয় করে গেছেন। দ্বিতীয়টা প্রথমটার চেয়ে খানিকটা ছোট। উনার নাম বশিরুল হায়াৎ।উনি তোমার দাদা। উনার সময়ই বৃটিস শাসন থেকে পাকভারত স্বাধীন হলে পাকিস্তান সরকার জমিদারি প্রথা বাতিল করে দেয়। কিন্তু তোমার দাদা ঠাট ছাড়েন নি!
তৃতীয়টা আমার বাবার। তাই না মা?
হাঁ। তখন আস্তে আস্তে প্রাসাদের বাতিগুলো নিভে গেলো। কিন্তু হলরুমটা অন্ধকার হওয়ার পরিবর্তে নীল আলোয় উজ্জ্বল হয়ে উঠলো। সাথে তাপমাত্রা কমতে থাকায় শীত অনুভূত হতে লাগলো দু’জনের। শীতে দু’জন আস্তে আস্তে জড়োসড়ো হতে লাগলো।
আয়েশা খাতুন কিছু বলতে যাবেন তখন উপরের দিক থেকে একটা কণ্ঠস্বর শুনে চমকে উঠলেন। জমিরুল হায়াতের কণ্ঠ! এ কী করে সম্ভব! পরক্ষণে ভাবলেন: সম্ভব! যেহেতু গাড়িতে শ্বশুরের কণ্ঠ শোনা গেছে, সেহেতু এখানে স্বামী বা দাদা শ্বশুরের কণ্ঠ শোনাও যেতে পারে!
জমিরুল হায়াতের কণ্ঠ বললেন, শেষ পর্যন্ত তোমাকে আসতেই হলো আয়েশা! আহ! খুব ভালো লাগছে আমার। কতদিন পরে তোমাকে দেখছি। ওকে দেখে আরো ভালো লাগছে। ও নিশ্চয়ই আমাদের সন্তান? কী নাম রেখেছো ওর?
আয়েশা খাতুনের ভয় লাগছে। কিন্তু তিনি ভয় পেতে চাচ্ছেন না। ওঁ ভয় পেলে নাঈম নির্ভয় থাকবে কিভাবে? ভয়কে বাগে রেখে আয়েশা খাতুন বললেন, নাঈম। কবিরুল নাঈম।
চমৎকার হয়েছ নামটা! হায়াৎও জুড়ে দিও নামের শেষে।
আস্তে আস্তে একটা ছায়ামূর্তি উপরে ভাসমান হলে নাঈম ভয় পেয়ে বললো, মা, ভূত!
তখন জমিরুল হায়াতের ঘাড়ে আরেকটা ছোট ছায়ামূর্তি প্রকট হলে জমিরুল হায়াতের ছায়ামূর্তি আর্তনাদ করে একটু সংকুচিত হয়ে উঠলো।
আয়েশা খাতুন নাঈমকে ডান হাতে আরো কাছে টেনে অভয় দিয়ে বললেন, উনি তোমার বাবা।
নাঈম আশ্চর্য হয়ে বললো, বাবা! বাবার এই অবস্থা কেনো মা? বাবা কি ভূত হয়ে গেছে?
আয়েশা খাতুন যা বললেন তা এরূপ:
– বশিরুল হায়াৎ বাবার ঠাটে জীবন যাপন করতে লাগলেন। তখন বাঈজীবাড়ি ছিলো, ঘেটুর দল ছিলো। জমিদারি না থাকলেও জলসাঘর চালু রেখেছিলেন বশিরুল হায়াৎ। কাজ না করে বসে বসে খাওয়ায় জমিজমা বিক্রি হতে থাকলো। জমিরুল হায়াৎ অর্থাৎ নাঈমের বাবা নিজ বাবার পদাঙ্ক অনুসরণ করে চলতে লাগলেন। জমিদারি ঠাটের যে রেশ ছিলো তাতে মুগ্ধ হয়ে আয়েশা খাতুনের পিতামাতা বিয়ে দিয়ে দিলেন আয়েশা খাতুনকে জমিরুল হায়াতের সাথে। বশিরুল হায়াৎ মারা গেলেও জমিরুল হায়াতের জীবন যাপনে পরিবর্তন আসে নি কোনো। এক সন্ধ্যায় জলসাঘরে নাচগান চলছিলো। আয়েশা খাতুন তখন গর্ভবতী; নিজ কক্ষে বিষন্ন বদনে বসেছিলেন। হঠাৎ চিৎকার-আর্তনাদ শুনে বারান্দায় এসে দেখতে পান নিচে অনেক জটলা। নিচে নেমে এসে জানতে পারলেন জমিরুল হায়াৎ বারো বছরের এক ঘেঁটুপুত্রকে ছাদে ঢেকে নিয়েছিলেন। কিছুক্ষণ পরে ছাদ থেকে পড়ে ঘেঁটুপুত্রটি মারা যায়। এই মৃত্যুর জন্য জমিরুল হায়াৎকে দায়ী করে থানায় মামলা দায়ের হলে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে ঐদিনই জমিরুল হায়াৎ মারা যান। জমিরুল হায়াতকে প্রাসাদের ভেতরে পারিবারিক গোরস্তানে দাদা-বাবার পাশে কবরস্ত করে অভিশপ্ত প্রাসাদ ছেড়ে ঐদিনই আয়েশা খাতুন চলে যান বাবার বাড়ি।
ছোট ছায়ামূর্তিটা নিচে নেমে নাঈমকে বগলদাবা করে তুলে উপরে নিয়ে হিসহিসিয়ে বললো, এতো বছর পরে প্রতিশোধ নেবার সুযোগ পেয়েছি। তোর ছেলেকে তিলে তিলে মেরে ভূত বানিয়ে এখানে রেখে দেবো! জমিরুল হায়াতের ছায়ামূর্তি ওর কাছাকাছি এসে বললেন, ভুল আমি করেছি। তার সাজাও পাচ্ছি। ওরা কোনো দোষ করেনি। ওদের যেতে দাও ঘেঁটুপুত্র।
ঘেঁটুপুত্রের ছায়ামূর্তি অট্টহাসি দিয়ে বললো, প্রশ্নই আসে না ছেড়ে দেবার! আমার বাবার আত্মাও আছে এই প্রাসাদে। ও এসে তোর স্ত্রীকে ধরবে! বাবা..! বাবা…!
সাথে সাথে আরেকটি ছায়ামূর্তি প্রকট হয়ে আয়েশা খাতুনকে জড়িয়ে ধরে উপরে নিয়ে ঝুলতে থেকে বললো, হুজুর! আফনের কাছে এইডা আশা করি নাই!ঐদিন আফনের কারণে আমার একমাত্র পোলাডা মইরা গেলে আমিও মইরা গেলাম।পোলার সাথে আমিও রয়া গেলাম এই পাসাদে বদলা নেওনের আশায়। এদ্দিন আফনেরে টের পাইতে দেই নাই কিছু।আইজ প্রতিশোধ নেওনের দিন আইছে!
আয়েশা খাতুন ও নাঈম প্রচণ্ড ভয়ে চিৎকার করতে লাগলো। জমিরুল হায়াতের ছায়ামূর্তি প্রথমে ঝাঁপিয়ে পড়লো ঘেঁটুপুত্রের ছায়ামূর্তির উপর। ধস্তাধস্তি করে নাঈমকে মুক্ত করে ওকে নিচে নামিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়লো ঘেঁটুপুত্রের বাবার ভূতের উপর। আয়েশা খাতুনকে ছাড়িয়ে নেমে এলেন নিচে।
জমিরুল হায়াতের ছায়ামূর্তি বা ভূত স্ত্রী ও পুত্রকে বুকে চেপে ধরতেই ঘেঁটুপুত্রের ভূত বললো, তুই কয় জনের সাথে লড়বি? এই প্রাসাদে শ শ আত্মা আছে, যারা তোর দাদা ও বাবার অত্যাচারে ধুঁকে ধুঁকে মরেছে! বলার সাথে সাথে হলরুমটা ভরে গেলো ভূত বা আত্মায়। সকল ভূত আস্তে ধীরে এগিয়ে আসতে থাকলো ওদের দিকে।
ভূতবাড়ি ভৌতিক গল্প – সমাপ্ত
আপনাদের লেখা আমাদের ওয়েব সাইটে জমা দিতে গেলে, অনুগ্রহ করে আমাদের লেখা-জমা-দিন মেনু-তে ক্লিক করুন ও নিজেকে Author হিসেবে Register করুন এবং আমাদের পরবর্তী আপডেট পেতে আমাদের ফেসবুক পেজ অনুসরণ করুন।
অন্যান্য
রাজবাড়ী রহস্য
ব্রহ্ম দৈত্য
প্রত্যাবর্তন